জৈব গ্যাস হলো বাতাসের অনুপস্থিতিতে জৈব বস্তুর অনুজীবীয় ভাঙ্গনের ফলে সৃষ্ট গ্যাস। এই গ্যাস মূলত মিথেন এবং কার্বন-ডাই অক্সাইডের সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বা সায়েন্স ল্যাবরেটরির যৌথ উদ্যোগে সত্তর দশকের প্রথম দিকে জৈব গ্যাস উৎপাদনের যন্ত্র নির্মাণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ১৯৭৬ সালে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ৩ ঘনফুট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন জৈব গ্যাস উৎপাদক যন্ত্র স্থাপন করা হয়। ১৯৯৬ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে গবাদি পশুর মোট সংখ্যা ২,৪১,৯০,০০০ যা থেকে প্রতিদিন ২৪,২০,০০০০০ কিলোগ্রাম বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এই পরিমাণ পশু বর্জ্য থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩,১৯,১০৯ ঘনমিটার জৈব গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। ২০০৪-০৫ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। এটি ১৯৯৬ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। এই পশু র্বজ্য থেকে আরো বেশি জৈব গ্যাস তৈরি সম্ভব। ৫-৬টি গবাদি পশু যে পরিবারে আছে সে পরিবারের দৈনন্দিন জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাধারণ আকৃতির জৈব গ্যাস উৎপাদন যন্ত্রই যথেষ্ট। জৈব গ্যাস জ্বালানি গ্যাস এবং কেরোসিনের উপর চাপ কমায়