13 w ·übersetzen

গল্পের শেষাশেষি যে দরদে তিনি বড়মিঞার কষ্টকে এঁকেছেন, তা পাঠকমাত্র সকলকেই আদ্র করে। গল্পকারের ভাষায় : 'কি করে চলে? বড় কষ্টে আছে সাব। বছর দুই আগে কারে কারে যেন ধরে বাড়ীতে পাঁচটা তাঁত বসিয়েছিল, তাই দিয়ে চলত। পাকিস্তান হওয়ার পর কর্তারা তা উঠিয়ে আমজাদ খোনকারের বাড়িতে নিয়েছে।' লক্ষ্য করুন, দেশ স্বাধীনের ক্ষেত্রে যে বড় মিঞার এতো এতো অবদান। সেই বড়মিঞাকে স্বাধীন দেশ কী পরিণতি দিয়েছে। তার তাঁতটা পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে গেছে। আইনের শাসন থাকলে সেটা নিশ্চয় সম্ভব হত না? পুলিশ যদি সত্যি সত্যি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়মমাফিকভাবে পালন করতো বড়মিঞার তাঁত নিশ্চয় খোনকারের বাড়ি যেত না?

বাস্তবতা হল, পূর্ববঙ্গের মানুষেরা যে আকাঙক্ষা নিয়ে পাকিস্তান স্বাধীন করেছিল সেই আকাক্সক্ষার কোনোটাই পুরণ হয়নি। আবার স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন, বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের যে প্রচেষ্টা তার কোনটাই বাস্তবায়িত হয়নি। অধরা থেকে গেছে আমাদের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা, বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের মুক্তি, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ, সামাজিক সুরক্ষার নিশ্চয়তা, রাষ্ট্রের সকল স্তরে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার মতো মৌলিক দাবিসমূহের ক্ষেত্রে। বরং এগুলোকে নস্যাৎ করে সমাজ-রাষ্ট্রে উৎপাদন করা হয়েছে বিভক্তির চিহ্নরেখা। বৈষম্যকে প্রযত্নে দিয়ে বর্ধিত করা হয়েছে সীমাহীন, তার ডালপালা ছড়ানো হয়েছে আকাশের মাপে মাপে। মানুষের জীবনে ন্যূনতম শান্তি ও স্বস্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। একারণে, একটি স্বাধীন দেশে মাত্র সাড়ে তিন দশকের মধ্যে দুইবার গণ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। এই ভূখ- গণ অভ্যুত্থানে সাফল্য দেখাতে সক্ষম হলেও, গণ অভ্যুত্থানের বিজয় অর্জন কেন অধরা থেকে যায় সেই প্রশ্নের কোন সুরাহা নেই, নেই কোন সদুত্তর।

তা হলে আমাদের বাস্তবতা কি কেবলই আত্মত্যাগ ও আত্মবিসর্জনের? কিছু দিন পর পর এখানে গণ অভ্যুত্থান হবে, আর স্বৈরাচারের আসা-যাওয়ার খেলা কি চলতেই থাকেবে? সালাম-বরকত-রফিক; আসাদ-মতিউর-শামসুজ্জোহা; রুমি- মতিউর-জাহাঙ্গীর; নূর হোসেন-ডা. মিলন; সাঈদ-মুগ্ধদের মতো তরুণেরা কি কিছুদিন পরপর কেবইলই প্রাণ দেবে? এই কি আমাদের জাতীয় ইতিহাসের রুঢ় ও নির্মম বাস্তবতা। এদেশের শাসক ও প্রশাসক বর্গ কবে একান্তই আমাদের হয়ে উঠবে। আমাদের পুলিশ কবে আপামর জনগণের সদর্থক অর্থেই বন্ধু হয়ে উঠবে?

জাতি হিসেবে আমরা কেন বারংবার প্রত্যাশা পূরণের পথে হোঁচট খায়, কী হতে পারে এই প্রশ্নের উত্তর? আমরা মনে করি এসবের যথার্থ কারণ নিহিত রয়েছে আমাদের সংস্কৃতির গভীরে। সংস্কৃতিগত দিকে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে আমরা বহুধাবিভক্ত। আমাদের ধর্মবোধকে এখনও শেকড়সংলগ্ন করে তোলা সম্ভব হয়নি। যা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে আমাদের আচরিত ধর্মাচারে। যে কোন দেশ বা রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকে তার সামাজিক শক্তির ওপরে। বেদনার হল, আমরা সমাজকে ক্রমাগত দুর্বল করে চলেছি। ফলে, আমাদের রাষ্ট্র হয়ে উঠছে দুর্বৃত্তসম। দুর্বল সমাজ বহুধাবিভক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক ও সঙ্গত। এ কারণে, আমরা ইহজাগতিকতা ও পারলৌকিকতাকে কোথায় মেলাব, কতটুকু মেলাব আর কতটুকু দূরত্ব রাখব সেই প্রশ্নের কোন ফায়সালা করতে পারেনি। এমনকি এসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনার পরিসর তৈরি করাও সম্ভব হয়নি।

এসব বিবেচনায় 'ভাঙ্গা কুলা'য় ইহজাগতিকতা ও পারলৌকিকতার যে দ্বৈরথ আমরা দেখতে পাই তা মূলত বাঙালি মুসলমানের বাস্তবতা। যার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেককিছুর যোজন-বিয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। বাঙালি তার লোকধর্মকে ভুলতে বসেছে। লোকধর্মের আত্মীকরণ ও সাঙ্গীকরণের যে মহোত্তম প্রবণতা ও গুণপণা তাকে বিসর্জন দিয়েছে। অথচ যে কোন জাতির শেকড় নিহিত থাকে তার লোকসংস্কৃতিতে, যার শক্তিশালী অংশবিশেষ হল লোকধর্ম।

আমরা মনে করি, বাঙালি মুসলমানের ইহজাগতিকতা ও পারলৌকিকতার ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত যে অবস্থান তা দূর না হলে, এই ২০২৪-এ ছাত্র জনতার যে ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান সংঘটিত হল তার স্বপ্ন ও আকাঙ্খা পূরণ দুরুহ হয়ে উঠবে। 'ভাঙ্গা কুলা' গল্প এক্ষেত্রে প্রতীকিবিশেষ। ইবরাহীম খাঁর রচনা এই বিবেচনায় হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ টেক্সট, যার আলোকে আমরা পেতে পারি অনেককিছুর সুলুক সন্ধান। আমরা যদি জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে এক হতে না পারি, অন্তত সকলের একত্রিত হওয়ার একটা পরিসর বের করার মতো ঔদার্য দেখাতে না পারি। তা হলে আমরা এক হব কীভাবে? দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে কোন মন্ত্রবলে, কোন সে প্রার্থনায়? ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধর্মাচারের প্রশ্নে সম্মিলিতভাবে ধারণ করার মতো বৃহৎ একটা আকাক্সক্ষার জায়গা তৈরি করা সম্ভব না হলে, কীভাবে একটা দেশ নির্মিত হবে? কোন অনুপ্রেরণা বলে একটা জাতি ঝাঁপিয়ে পড়বে আকাঙ্খায় বর্তমান ও সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার প্রত্যয়ে?

এসব প্রশ্নের যদি উত্তর না হয়,তা হলে আমাদের দুঃখের শেষ থাকবে না। যে দুঃখ ও বেদনার ভার আমরা বহন করে চলেছি আবহমান কাল ধরে। বড়মিঞারা কি চিরদিন 'ভাঙ্গা কুলা' হিসেবেই থেকে যাবে, নাকি এই অচলায়তন ভাঙ্গতে হবে? বড়মিঞার নাম সোনার হরফে লেখা হবে পারলৌকিক কোন কালপর্বে নয়। লেখা হবে মর্ত্যরে মানুষ হিসেবে আমাদের হৃদয়ে, ছাপান্নো হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিজুড়ে। কারণ এই মানুষ ও মাটির জন্য বড়মিঞা স্বদেশী হয়েছেন, খেলাফতে গেছেন, পুলিশ মেরেছেন-পুলিশের মার খেয়েছেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছেন এবং সবশেষে বন্যা পীড়িত মানুষের জীবন বাঁচিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।

37 m ·übersetzen

মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক হতে হলে পরোপকারী হতে হবে। একজন অন্যজনের বিপদে এগিয়ে আসা, পাশে দাঁড়ানো, সহমর্মী হওয়া, শুধু নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করাই মনুষ্যত্ব।

পরোপকার মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের অলংকার। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যাণের

image
1 h ·übersetzen

এটি সম্পর্ককে করে উষ্ণ, প্রাণবন্ত ও আশাবাদী। হলুদ ভালোবাসা মনকে ভরিয়ে দেয় হাসি আর ইতিবাচকতায়, আনে নতুন সূচনা ও বিশ্বাসের বার্তা, যা চিরকাল হৃদয় আলোকিত করে রাখে।" (≈300 character)

image
1 h ·übersetzen

এটি সম্পর্ককে করে উষ্ণ, প্রাণবন্ত ও আশাবাদী। হলুদ ভালোবাসা মনকে ভরিয়ে দেয় হাসি আর ইতিবাচকতায়, আনে নতুন সূচনা ও বিশ্বাসের বার্তা, যা চিরকাল হৃদয় আলোকিত করে রাখে।" (≈300 character)

image
1 h ·übersetzen

এটি সম্পর্ককে করে উষ্ণ, প্রাণবন্ত ও আশাবাদী। হলুদ ভালোবাসা মনকে ভরিয়ে দেয় হাসি আর ইতিবাচকতায়, আনে নতুন সূচনা ও বিশ্বাসের বার্তা, যা চিরকাল হৃদয় আলোকিত করে রাখে।" (≈300 character)

image
1 h ·übersetzen

এটি সম্পর্ককে করে উষ্ণ, প্রাণবন্ত ও আশাবাদী। হলুদ ভালোবাসা মনকে ভরিয়ে দেয় হাসি আর ইতিবাচকতায়, আনে নতুন সূচনা ও বিশ্বাসের বার্তা, যা চিরকাল হৃদয় আলোকিত করে রাখে।" (≈300 character)

image