গল্প: সময়ের দরজা
পর্ব ৭: বিকৃতির বিরুদ্ধে
রাহিনের হাতে সময়-ধনুক ঝলসে উঠল আগুনের রেখার মতো। ধনুকটা যেন কেবল অস্ত্র নয়—তার মনে, স্মৃতিতে, সিদ্ধান্তে গড়া এক শক্তি। সময়ের প্রবাহ আর স্মৃতির ভার মিলে তার হাতে গড়া হয়েছে এই অস্ত্র। বিকৃতি তখন আকার বদলাতে শুরু করল—একবার তার মায়ের মুখ, একবার বিধ্বস্ত পৃথিবী, আবার একবার রাহিন নিজে!
“তুমি যা ভয় পাও, আমি সেটাই,” বিকৃতি হেসে উঠল।
রাহিন গভীর শ্বাস নিয়ে চোখ বন্ধ করল। তার মনে ভেসে উঠল মা’র মুখ, তার কথাগুলো—“ভয় যখন পেছনে ফেলে আসবে, তখনই তুমি নিজেকে খুঁজে পাবে।”
সে ধনুক টেনে ধরল। সময়ের ধনুক থেকে ছুটে বেরোল এক উজ্জ্বল তীর, যা কোনো ধাতু নয়, বরং এক মুহূর্ত—যেই মুহূর্তে সে সত্যিকারে আত্মত্যাগ করেছিল।
তীরটা বিকৃতির বুকে গিয়ে ঢুকে পড়তেই চারপাশে সময়ের কাঁচ ভেঙে পড়ার শব্দ হলো। বিকৃতি চিৎকার করে বলল, “তুমি আমাকে শেষ করতে পারবে না! যতক্ষণ মানুষ ভুল করবে, আমি ফিরে আসব!”
“তুমি ফিরতেই পারো,” রাহিন বলল, “কিন্তু আমি আবার দাঁড়াবো। কারণ আমি এখন শুধু একজন মানুষ না, আমি সময়ের যোদ্ধা।”
বিকৃতি মিলিয়ে গেল কুয়াশায়। চারপাশ আবার শান্ত হয়ে এল।
হঠাৎ পেছন থেকে এক কণ্ঠ—“রাহিন, জেগে উঠো…”
পরবর্তী পর্বে দেখা যাবে—রাহিন কি সত্যিই সময়ের জগৎ থেকে ফিরে এসেছে? নাকি, যুদ্ধটা কেবল শুরু?
#sifat10