13 sa ·Isalin

'এক পৃথিবী প্রেম' ধারণাটি কেবল ব্যক্তিগত সম্পর্কের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে আছে। এটি এক গভীর দর্শন, যা শেখায় কীভাবে আমরা নিজেদের এবং চারপাশের জগৎকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারি।
প্রেমের সর্বজনীন ভাষা
প্রেম এমন এক ভাষা যা সীমান্ত, সংস্কৃতি বা ধর্ম বোঝে না। এটি হৃদয়ের গভীরে উৎপন্ন এক অনুভূতি, যা মানুষকে একত্রিত করে, বিভেদ দূর করে এবং সহাবস্থানের পথ দেখায়। যখন আমরা অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হই, তাদের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করি এবং তাদের পাশে দাঁড়াই, তখনই এই সর্বজনীন প্রেম মূর্ত হয়ে ওঠে। একটি শিশুর হাসি, একজন অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানো, বা প্রকৃতির শান্ত সৌন্দর্য উপভোগ করা—এগুলো সবই প্রেমেরই বিভিন্ন প্রকাশ। এই প্রেমই আমাদের শেখায় যে আমরা সবাই একই সুতোয় বাঁধা, আর একে অপরের প্রতি যত্নশীল হওয়া আমাদের মানবধর্ম।
প্রেম ও মানসিক শান্তি
প্রেম শুধু বাইরের জগতের সঙ্গেই আমাদের সংযুক্ত করে না, এটি আমাদের ভেতরের শান্তিও নিয়ে আসে। যখন আমরা ভালোবাসি, তখন আমাদের মন থেকে হিংসা, ঈর্ষা, এবং নেতিবাচকতা দূরে চলে যায়। প্রেমময় পরিবেশে বেড়ে ওঠা একটি শিশু যেমন আত্মবিশ্বাসী হয়, তেমনি প্রেমময় একটি সমাজে একজন মানুষ মানসিক শান্তি অনুভব করে। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলে। আত্মপ্রেমও এখানে খুব জরুরি। নিজেকে ভালোবাসা, নিজের যত্ন নেওয়া এবং নিজের দুর্বলতাগুলো মেনে নেওয়াও এক ধরনের প্রেম, যা আমাদের ভেতরের শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।
প্রতিকূলতার মাঝেও প্রেম
পৃথিবীতে দুঃখ, কষ্ট, সংঘাত থাকবেই। কিন্তু এই প্রতিকূলতার মাঝেও প্রেমই হলো আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে যখন মানুষ একে অপরকে সাহায্য করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন সবাই কাঁধে কাঁধ মেলায়, বা মহামারীর সময় যখন স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে অন্যের সেবা করে, তখন প্রেমেরই জয় হয়। এই প্রেমই আমাদের resilience (সহনশীলতা) বাড়ায় এবং কঠিন সময়ে টিকে থাকার প্রেরণা যোগায়। "প্রেমের জয় অবশ্যম্ভাবী" - এই বিশ্বাসই আমাদের টিকে থাকার মূলমন্ত্র।
এক পৃথিবী প্রেম: এক বাস্তবসম্মত স্বপ্ন
'এক পৃথিবী প্রেম' হয়তো শুনতে অবাস্তব মনে হতে পারে, কিন্তু এটি একটি বাস্তবসম্মত স্বপ্ন, যা আমরা সবাই মিলে পূরণ করতে পারি। প্রতিটি ছোট ছোট ভালো কাজ, প্রতিটি সহানুভূতিপূর্ণ বাক্য, প্রতিটি নিঃস্বার্থ সাহায্যের হাত এই স্বপ্নের দিকে আমাদের এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। যখন আমরা আমাদের ব্যক্তিগত সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে এসে বৃহত্তর মানবজাতির কল্যাণের কথা ভাবব, তখনই এই পৃথিবী সত্যিকারের প্রেমের পথে হাঁটবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে পরিবার পর্যন্ত, প্রতিটি স্তরে যদি আমরা ভালোবাসা ও সহানুভূতির শিক্ষা দিতে পারি, তবেই আগামী প্রজন্ম একটি উন্নত বিশ্ব উপহার পাবে।
আপনি কী মনে করেন, প্রেম ছাড়া পৃথিবীটা কেমন হতো?

কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 m ·Isalin

Finalisina












কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image