ঝড়ে কাঁপে বনবীথি,
দিগন্ত জুড়ে মেঘের সীথি।
বৃষ্টি নামে, বেজে ওঠে,
প্রকৃতি গায় অজানা নোটে

3 d ·翻訳

গল্প: বেল বাজে

ক্লাসে বেল বেজে যায়, সবাই দৌড়ায়।
রিনা চেয়ার গুছিয়ে যায়। শিক্ষক বলেন, “তুমি যদি সবার মতো না হও, তবেই আলাদা।”
ভালো আচরণ চুপিচুপি নজরে পড়ে।

3 d ·翻訳

গল্প: মাটির ঘ্রাণ

বৃষ্টি শুরু হলে রাহিলা ছুটে যায় উঠোনে।
মাটি ভিজে সোঁদা গন্ধে সে বলে, “এটাই আমার শৈশব!”
গন্ধেও জেগে ওঠে স্মৃতি।

3 d ·翻訳

গল্প: বৃষ্টির দিন

বৃষ্টি নেমেছে ঝুমঝুম করে। রাস্তার কুকুরটা ভিজছে।
ছোট ছেলেটা নিজের ছাতা ধরিয়ে দেয় তার ওপর।
কেউ দেখে না, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা দেখেন।
ভালোবাসা শুধু মানুষেই নয়, প্রাণেও।

একটি ছেলেকে বলা এক বাবার হৃদয়ছোঁয়া কথা......!

বাবা ছেলেকে বললেন:

“আগে নতুন বউকে গরুর গাড়ি নয়, পালকিতে করে আনা হতো জানিস কেন?
যাতে সবাই বুঝে নেয়, একজন রাজরানিকে আনা হচ্ছে, সাধারণ কাউকে নয়।
পালকি থেকে নামার পরেও সে যেন সারাজীবন এই সম্মানেই থাকে
এটা তোর দায়িত্ব।”

“তুই জানিস, নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে?
সে কাঁদে।

কার জন্য কাঁদে?
শুধু ফেলে আসা মা-বাবার জন্য না,
সে কাঁদে অজানা ভবিষ্যতের ভয়ে।

তোর কাজ হলো
এই কান্নাই তার জীবনের শেষ কান্না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।”

“এরপর সে কাঁদবে মাত্র দুইবার:
১/ মা হওয়ার আনন্দে,
২/তুই মারা গেলে, তোর শোকে।

মাঝখানে যত দুঃখ আসবে,
তুই হবে তার চোখের অশ্রুমুছনো হাত।”

“জানিস, বউ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় কিসে?
স্বামীর খারাপ ব্যবহারে।

আমি খুব রাগী,
তবু কখনো তোর মায়ের সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলিনি।
বিয়ে মানে একটা মেয়ের জীবনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া।
এ দায়িত্ব ভুলে গেলে, সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতেই হবে।”

“আরেকটা কথা মনে রাখিস
তোর বউয়ের মা-বাবাকে কখনো ‘শ্বশুর-শাশুড়ি’ বলিস না,
মা-বাবা বলিস।
তুই যেমন বলবি, তোর বউ তেমনই শিখবে।
ভালোবাসা শেখানো শুরু হয় নিজের ব্যবহার দিয়ে।”

“সৃষ্টিকর্তা সবকিছু দেখেন।
তোর পাল্লায় তুই যা দিবি,
তিনি তাঁর পাল্লায় ঠিক তাই দিবেন।”

বিয়ে মানে শুধু দু’জন মানুষের বন্ধন নয়,
এটা একে অপরের চোখের জল মুছে ফেলার চুক্তি।

*****যদি বাবার এই উপদেশ ভালো লেগে থাকে,
শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন হয়তো কোনো এক ছেলের চোখ খুলে যাবে আজ 🥰🥀#foryouシ

রাহাত প্রতিদিন স্কুলে যায় একটা নীল ছাতা নিয়ে, বাবার উপহার। একদিন বৃষ্টির মধ্যে ছাতাটা লাইব্রেরিতে ফেলে আসে। বাসায় ফিরে মনে পড়তেই মন খারাপ হয়ে যায়।

পরদিন ছুটে যায় স্কুলে, কিন্তু ছাতাটা নেই। মনে হয়, বাবার স্মৃতিটাও হারিয়ে গেছে।

দুদিন পর ফারুক কাকা এসে বললেন, “এই ছাতাটা কি তোমার?”
রাহাত অবাক হয়ে দেখে—সেই নীল ছাতা!

ছাতাটা আবার হাতে পেয়ে, মনে হলো বাবার ভালোবাসাও ফিরে এলো।

1 の ·翻訳

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​আপনি সম্ভবত 'আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ' সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
​আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ (Al-Hayatul Ulya Lil-Jami'atil Qawmia Bangladesh)
​এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সরকার স্বীকৃত একক ও সমন্বয়কারী ইসলামি শিক্ষা বোর্ড। এর অধীনে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
​১. প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য:
​প্রতিষ্ঠা: ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এটি গঠিত হয়।
​উদ্দেশ্য: কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান করা এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা।
​২. কার্যক্রম ও কার্যাবলী:
​দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ: এটি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সকল বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতি শিক্ষাবর্ষে দেশজুড়ে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর সম্পন্ন হয়।
​শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ: আল-হাইআতুল উলয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ, মানসম্পন্ন প্রমিত পাঠক্রম প্রণয়ন এবং বোর্ড ও মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনে কাজ করে।
​সনদ প্রদান ও যাচাইকরণ: দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ ইস্যু ও যাচাইকরণের দায়িত্ব পালন করে।
​ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম: পরীক্ষার সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য 'হাইআতুল উলয়া এক্সাম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (HEMS)' নামে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিবন্ধন, ফর্ম পূরণ, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, প্রশ্ন প্রস্তুতি ও বিতরণ, প্রবেশপত্র প্রদান, স্ক্রিপ্ট বিতরণ ও সংগ্রহ, ইনভিজিলেশন, পরীক্ষার উপস্থিতি গ্রহণ, ফলাফল প্রদান ও প্রকাশ, এবং সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এর একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপও রয়েছে।
​৩. মূলনীতি ও বৈশিষ্ট্য:
​দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি অনুসরণ: এই বোর্ড দারুল উলূম দেওবন্দের আদর্শ, মূলনীতি ও মত-পথের অনুসরণে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে: ঈমান, তাকওয়া ও তাওয়াক্কালতু আল্লাহ (আল্লাহর উপর নিরঙ্কুশ ভরসা) এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকে জীবনের পরম ব্রত হিসেবে গ্রহণ।
​আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর সাহাবায়ে কিরামের (রাঃ) মতাদর্শ অনুসরণে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের মতাদর্শ অনুসরণ করা হয়।
​চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা: চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হানাফী মাযহাব অনুসরণ করা হয়।
​আধ্যাত্মিক তরীকা: সুপরিচিত চার তরীকা (চিশতিয়া, সোহরাওয়ারদিয়া, নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া ও কাদিরিয়া) সহ সকল হকপন্থি ধারার প্রতি সহনশীল ও উদার মনোভাব পোষণ করা হয়।
​৪. প্রশাসনিক কাঠামো:
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ বাংলাদেশের ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সকল দাওরায়ে হাদিস কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধিত্ব করে। এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত।
​সংক্ষেপে, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ অথরিটি, যা কওমি শিক্ষার মানোন্নয়ন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারিভাবে মাস্টার্সের সমমান মর্যাদা দেওয়ার কাজ করে।

পুরোনো ক্লাসরুম, সেই বেঞ্চ, সেই বন্ধুদের হাসি...সব কিছু একদিন গল্প হয়ে যায়। কলেজটা তখন শুধুই স্মৃতি, আর হৃদয় জুড়ে আবেগ।

1 の ·翻訳

​পটভূমি
​২০২৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে একটি রায় দেয়। এই রায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ১ জুলাই থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন। মূলত "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন"-এর ব্যানারে এই আন্দোলন শুরু হলেও, এটি দ্রুতই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করে।
​আন্দোলনের সময়রেখা
​১-১৫ জুলাই: কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম কয়েকদিন আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না আসায় এবং উল্টো দমন-পীড়ন শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
​১৬ জুলাই: এই দিনটি আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এই মৃত্যুর খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসের হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বের করে দেয়।
​১৭-১৯ জুলাই: আন্দোলন আরও সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র কর্মীদের হামলায় সারা দেশে বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। বিশেষ করে ১৯ জুলাই ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন, যখন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এই সময়ের সহিংসতাকে পরবর্তীতে "জুলাই গণহত্যা" নামে অভিহিত করা হয়।
​১৭ জুলাই: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা নিয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং কোটা আন্দোলনের সমালোচনা করেন। ওই দিন রাতে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
​১৮ জুলাই: মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে এবং আন্দোলনের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী 'কমপ্লিট শাটডাউন' বা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এই অবরোধ কর্মসূচিতে সারা দেশের সড়ক ও রেলপথ অচল হয়ে পড়ে, জনজীবন স্থবির হয়ে যায়।
​২১ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে এবং সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% এবং ৭% কোটা বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।
​২৩ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে, ততক্ষণে আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবি ছাড়িয়ে রাজনৈতিক রূপ ধারণ করে। আন্দোলনকারীরা সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি তোলেন।
​২৪ জুলাই: আন্দোলনকারীরা "অসহযোগ আন্দোলন"-এর ডাক দেন। এই অসহযোগ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সরকারের সকল প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়া। এতে দেশজুড়ে সরকারের কার্যকারিতা প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
​৫ আগস্ট: দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে এক দশকের বেশি সময়ের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
​ফলাফল
​জুলাই মাসের এই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান উপদেষ্টা হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

1 の ·翻訳

জীবনের পথে চলার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা নিচে দেওয়া হলো, যা আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করবে:
​নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন: প্রতিটি মানুষের ভিতরে অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। নিজের ক্ষমতাকে ছোট করে দেখবেন না। আপনি যা কিছু করতে চান, তার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় সব শক্তি আপনার ভিতরেই আছে।
​ভুল থেকে শিখুন: ভুল করা মানেই হেরে যাওয়া নয়, বরং শেখার একটি সুযোগ। প্রতিটি ভুল আপনাকে আরও অভিজ্ঞ এবং শক্তিশালী করে তোলে। ভুলকে ভয় না পেয়ে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান।
​ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন: বড় কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য একবারে সবটা করার দরকার নেই। প্রতিদিন একটি করে ছোট পদক্ষেপ নিন। এই ছোট পদক্ষেপগুলো একসময় আপনাকে আপনার লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে দেবে।
​হতাশাকে জয় করুন: জীবনে কঠিন সময় আসবেই। কিন্তু মনে রাখবেন, অন্ধকার যত গভীর হয়, ভোরের আলো তত কাছে আসে। হতাশার মুহূর্তে হাল ছেড়ে না দিয়ে নিজের লক্ষ্যের দিকে মনোযোগ দিন।
​অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করবেন না: প্রতিটি মানুষের পথ আলাদা। অন্যের সাফল্যের সাথে নিজের ব্যর্থতাকে তুলনা করে হতাশ হবেন না। নিজের গতিতে, নিজের ছন্দে এগিয়ে চলুন।
​সবসময় ইতিবাচক থাকুন: ইতিবাচক মনোভাব আপনার জীবনে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসে। যখনই কোনো কঠিন পরিস্থিতি আসে, তখন তার ভালো দিকটি খোঁজার চেষ্টা করুন।
​সাহস রাখুন: নতুন কিছু শুরু করতে বা কোনো ঝুঁকি নিতে ভয় পাবেন না। সাহস আপনাকে নতুন দিগন্তের সন্ধান দেবে এবং আপনার জীবনকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে।
​মনে রাখবেন, জীবন একটি যাত্রা। এই যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করুন এবং নিজেকে প্রতিদিন আরও উন্নত করার চেষ্টা করুন।

1 の ·翻訳

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দাজ্জাল সম্পর্কে তাঁর উম্মতকে সতর্ক করার জন্য অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন। এই হাদিসগুলো থেকে দাজ্জালের পরিচয়, তার ফিতনা এবং তার মোকাবেলা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।
​দাজ্জাল সম্পর্কে মহানবী (সা.)-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো:
​দাজ্জালের শারীরিক বৈশিষ্ট্য
​এক চোখ কানা: নবী করিম (সা.) বলেছেন, "প্রত্যেক নবীই তাঁর জাতিকে মিথ্যাবাদী কানা (দাজ্জাল) সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। সাবধান! দাজ্জাল কানা হবে, কিন্তু তোমাদের রব কানা নন।" (সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম) অন্য এক হাদিসে এসেছে যে, তার ডান চোখ কানা এবং তা ফোলা আঙ্গুরের মতো হবে।
​কপালে 'কাফির' লেখা: দাজ্জালের দুই চোখের মাঝখানে 'কাফির' (ك ف ر) লেখা থাকবে, যা প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিই পড়তে পারবে।
​চুল ও গঠন: দাজ্জালের চুল হবে কোঁকড়ানো এবং তার দেহ হবে মোটা ও শক্তপোক্ত। সে হবে বেঁটে আকৃতির।
​দাজ্জালের ক্ষমতা ও ফিতনা
​দাজ্জাল নিজেকে প্রভু বা আল্লাহ হিসেবে দাবি করবে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অনেক অলৌকিক ঘটনা দেখাবে। এই অলৌকিক ঘটনাগুলো হবে তার ফিতনা বা পরীক্ষা।
​জান্নাত ও জাহান্নাম: তার সঙ্গে জান্নাত ও জাহান্নামের চিত্র থাকবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, তার দেখানো জান্নাত হবে আগুন (জাহান্নাম) এবং তার দেখানো জাহান্নাম হবে সুমিষ্ট ঠাণ্ডা পানি (জান্নাত)।
​বৃষ্টি ও ফসল: সে আকাশকে বৃষ্টি বর্ষণের নির্দেশ দেবে এবং ভূমিকে ফসল উৎপাদনের নির্দেশ দেবে। মানুষ তার এই ক্ষমতা দেখে বিভ্রান্ত হবে।
​মৃতকে জীবিত করা: সে মানুষের মৃত বাবা-মাকে জীবিত করে দেখাবে (প্রকৃতপক্ষে সেগুলো শয়তান হবে), যাতে মানুষ তাকে বিশ্বাস করে।
​সম্পদের ভান্ডার: সে পৃথিবীর ধন-সম্পদের ভান্ডারকে বের করে আনবে।
​দাজ্জালের বিস্তার ও প্রবেশ নিষিদ্ধ স্থান
​দাজ্জাল মক্কা ও মদিনা ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সব শহরেই প্রবেশ করবে। মক্কা ও মদিনার প্রবেশ পথে ফেরেশতারা পাহারা দেবেন, তাই সেখানে সে প্রবেশ করতে পারবে না। সে মদিনার উপকণ্ঠে একটি লোনা জমিতে আসবে, তখন মদিনা তিনবার কেঁপে উঠবে এবং সকল মুনাফিক ও কাফির সেখান থেকে বের হয়ে তার সাথে যোগ দেবে।
​দাজ্জালের শেষ পরিণতি
​দাজ্জালের ফিতনা যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে, তখন ঈসা (আ.) আকাশ থেকে নেমে আসবেন। তিনি সিরিয়ার দামেস্কের পূর্ব প্রান্তে সাদা মিনারের কাছে অবতরণ করবেন। তারপর তিনি দাজ্জালকে খুঁজে বের করবেন এবং 'লুদ' নামক স্থানে তাকে হত্যা করবেন।
​মহানবী (সা.) দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য কিছু দোয়া শিখিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো, নামাজের শেষ বৈঠকে "আল্লাহুম্মা ইন্নি আ'উযু বিকা মিন আযাবি জাহান্নাম..." এই দোয়াটি পড়া। এছাড়াও সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে পাঠ করার কথা বলেছেন।
​এই হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায় যে, দাজ্জালের ফিতনা হবে মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। তাই প্রত্যেক মুসলিমের জন্য তার সম্পর্কে জ্ঞান রাখা এবং এই ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা অপরিহার্য।