ছায়ার শহর
অন্ধকারে ঢাকা এক শহর, যেখানে কখনো সূর্য ওঠে না। সেই শহরের নাম ছিল নক্ষত্রিনগর। শহরের মানুষরা বিশ্বাস করত, ছায়ার পর্দার আড়ালে এক পুরনো মন্ত্র কাজ করে — যেটা শহরকে অন্ধকারে আবৃত রাখে। কেউ জানত না কেন, আবার কেউ জানত না কবে থেকে।
একদিন, তরুণ জয়, যার হাতে ছিল এক রহস্যময় ক্রিস্টাল, শহরে এল। ক্রিস্টালটি ছিল তার দাদুর রেখে যাওয়া এক অমূল্য সম্পদ, যা স্পর্শ করলেই চারপাশে হালকা আলো জ্বলে উঠত, কিন্তু সেই আলো কখনো পুরো অন্ধকার দূর করতে পারত না।
জয় লক্ষ্য করল, শহরের মানুষের চোখে বিষন্নতা আর অন্ধকারের ছায়া বেড়েই চলেছে। শহরের এক প্রাচীন গ্রন্থাগারে গিয়ে সে ‘ছায়ার হৃদয়’ নামে এক প্রাচীন মন্ত্রের কথা পড়ল, যা শহরের অন্ধকার মুক্ত করতে পারে। কিন্তু সেই মন্ত্র চালাতে হলে, প্রথমেই তাকে নিজের ভেতরের অন্ধকারের মুখোমুখি হতে হবে।
জয় গভীর ধ্যান করল, নিজের সবচেয়ে গোপন ভয় আর দু:খের মুখোমুখি হলো। ক্রিস্টালের আলো তখন ধীরে ধীরে তার ভেতরের অন্ধকারকে আলোকিত করতে লাগল। এক অদ্ভুত জাদু প্রবাহিত হলো তার শরীরে।
অন্ধকারের শক্তি তাকে ছোঁয়াতে চাইল, কিন্তু জয়ের আত্মবিশ্বাস তাকে শক্তি দিল। সে বুঝতে পারল, অন্ধকারের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, বরং তাকে আলোর সাথে মিশিয়ে সমঝোতা করতেই মুক্তি সম্ভব।
জয় তার ক্রিস্টাল থেকে এক দীপ্তিমান আলো বের করল, যেটা শহরের প্রতিটি গলিপথে ছড়িয়ে পড়ল। অন্ধকারের পর্দা ধীরে ধীরে সরতে শুরু করল, আর নক্ষত্রিনগরের মানুষরা সূর্যের আলো দেখল বহু বছর পর প্রথমবারের মতো।
শহর জেগে উঠল, আর জয় হয়ে গেল সেই কিংবদন্তি, যে নিজের ভেতরের ছায়াকে জয় করে শহরকে আলোয় পূর্ণ করেছিল।
#sifat10
mdalamingazi
Kommentar löschen
Diesen Kommentar wirklich löschen ?
Raj000
Kommentar löschen
Diesen Kommentar wirklich löschen ?