জঙ্গলের শেষ পথ
অনেক বছর আগে, এক ছোট্ট গ্রামে বাস করত রাহুল, এক সাহসী ছেলে যাকে সবাই তার সাহস আর উদ্যমের জন্য চিনত। একদিন সে শুনল গ্রামের কাছেই ঘন জঙ্গলে এক প্রাচীন ধন লুকানো আছে, যা বহু বছর ধরে কেউ পায়নি।
রাহুলের মনে উত্সাহ জাগল। সে ঠিক করল, এই ধন খুঁজে বের করবে। সকালে রাহুল তার ছোট ব্যাগ নিয়ে জঙ্গলের গভীরে যাত্রা শুরু করল।
শুরুতে জঙ্গল অনেক সুন্দর আর শান্ত মনে হল। পাখির গান, ঝর্ণার ঝর্না আর হালকা হাওয়া তাকে উৎসাহ দিল। কিন্তু যত গভীরে গেল, ততই অন্ধকার গাঢ় হতে লাগল, আর অদ্ভুত শব্দ শোনা যেতে লাগল।
রাত হলে, রাহুল একটা পুরনো পাথরের বুমিতে পৌঁছল, যেখানে কিছু রহস্যময় চিহ্ন ছিল। সে বুঝতে পারল, এই চিহ্নগুলো তাকে ধনের অবস্থান নির্দেশ করবে। কিন্তু এখানেই জঙ্গলের প্রথম বড় বাধা এল — একটা বিশাল বাঘ, যার চোখ জ্বলছিল আগুনের মতো।
রাহুল হিমশীতল হয়ে গেল, কিন্তু তার সাহস তাকে পিছিয়ে যেতে দিল না। সে ধীরে ধীরে পাথরের চিহ্ন বিশ্লেষণ করল, আর বাঘের দৃষ্টি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে পরবর্তী গন্তব্য ঠিক করল।
দিন গড়াতে গড়াতে রাহুল একটা পুরনো গুহায় পৌঁছল। গুহার ভিতরে ছিল এক রহস্যময় বাতাস, যা থেকে অদ্ভুত আলোর ঝলক লাগছিল। সে বুঝতে পারল, ধন গুহার ভেতরেই লুকানো।
গুহার মধ্যে ঢুকে সে দেখল এক প্রাচীন সিন্দুক। কিন্তু সিন্দুকের মুখে ছিল এক কঠিন পাজল, যা না খোলা গেলে ধন পাওয়া যাবে না।
রাহুল তার বুদ্ধি আর আগের চিহ্ন থেকে পাওয়া সূত্র নিয়ে পাজলটি সমাধান করল। সিন্দুক খুলতেই সে দেখল ভেতরে নেই স্বর্ণ বা রুপোর ধন, বরং একটি প্রাচীন মানচিত্র — যা আরেক রহস্যময় স্থানের নির্দেশ দিচ্ছিল।
সে বুঝল প্রকৃত ধন হচ্ছে যাত্রা আর অভিজ্ঞতা। মানচিত্রটি তার নতুন অভিযান শুরু করার আহ্বান।
রাহুল ফিরে গেল গ্রামে, অভিজ্ঞতা আর সাহস নিয়ে, যার গল্প শুনে গ্রামবাসীরা নতুন প্রেরণা পেল।
জঙ্গলের শেষ পথ ছিল সাহস আর বুদ্ধির এক অসাধারণ যাত্রা, যা শিখিয়েছিল ধন সবসময় টাকা নয়, বরং জীবনের গল্প আর অর্জন।
#sifat10
mdalamingazi
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
Raj000
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
SABINA BEGUM
অনেক বছর আগে, এক ছোট্ট গ্রামে বাস করত রাহুল, এক সাহসী ছেলে যাকে সবাই তার সাহস আর উদ্যমের জন্য চিনত। একদিন সে শুনল গ্রামের কাছেই ঘন জঙ্গলে এক প্রাচীন ধন লুকানো আছে, যা বহু বছর ধরে কেউ পায়নি।
রাহুলের মনে উত্সাহ জাগল। সে ঠিক করল, এই ধন খুঁজে বের করবে। সকালে রাহুল তার ছোট ব্যাগ নিয়ে জঙ্গলের গভীরে যাত্রা শুরু করল।
শুরুতে জঙ্গল অনেক সুন্দর আর শান্ত মনে হল। পাখির গান, ঝর্ণার ঝর্না আর হালকা হাওয়া তাকে উৎসাহ দিল। কিন্তু যত গভীরে গেল, ততই অন্ধকার গাঢ় হতে লাগল, আর অদ্ভুত শব্দ শোনা যেতে লাগল।
রাত হলে, রাহুল একটা পুরনো পাথরের বুমিতে পৌঁছল, যেখানে কিছু রহস্যময় চিহ্ন ছিল। সে বুঝতে পারল, এই চিহ্নগুলো তাকে ধনের অবস্থান নির্দেশ করবে। কিন্তু এখানেই জঙ্গলের প্রথম বড় বাধা এল — একটা বিশাল বাঘ, যার চোখ জ্বলছিল আগুনের মতো।
রাহুল হিমশীতল হয়ে গেল, কিন্তু তার সাহস তাকে পিছিয়ে যেতে দিল না। সে ধীরে ধীরে পাথরের চিহ্ন বিশ্লেষণ করল, আর বাঘের দৃষ্টি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে পরবর্তী গন্তব্য ঠিক করল।
দিন গড়াতে গড়াতে রাহুল একটা পুরনো গুহায় পৌঁছল। গুহার ভিতরে ছিল এক রহস্যময় বাতাস, যা থেকে অদ্ভুত আলোর ঝলক লাগছিল। সে বুঝতে পারল, ধন গুহার ভেতরেই লুকানো।
গুহার মধ্যে ঢুকে সে দেখল এক প্রাচীন সিন্দুক। কিন্তু সিন্দুকের মুখে ছিল এক কঠিন পাজল, যা না খোলা গেলে ধন পাওয়া যাবে না।
রাহুল তার বুদ্ধি আর আগের চিহ্ন থেকে পাওয়া সূত্র নিয়ে পাজলটি সমাধান করল। সিন্দুক খুলতেই সে দেখল ভেতরে নেই স্বর্ণ বা রুপোর ধন, বরং একটি প্রাচীন মানচিত্র — যা আরেক রহস্যময় স্থানের নির্দেশ দিচ্ছিল।
সে বুঝল প্রকৃত ধন হচ্ছে যাত্রা আর অভিজ্ঞতা। মানচিত্রটি তার নতুন অভিযান শুরু করার আহ্বান।
রাহুল ফিরে গেল গ্রামে, অভিজ্ঞতা আর সাহস নিয়ে, যার গল্প শুনে গ্রামবাসীরা নতুন প্রেরণা পেল।
জঙ্গলের শেষ পথ ছিল সাহস আর বুদ্ধির এক অসাধারণ যাত্রা, যা শিখিয়েছিল ধন সবসময় টাকা নয়, বরং জীবনের গল্প আর অর্জন।
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
Md Shakib Islam
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?