গল্প: সময়ের দরজা
পর্ব ৮: জেগে ওঠা
“রাহিন, জেগে উঠো…”
কণ্ঠটা যেন ধীরে ধীরে বাস্তব হয়ে উঠছে। রাহিনের চোখ খুলতেই সে দেখল, নিজেকে এক পরিচিত ঘরে—তার নিজের শোবার ঘর! জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো পড়ছে মুখে, আর পাশে বসে আছেন তার মা, চোখে জল।
“তুই তিনদিন অচেতন ছিলি, বাবা,” মা বললেন, “ডাক্তাররাও বুঝতে পারছিল না তোর কী হয়েছিল।”
রাহিন অবাক। তবে কি সবটা স্বপ্ন? সময়ের টাওয়ার, বিকৃতি, যুদ্ধ—সবই কল্পনা?
সে চোখ ঘোরাতেই দেখল—টেবিলের ওপর রাখা সেই পকেট ঘড়িটা। কিন্তু এবার ঘড়িটার কাঁটা ঘোরে না, বরং সেটার মাঝে গাঁথা আছে ছোট্ট একটা নকশা—সময়ের প্রতীক। সে ঘড়িটা হাতে নিয়ে অনুভব করল, ভেতরে এখনো স্পন্দন আছে। একটা তাপ, একটা স্পষ্ট শক্তি।
তার মনে পড়ল বিকৃতির শেষ কথা—"আমি ফিরব..."
রাহিন জানে, এখন হয়তো সে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক আর কখনো স্বাভাবিক থাকবে না।
সে শুধু সময় পেরোয়নি, সময় এখন তার ভিতরেই বাস করে।
ঘরের দেয়ালে তার চোখ আটকে গেল—একটা ছায়া, যা তার নিজের মতো, কিন্তু ঠিক একই না। রাহিন তাকিয়ে বলল,
“তুমি এসেছো?”
ছায়াটা মাথা নেড়ে বলল,
“পরবর্তী ডাকে তুমি তৈরি তো?”
#sifat10