11 ভিতরে ·অনুবাদ করা

#মন_পাঁজরে_তুই
#আরেব্বা_চৌধুরী
#পর্বঃ ০২

-রাখ তোর ভালোবাসা, এখন এটা বল তোর গার্লফ্রেন্ডকে যে দেখালি না কাল কাকে উঠায় নিয়া আসবো?(আবইয়াজ)
-ভাই বিয়ের দিন কনে সাজে কে?(রাকিব)
-যার বিয়ে সে।(আবইয়াজ)
-কয়টা কনে থাকে?
-একটা।
-তাহলে কাকে উঠিয়ে আনতে হবে?
-কনে কে।
-এই তো বুঝে গেলি ভাই আমার তাহলে এতো প্রশ্ন করিস কেনো?(রাকিব)
-থাক দেখা লাগবে না আমার, কাল যাকে উঠায়া নিয়া আসবো তাকেই বিয়ে করবি তুই।(আবইয়াজ)
-এই তুই কি যাকে তাকে উঠিয়ে নিয়ে আসবি নাকি?
-পাগল নাকি আমি? কনেকেই নিয়ে আসবো।
-দেখিস ভাই সাবধানে।(রাকিব)
-ওকে তাহলে কাল দেখা হচ্ছে বাই।

বাড়িটি খাঁন বাড়ি নামে পরিচিত, আহনাফ খাঁন ও রাজিয়া খাঁনের জমজ দুই ছেলে ফাইয়াজ খাঁন ও আবইয়াজ খাঁন নিয়ে তাদের ছোট্ট সংসার।
দুই ছেলেই কোনো কাজের না সারাদিন বাইক নিয়ে ঠইঠই করে ঘুরে বেড়ায় আর দিন শেষে বাসায় ফিরে দুজনের ঝগড়া লেগেই থাকে। জমজ হওয়ায় দুই ছেলেকে আলাদা করে বাছাই করা মুশকিল বাইরের কেউ দুজনকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারবে না।
দুই ছেলেকে আলাদাভাবে চেনার জন্য রাজিয়া খাঁন ফাইয়াজের ডান হাতের পিঠে একটা তিল বসিয়ে দিয়েছিলেন।
দুজনকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করার একমাত্র উপায় ফাইয়াজের হাতের এই তিল।

বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে আছে ফাইয়াজ, ধড়াম করে পিঠের উপর কিছু একটা এসে পড়লো।
ওমাহ বলে ককিয়ে উঠলো সে, মাথা উঁচিয়ে দেখলো পিঠের উপর পিঠ ঠেকিয়ে আবইয়াজ চ্যাপ্টা হয়ে শুয়ে আছে।
-সর, আমার উপর থেকে সর! তাই তো বলি একশো কেজি ওজনের চালের বস্তা আমার উপরে এসে পড়লো কি করে।(ফাইয়াজ)
-ফাইয়াজ তোর জন্য একটা ভাবি নিয়ে আসবো ভাবছি।
-ফাটিয়ে একটা থাপ্পড় দিবো বেয়াদব আমি তোর বড় হই।(ফাইয়াজ)
-তো! তো কি হয়েছে? তুই আমার এক মিনিট বিশ সেকেন্ডের বড়, এটাকে কি কেউ বড় বলে?(আবইয়াজ)
-ওয়েট ওয়েট। তুই এটা কি পড়েছিস?(ফাইয়াজ)
-কেনো দেখতে পাচ্ছিস না তোর শার্ট পড়ে আছি।(আবইয়াজ)
-সব কিছুতেই বেশি বেশি করে ফেলিস তুই, আমার সব কিছুতেই তোর হাত দেওয়া লাগবে কেনো?
-তুই যেমন আহনাফ খাঁনের ছেলে আমিও তেমন আহনাফ খাঁনের ছেলে আর এগুলা আসে কোথা থেকে? বাপের গোডাউন থেকে সো এগুলোর উপর তোর যেমন অধিকার আছে তেমনই আমারও আছে।
-তোর কি মনে হয় না আবইয়াজ তুই বেশি বেশি করে ফেলিস?
-নাহ, একটুও নাহ।
-বের হ আমার রুম থেকে আর কখনো যদি দেখি এই রুমে পা রেখেছিস তাহলে পা ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেবো।(ফাইয়াজ)
-হ্যাঁ তুই ভাঙবি আর আমি বসে বসে দেখবো।
-কি করবি তুই?
আবইয়াজ গিয়ে ফাইয়াজের খাটের উপর শুয়ে পড়লো।
-তুই রুমে আসতে বারণ করছিস না? দেখ আমি তোর খাটের উপর শুয়ে আছি এবার কি করবি কর।
-এ আম্মু।(চিৎকার করে উঠলো ফাইয়াজ)
-আমি কি রাজিয়াকে ভয় পাই? ডাক দে তোর বোনকে।
-তোর মতো বেয়াদবকে আম্মু কেমনে পেটে ধরছে আমার মাথায় আসে না।
-এখানে বেয়াদবির কি দেখলি? মাই চাচার মেয়ে ইজ মাই চাচাতো বোন,, মাই মামার মেয়ে ইজ মাই মামাতো বোন,, দ্যান মাই নানার মেয়ে ইজ মাই নানাতো বোন।
-চুপ থাক, বেয়াদব একটা হইছে।
-তাহলে শোন তোরে আমার ভবিষ্যৎ বাণী শুনাই।
-কি?
-ভবিষ্যতে আমার শাশুড়ী এসে আম্মুর সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, মিসেস রাজিয়া খাঁন আপনি একটা বেয়াদব, জন্ম দিছেন আরেকটা বেয়াদব।
-তোর এসব ভবিষ্যৎ বাণী শোনার একটুও ইচ্ছে নেই আমার।
-আরে শোন না।
-তুই কি এখান থেকে যাবি আবইয়াজ?
-আচ্ছা যা ঘুমা, আমিও গিয়ে ঘুমাই বেশি খেয়ে ফেলছিলাম। খাবার হজম হচ্ছে না তাই তোর সাথে একটু ঝগড়া করে নিলাম এবার ভাল্লাগছে।
ঘামে দুর্গন্ধযুক্ত শার্টটা খুলে ফাইয়াজের মুখের উপর ছুড়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো আবইয়াজ।
-আবইয়ায়ায়ায়ায়ায়াজ।
ফাইয়াজের চিৎকার চেঁচামেচিতে তোয়াক্কা না করে নিজের রুমে এসে দরজা আটকিয়ে হাত পা ছড়িয়ে খাটের উপর শুয়ে রইলো আবইয়াজ।

সকালে ঘুম ভাঙলো ফোন কল আসার শব্দে, ঘুম ঘুম চোখে কল রিসিভ করে কানে তুললো আবইয়াজ।
-স্লা তুই ঘুমাতে ঘুমাতেই ওইদিকে বিয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে।(রাকিব)
-ঘুমাচ্ছি ভাই প্যারা দিস না।
-ভাই আজকে আমার গার্লফ্রেন্ডকে উঠিয়ে নিয়ে আসার কথা না?
-তাকে বল না নিজে নিজে চলে আসতে।
-তুই কাল এক কথা বললি আর আজ সুর পালটে ফেললি।
-চিল্লাস না আসতাছি। বলেই কল কেটে দিলো আবইয়াজ।
থ্রি-কোয়াটার প্যান্টের সাথে সাদা টি-শার্ট পড়ে এলোমেলো চুল হাত দিয়ে ঠিক করতে করতে বেরিয়ে গেলো আবইয়াজ, ড্রয়িং রুম থেকে ফের দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসলো সে।
আয়নায় ভালো করে একবার নিজেকে দেখে নিলো।
-এই ফকিরের বেশে কি কেউ বিয়ে বাড়ি যায়? যেহেতু বিয়ে বাড়ি সেহেতু অনেক সুন্দরী মেয়ে থাকবে আর আমি কিনা এভাবে যাবো।
দ্রুত ফাইয়াজের রুমের দিকে পা বাড়ালো আবইয়াজ, ওর আলমারি থেকে ভালো দেখে একটা শার্ট-প্যান্ট নিতে হবে।
দরজা ভেতর থেকে আটকানো। মানে ফাইয়াজ এখনো ঘুমাচ্ছে, বার কয়েক দরজায় ধাক্কা দিলো আবইয়াজ।ফাইয়াজ দরজা খুললো না।
এবার চিৎকার করে উঠলো, ফাইয়াজ আম্মু কেমন যেনো করেছে।
আবইয়াজের কান্না ভেজা গলা শুনে
বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেলো আবইয়াজ।
আদি, রাকিব, সাদিন, রিফাত সবাই এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে আছে এখন শুধু আবইয়াজ আসার পালা।
রাকিবের কপালে চিন্তার ছাপ।
-তোরা পারবি তো ভাই?(রাকিব)
-উঠিয়ে নিয়ে আসতে না পারলেও বিয়ে ঠিকই ভেঙে দিয়ে আসতে পারবো এতো টেনশন নিস না।(রিফাত)
-আমরা বরং খাওয়ার পর্ব আগে সেরে ফেলবো পরে কনে উঠিয়ে নিয়ে আসবো, নাহলে হৈ-হুল্লোড় পড়ে গেলে আর খেতে পারবো না।(আদি)
-তোর শুধু খাই খাই আদি, যাচ্ছি একটা ইম্পর্ট্যান্ট কাজে।(রিফাত)
ইতিমধ্যে বাইক দিয়ে চারপাশ ধুলোর সাগর বানিয়ে সবার সামনে এসে দাঁড়ালো আবইয়াজ।
রাকিব আবইয়াজের দিকে তাকিয়ে বার কয়েক চোখের পাতা ফেললো।
-এএএএএ ভাই তুই মেয়ে

1 d ·অনুবাদ করা

★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂★••"হারিয়ে যাবো একদিন আমি
ঐ আকাশের কোণে..!
ব্যস্ত বিকেলে পড়ন্ত রৌদ্রে,
পরবে না আর আমার কথা মনে"...!! 🥀🙂

1 d ·অনুবাদ করা

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

1 d ·অনুবাদ করা

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

1 d ·অনুবাদ করা

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

2 d ·অনুবাদ করা

☄️🦋☄️🕌আমার প্রিয় মুসল্লি বাঙালি ভাইয়েরা কারো কাছে
আর্নিং ভালো কোন ওয়েবসাইট থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে☄️🦋☄️🕌

3 d ·অনুবাদ করা

গল্প: ছেঁড়া বই

পুরনো ছেঁড়া বই রাস্তায় পড়ে ছিল।
রুহুল তুলে ধুলা ঝেড়ে দেখে, ভিতরে একটা নাম লেখা—“মা”
বইটা নিয়ে সে ঘরে ফেরে—জ্ঞানও একেক সময় আবেগের মতো।

3 d ·অনুবাদ করা

গল্প: বেল বাজে

ক্লাসে বেল বেজে যায়, সবাই দৌড়ায়।
রিনা চেয়ার গুছিয়ে যায়। শিক্ষক বলেন, “তুমি যদি সবার মতো না হও, তবেই আলাদা।”
ভালো আচরণ চুপিচুপি নজরে পড়ে।

3 d ·অনুবাদ করা

গল্প: ভুল নাম

শিক্ষক বারবার সাকিফকে ‘শাকিল’ নামে ডাকেন।
সে শুধরে বলে না কিছুই।
শেষদিন শিক্ষক বলে, “তুমি এত ভদ্র কেন?”
সে হাসে, “সম্মান নামের চেয়ে বড়।”

3 d ·অনুবাদ করা

গল্প: মাটির ঘ্রাণ

বৃষ্টি শুরু হলে রাহিলা ছুটে যায় উঠোনে।
মাটি ভিজে সোঁদা গন্ধে সে বলে, “এটাই আমার শৈশব!”
গন্ধেও জেগে ওঠে স্মৃতি।

3 d ·অনুবাদ করা

গল্প: কৃতজ্ঞতা

রায়হান বাজারে বৃদ্ধকে রাস্তা পার করায়।
বৃদ্ধ বলেন, “তুমি তো আমার নাতির মতো।”
রায়হান মুচকি হেসে বলে, “তাই তো করলাম নাতির কাজ।”