গল্প: ছায়ামূর্তির প্রত্যাবর্তন
পর্ব ৯: নীরবতা কি মুক্তি দেয়?
ফোনটা কেটে গেল ঠাণ্ডা কণ্ঠস্বরের হুমকির পর। অরণ্য কিছুক্ষণ পেনড্রাইভের দিকে তাকিয়ে রইলেন—এ যেন একটা জীবন্ত বিস্ফোরক।
তিনি জানেন, এখন পুলিশে গেলেও কেউ বিশ্বাস করবে না। সুমিত কর এখন শহরের রাজনৈতিক তারকা, যার ছায়া প্রশাসনের ওপরও পড়ে।
কিন্তু বিভা? সে তো চেয়েছিল সত্যটা যেন চাপা না পড়ে। পেনড্রাইভটা গোপন করে রেখে অরণ্য ছুটে গেলেন বিভার ছোট বোনের কাছে। মেয়েটি ভীত, কিন্তু চোখে স্পষ্ট জেদ।
“আমি চুপ থাকব না,” সে বলল, “আপনি পাশে থাকলে আমি লড়ব।”
সন্ধ্যার ঠিক আগে অরণ্য গিয়ে হাজির হলেন একটি সাংবাদিক বন্ধুর বাড়িতে। সব বললেন, দেখালেন ভিডিও। বন্ধুটি থমকে গেল।
“এই প্রমাণ যদি সত্যি, তবে এই শহর কেঁপে উঠবে,” সে বলল।
ঠিক তখনই দরজার নিচ দিয়ে সরে এলো এক খাম। খুলে দেখলেন—শুধু একটি লাইন লেখা:
“তোমার সময় শেষ, অরণ্য।”
অরণ্য জানলেন—তিনি আর একজন সাধারণ অধ্যাপক নন। তিনি এখন সেই আগুনের মুখে দাঁড়িয়ে, যা সত্যকে গ্রাস করতেও দ্বিধা করবে না।
#sifat10
mdalamingazi
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?