11 w ·Traducciones
বিশ্বায়নের কারণঃ

বিশ্বায়নের জন্য কোনো একক কারণ দায়ী নয় বরং এর পেছনে রয়েছে এক বা একাধিক কারণ। সেগুলো হলো - তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশঃ বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার প্রধানতম কারণ হচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তির অবাধ বিকাশ। আর এ বিকাশের ধারাবাহিকতায় ঔপনিবেশিক আমল হতে প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপন করা হয়। এরপর রেডিও টেলিভিশন, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট প্রভৃতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের একটা সেতুবন্ধন তৈরি করা হয়।

সমাজতন্ত্রের পতনঃ নব্বই-এর দশকে সমাজতন্ত্রের পতন সংঘটিত হলে তার জায়গাটি দখল করে মূলত সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। আর এই শক্তির দ্বারাই পরবর্তীতে বিশ্বায়নের পথ প্রশস্ত হয়।

গণতন্ত্রের প্রসারঃ একটা সময় রাজতন্ত্রের জোয়ারের ফলে বিশ্বায়নের ধারণাটিই স্পষ্ট ছিল না। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে গণতন্ত্রের অবাধ প্রসারের ফলে বিশ্বায়নের গতিও কিছুটা বৃদ্ধি পায়।

পরিবর্তনশীল সমাজব্যবস্থাঃ পৃথিবীতে স্থায়ী বলতে কিছু নেই। এই সাধারণ নিয়মের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। ঠিক একই সাথে বিশ্বায়নের বিকাশও ত্বরান্বিত হচ্ছে।

বহুজাতিক সংস্থাঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বিশ্বে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা জন্ম নিয়েছে। যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটা যোগসূত্র স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। আর এ সমস্ত বহুজাতিক সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বায়নের পথ সহজ হয়েছে।তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়ন স্পৃহা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থা খারাপ অবস্থায় পতিত হয়। তাই উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য বিশ্বায়নকে স্বাগত জানায়।