---
১. গল্প: এক কাপ চা
রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডায় কাঁপছে এক ভিক্ষুক। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণ ছেলেটি তাকে একটা কাপ চা দিল। বৃদ্ধ বলল, “তুমি জানো না, আজ আমার জন্মদিন।”
ছেলেটা হেসে বলল, “তাহলে এটা তোমার জন্মদিনের চা!”
একটা কাপ চা, কিন্তু তাতে ছিল অশেষ ভালোবাসা।
---
২. গল্প: পরীক্ষার দিন
তামান্না পড়তে বসেছে, কিন্তু ভয় পেয়ে গেছে। হঠাৎ বাবা এসে বললেন, “জানিস, আমি জীবনে সবচেয়ে বড় ব্যর্থ হয়েছিলাম ক্লাস সেভেনে। তারপরও আজ আমি তোকে পড়াতে পারছি, তাই না?”
তামান্নার ভয় কেটে গেল।
পরীক্ষা নয়, সাহসই আসল চাবি।
---
৩. গল্প: হঠাৎ দেখা
স্টেশনে দাঁড়িয়ে রায়হান হঠাৎ দেখতে পেলো কলেজের প্রেমিকা সুমিকে।
সুমি তাকিয়ে বলল, “এই ট্রেনটা আমরা দুজনেই মিস করেছি, বুঝি?”
রায়হান বলল, “হয়তো ঠিকই করেছি। জীবন তো আর ট্রেন না, ফেরাও আছে।”
---
৪. গল্প: উল্টো পত্রিকা
দাদু প্রতিদিন উল্টো করে পত্রিকা পড়েন। নাতি বলল, “দাদু, আপনি ভুল করে পড়ছেন।”
দাদু বললেন, “আমি ঠিকই পড়ছি। সমস্যা হলো, আজকাল সব খবরই উল্টোপথে চলে।”
---
৫. গল্প: গন্ধটা চেনা
রিনার নতুন বাসায় হঠাৎ পরিচিত রান্নার গন্ধ। জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখল পাশের বাসার রান্নাঘর থেকে আসছে।
সেই মানুষটা—তার হারিয়ে যাওয়া মা।
২০ বছর পর গন্ধই ফিরিয়ে আনলো সম্পর্ক।
---
৬. গল্প: ডাকঘর
একটা ছোট্ট ছেলে প্রতিদিন একটা চিঠি পোস্ট করে, যেখানে লেখা—“আব্বু, কবে আসবে?”
ডাকপিয়ন একদিন সাহস করে তার মাকে জিজ্ঞেস করে। মা চোখের পানি মুছে বলেন, “ওর বাবা যুদ্ধ থেকে ফিরবে না জানি, তবু ও চিঠি পাঠায়… আশা তো এভাবেই বাঁচে।”
---
৭. গল্প: ভূতের চটি
তানিম রাতে ভূতের গল্প পড়ছে, হঠাৎ জানালা খুলে গেল। সে ভয়ে বইটা বন্ধ করল।
একটা কাগজ উড়ে এসে পড়ল টেবিলে—
লেখা: “ভালো লাগলো গল্পটা, কিন্তু শেষটা একটু দুর্বল হলো।”
নিচে সই: “তোমার পাশের ভুত”।
---
৮. গল্প: একটুখানি ভালোবাসা
বৃদ্ধা মা ফেলে রাখা পোশাক কাচেন প্রতিদিন, যদিও ছেলে এখন আর বাড়িতে আসে না।
কেউ বলল, “এত কষ্ট করো কেন?”
মা হাসলেন, “যদি হঠাৎ একদিন ফিরে আসে, যেন ভাবে মা অপেক্ষা করছে।”
---
৯. গল্প: পকেটের নোট
রাব্বী একটা পুরনো শার্ট পরতে গিয়ে পকেটে একটা ছোট কাগজ পেল।
লেখা: “ইন্টারভিউয়ের জন্য শুভকামনা। আমি জানি তুমি পারবে।”
তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন সেই দিনই।
আজ ১০ বছর পর আবার সেই নোট তাঁকে শক্তি দিলো।
---
১০. গল্প: নামহীন প্রেম
এক তরুণী প্রতিদিন লাইব্রেরিতে এসে বই পড়ে। এক তরুণ তাকে দূর থেকে দেখেই ভালোবেসে ফেলে। সাহস করে কিছু বলে না।
একদিন সে টেবিলে রেখে যায় একটা চিরকুট:
“তুমি আমার প্রিয় পৃষ্ঠা—যেটা প্রতিদিন পড়েও পুরোনো হয় না।”
তরুণী ফিরে তাকায়। চোখে হাসি। যেন বলছে, "আমি তো অপেক্ষা করছিলাম এই পাতার জন্যই।"