প্রিয় নিসফ আল আফদাল, ভবিষ্যতে সহধর্মিণী
জানো, আমি কোনো রাজপুত্র না। আমার নেই সুগঠিত শরীর, চোখে নেই রোমান্টিক গল্পের মতো মায়া, কণ্ঠেও নেই কবির কাব্যের সুর। আমি হয়তো তোমার স্বপ্নের সেই পারফেক্ট ছেলে না।আমার নেই দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বা ব্যাংক ব্যালেন্সের ঘনত্ব—কিন্তু আমার আছে একটা হৃদয়, যেখানে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসা জমা আছে।
তুমি যদি কখনো ভাবো (আমার স্বামীটা কেন এমন সাধারণ?)তাহলে আমি বলব, আমি সাধারণই থাকতে চাই, যাতে তোমার ভালোবাসার প্রতিটি স্পর্শে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারি।
জানো, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন সঙ্গিনীর,
যে পর্দা ভালোবাসে, নম্রতা ধারণ করে,
যে আধুনিকতা নয়, বরং সরলতাকে সম্মান করে,
যে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবনকে গঠন করতে চায়,
যে ঘরকে জান্নাত বানাতে চায়—লোক দেখানো সংসার না।আমি চাই না তুমি সাজগোজ করে সবাইকে দেখাওআমি চাই, তুমি আমার জন্য সাজো।
আমি চাই না তুমি হাজার লোকের সামনে হাসো, আমি চাই তুমি শুধু আমার সামনে সেই নিঃশব্দ হেসে বলো তুমি আছো বলেই আমি ভালো আছি।
জানো, আমি চাই না সোনা-দানা, বা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা কোনো রমণী।
আমি চাই এমন একজন, যার সাথে মিলেমিশে নামাজে দাঁড়াতে পারব, একসাথে কোরআন পড়তে পারব, কাঁধে মাথা রেখে আখিরাতের গল্প করতে পারব।
তুমি ক্লান্ত হলে আমি তোমার পাশে চুপচাপ বসে থাকব।তুমি অসুস্থ হলে আমি গভীর রাতেও তোমার জন্য দোয়া করব।তুমি চোখের পানি ফেললে আমি কাঁদতে না পারলেও ভেতরটা কেঁপে উঠবে কারণ তুমি আমার হৃদয়ের অর্ধেক।তুমি যদি একদিনও বলতে আমার দিনটা খুব কঠিন ছিল,আমি বলব চলো, দু’জন মিলে আল্লাহর কাছে সেজদা দেই… ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,
আমার একটাই চাওয়াতুমি আমাকে ভালোবাসো, আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকো।আমি কোনো প্রতিদান চাই না। চাই শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে চাই।আল্লাহ জানেন, আমি কাকে চাচ্ছি আর আমি তাঁর কাছেই প্রার্থনা করি হে রব, আমাকে এমন একজন দাও, যার সঙ্গে আমি শুধু দুনিয়া নয়, আখিরাতেও থাকব।
আমি অপেক্ষায় আছি.......
কারণ আমি এমন এক সত্তার বান্দা, যিনি কারো দোয়া কখনোই বৃথা যেতে দেন না। তিনি অন্তরগুলোকে বদলে দেন, আর সঠিক সময়েই সঠিক মানুষ পাঠান…✨🌼
জুলাই বিপ্লব সংক্ষিপ্ত পরিচিতি (July Revolution, জুলাই–আগস্ট ২০২৪)
মূলত একটি কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে তীব্র গণআন্দোলনে পরিণত হয় (১ জুলাই – ৩ আগস্ট কোটা সংস্কার; ৪–৫ আগস্ট নন‑কোঅপারেশন মুভমেন্ট) ।
দুই সপ্তাহে সহিংস নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া দমন অভিযান, “জুলাই গণহত্যা”–তে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত—এমতাবস্থায় চরম গণ–সচেতনতার স্রোত বইতে থাকে ।
> “The movement escalated into a full‑fledged mass uprising after the government carried out mass killings… known as the July massacre”
এর ফল: প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, শীঘ্রই শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান, এবং নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস interim সরকারে নেতৃত্ব দেন ।
---
🎯 জুলাই ২০২৫: একটি বছর পর—বর্ষপূর্তি ও রাজনৈতিক উত্তেজনা
⚠️ মূল ঘটনা ও সংঘাতসমূহ:
1. রাজনৈতিক বিভাজন ও হিংসা: ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে গোপালগঞ্জে NCP (National Citizen Party) –র মার্চে পুলিশ ও প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪ জন নিহত, অনেক আহত। অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, কুরফু আরোপ করা হয়।
2. ধাপে ধাপে NCP এবং Jamat-e-Islami–এর ডিমান্ড: ন্যায্য, মুক্ত নির্বাচন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা ও বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত
3. স্টুডেন্ট ও ধর্মীয় ঐক্যজোট: ৮–১০ মে ২০২৫ এ “ন্যাশনাল অ্যান্টি‑ফাসিস্ট ইউনিটি”–র আয়োজনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দাবী–জনস্বাক্ষর, ধর্ম, রাজনীতির সমন্বয় করা হয়
4. প্রতিবেদন ও বিচারপ্রক্রিয়া: ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে আন্তর্জাতিক ফৌজদারী ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে 'crimes against humanity' অভিযোগ গ্রহন করে
---
🧾 সারাংশ:
বিষয় বিবরণ
প্রসূত সময় জুলাই–আগস্ট ২০২৪ (বিপ্লব), বছর পর ২০২৫ এর জুলাইতে উত্তেজনা ও সংঘাত
মূল কারণ কোটা সংস্কার → প্রশাসনিক ও মানবাধিকারর ওপর দাবিদান; → সরকারী দমন
পরিণতি শেখ হাসিনার পতন, interim সরকার ও রাজনৈতিক পুনর্গঠন
বর্তমান অবস্থা রাজনৈতিক বিভাজন, আমাদের স্বাধীন গণতন্ত্রের নির্মাণ ও বিচার প্রক্রিয়া চলছে
Good night ❤️❤️
রাতে ঘুম না আসলে মহানবী (সা.) আমাদেরকে কিছু দোয়া পড়ার জন্য বলেছেন। এর মধ্যে একটি হলো, "আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।" (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া)। এর অর্থ হল, "হে আল্লাহ, আপনার নাম নিয়েই আমি মরি এবং আপনার নাম নিয়েই আমি জীবিত হই।" [১, ২]
এছাড়া, অনিদ্রা দূর করার জন্য আরও কিছু আমল ও দোয়া রয়েছে যা রাতে ঘুমানোর আগে পড়া যেতে পারে। যেমন, সুরা মুলক তেলাওয়াত করা (যা ঘুমানোর আগে পড়ার একটি সুন্নত আমল) [৬]। এছাড়া, কিছু দোয়া রয়েছে যা অনিদ্রা দূর করতে এবং ঘুমানোর জন্য মহানবী (সা.) শিখিয়েছেন, যেমন:
"আল্লাহুম্মা রাব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওয়া মা আজাল্লাত, ওয়া রাব্বাল আরদিনা ওয়া মা আকাল্লাত; ওয়া রাব্বাশ শায়াত্বিনি ওয়া মা আদাল্লাত; কুন লি জারাং-মিন শাররি খালক্বিকা কুল্লিহিম জামিআ।" [২]
এর অর্থ হল, "হে আল্লাহ, সাত আকাশ ও তার ছায়া, জমিন ও তার উৎপাদিত বস্তু এবং শয়তান ও তাদের কুমন্ত্রণার প্রতিপালক! আপনার সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করুন।"
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া-লাহুলহামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আলহামদুলিল্লাহি ওয়া সুবহানাল্লাহি, ওয়া-লা ইয়াহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া-লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।" [৩]
এর অর্থ হল, "আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ পবিত্র এবং আল্লাহ মহান। আল্লাহ ছাড়া কোনো ক্ষমতা ও শক্তি নেই।" [৩]
এছাড়াও, অনিদ্রার কারণ দূর করার জন্য মানসিক চাপ কমানো, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং শারীরিক পরিশ্রম করার মতো বিষয়গুলির দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত। [
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
আপনি সম্ভবত 'আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ' সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ (Al-Hayatul Ulya Lil-Jami'atil Qawmia Bangladesh)
এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সরকার স্বীকৃত একক ও সমন্বয়কারী ইসলামি শিক্ষা বোর্ড। এর অধীনে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
১. প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য:
প্রতিষ্ঠা: ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এটি গঠিত হয়।
উদ্দেশ্য: কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান করা এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা।
২. কার্যক্রম ও কার্যাবলী:
দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ: এটি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সকল বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতি শিক্ষাবর্ষে দেশজুড়ে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর সম্পন্ন হয়।
শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ: আল-হাইআতুল উলয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ, মানসম্পন্ন প্রমিত পাঠক্রম প্রণয়ন এবং বোর্ড ও মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনে কাজ করে।
সনদ প্রদান ও যাচাইকরণ: দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ ইস্যু ও যাচাইকরণের দায়িত্ব পালন করে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম: পরীক্ষার সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য 'হাইআতুল উলয়া এক্সাম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (HEMS)' নামে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিবন্ধন, ফর্ম পূরণ, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, প্রশ্ন প্রস্তুতি ও বিতরণ, প্রবেশপত্র প্রদান, স্ক্রিপ্ট বিতরণ ও সংগ্রহ, ইনভিজিলেশন, পরীক্ষার উপস্থিতি গ্রহণ, ফলাফল প্রদান ও প্রকাশ, এবং সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এর একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপও রয়েছে।
৩. মূলনীতি ও বৈশিষ্ট্য:
দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি অনুসরণ: এই বোর্ড দারুল উলূম দেওবন্দের আদর্শ, মূলনীতি ও মত-পথের অনুসরণে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে: ঈমান, তাকওয়া ও তাওয়াক্কালতু আল্লাহ (আল্লাহর উপর নিরঙ্কুশ ভরসা) এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকে জীবনের পরম ব্রত হিসেবে গ্রহণ।
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর সাহাবায়ে কিরামের (রাঃ) মতাদর্শ অনুসরণে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের মতাদর্শ অনুসরণ করা হয়।
চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা: চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হানাফী মাযহাব অনুসরণ করা হয়।
আধ্যাত্মিক তরীকা: সুপরিচিত চার তরীকা (চিশতিয়া, সোহরাওয়ারদিয়া, নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া ও কাদিরিয়া) সহ সকল হকপন্থি ধারার প্রতি সহনশীল ও উদার মনোভাব পোষণ করা হয়।
৪. প্রশাসনিক কাঠামো:
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ বাংলাদেশের ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সকল দাওরায়ে হাদিস কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধিত্ব করে। এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত।
সংক্ষেপে, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ অথরিটি, যা কওমি শিক্ষার মানোন্নয়ন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারিভাবে মাস্টার্সের সমমান মর্যাদা দেওয়ার কাজ করে।