11 ш ·перевести

─༅༎•🌺⭐🌸༅༎•─ইতিবাচকতা সেরা ফিল্টার।─༅༎•🌺⭐🌸༅༎•─

1 ш ·перевести

কলেজ মানেই শুধু পড়াশোনা নয়, বন্ধুদের সঙ্গে হাসি, টিফিনের আড্ডা আর হাজারো স্মৃতি। এই সময়টা জীবনের সেরা সময়—বাঁচাও প্রতিটা মুহূর্ত মনভরে!

2 ш ·перевести

বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি যে প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ছিল ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখে ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এটি ছিল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
ম্যাচের ফলাফল:
এই ম্যাচে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
* পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে: পাকিস্তান দল পুরো ২০ ওভারও টিকতে পারেনি এবং ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফখর জামান ৪৪ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন।
* বাংলাদেশের বোলিং: বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন।
* বাংলাদেশের ব্যাটিং: ১১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়েছিল, ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (অপরাজিত ৫৬ রান) এবং তৌহিদ হৃদয় (৩৬ রান) এর অসাধারণ জুটির সুবাদে বাংলাদেশ ১৫.৩ ওভারে ১১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় লাভ করে। পারভেজ হোসেন ইমনকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে।
যদি আপনি অন্য কোনো ফরম্যাটের (যেমন টেস্ট বা ওয়ানডে) প্রথম ম্যাচ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেন।

3 ш ·перевести

হয়তো একটু দেরিতে হবে, কিন্তু ঠিকই হবে, তুমি যা চাও তাইই হবে.! মনে রেখো তোমার সময়টা খারাপ, তোমার জীবনটা নয়, শুধু অপেক্ষা করো, সময় সবকিছু ফিরিয়ে দেবে;😌

Believe in yourself, Don't hope.. মনে রেখো তুমিই সেরা, তুমিই সুন্দর!🌼🖤

3 ш ·перевести

বিশ্ব কোডিং চ্যাম্পিয়নশিপে এআই মডেলকে পরাজিত করলেন ক্লান্ত মানুষ
—এক ঐতিহাসিক ঘটনার পেছনের গল্প

বিশ্ব প্রযুক্তি জগতের ইতিহাসে একটি চমকপ্রদ অধ্যায় যুক্ত হলো যখন এক ক্লান্ত ও নিদ্রাহীন মানুষ বিশ্ব কোডিং চ্যাম্পিয়নশিপে পরাজিত করলেন অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) মডেলকে। এটি শুধু এক প্রতিযোগিতার ফলাফল নয়, বরং মানুষ বনাম মেশিনের চিরন্তন দ্বন্দ্বে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপট

এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিশ্বব্যাপী পরিচিত "গ্লোবাল কোডিং অলিম্পিয়াড" সংস্থা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিশ্বের সেরা প্রোগ্রামাররা ও বিভিন্ন টেক জায়ান্টদের তৈরি করা আধুনিক AI কোডিং সিস্টেম। এবারের আসরে প্রতিযোগিতার মূল আকর্ষণ ছিল, গুগলের তৈরি সর্বশেষ AI মডেল ‘CodeMind X’ এবং ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে আসা ২৭ বছর বয়সী এক প্রোগ্রামার, যার নাম—রাহুল সেন।

ক্লান্তির মাঝে অসাধারণ দৃঢ়তা

রাহুল গত ৩৬ ঘণ্টা ঘুমাননি। প্রতিযোগিতার ঠিক আগের দিন রাত পর্যন্ত একটি ফ্রিল্যান্স প্রকল্প শেষ করছিলেন। শরীর ছিল ক্লান্ত, চোখ ছিল লাল, মন ছিল দ্বিধাগ্রস্ত। অনেকে ভেবেছিলেন তিনি হয়তো প্রথম রাউন্ডই টিকতে পারবেন না। কিন্তু শুরু থেকেই তিনি এমন সব সমাধান দিতে থাকেন, যেগুলোতে যুক্তি, দক্ষতা এবং মানবিক অভিজ্ঞতার স্পষ্ট ছাপ ছিল।

AI বনাম মানুষের যুদ্ধ

চূড়ান্ত রাউন্ডে মুখোমুখি হয় রাহুল সেন ও CodeMind X। চ্যালেঞ্জ ছিল এমন একটি সমস্যা সমাধান করা যা ছিল বহুস্তর বিশিষ্ট এবং যার সমাধানে শুধু গাণিতিক দক্ষতাই নয়, প্রয়োজন ছিল নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, মানবিক বিবেচনা ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।

AI মডেল দ্রুততার সঙ্গে কোড লিখে ফেললেও, তার সমাধানে ছিল কিছু গুরত্বপূর্ণ ভুল। অপরদিকে, রাহুল ধীরে, ধৈর্য্যসহকারে বিশ্লেষণ করে নির্ভুল ও অপ্টিমাইজড সমাধান উপস্থাপন করেন। বিচারকদের মতে, “AI হয়তো দ্রুত, কিন্তু রাহুল ছিলেন গভীর, পরিপক্ব ও সৃষ্টিশীল।”

বিশ্বজুড়ে আলোড়ন

এই ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি অনুরাগীদের মাঝে আলোড়ন তুলেছে। সামাজিক মাধ্যমে চলছে আলোচনা—"মানুষ কি এখনও মেশিনের চেয়ে এগিয়ে?" কেউ বলছেন, "এটা প্রমাণ করল, আবেগ, অভিজ্ঞতা ও চিন্তাশক্তির সম্মিলনই মানুষকে অনন্য করে তোলে।"

রাহুলের প্রতিক্রিয়া

পুরস্কার গ্রহণের পর রাহুল বলেন,
“আমি বিশ্বাস করি, AI একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, তবে এটি কেবল তখনই কার্যকর যখন তা মানুষের সৃজনশীলতা ও বিচারবুদ্ধির সঙ্গে কাজ করে। আমি ক্লান্ত ছিলাম, কিন্তু আমার ইচ্ছাশক্তি ও অভিজ্ঞতা ছিল আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ।”

ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি

এই ঘটনার পর অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—AI কি মানুষের কাজ কেড়ে নেবে, নাকি এটি মানুষের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে? প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রতিযোগিতা দেখিয়েছে AI যতই শক্তিশালী হোক না কেন, মানুষ এখনও তার চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে—যদি তার মধ্যে থাকে দৃঢ়তা, অভিজ্ঞতা, এবং চিন্তার গভীরতা।

উপসংহার

রাহুল সেনের এই বিজয় নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এটি শুধুমাত্র কোডিং প্রতিযোগিতায় একটি জয় নয়, বরং এটি এক অনুপ্রেরণার গল্প—যা ক্লান্তি, প্রতিবন্ধকতা ও প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মানুষের অদম্য শক্তির প্রতীক।

মানুষ বনাম মেশিনের লড়াইয়ে মানুষ এখনো হারে না—যদি সে চায়, তবে জয় নিশ্চিত।

image
3 ш ·перевести

ডেমন স্লেয়ার: ইনফিনিটি ক্যাসেল মুভি – এক মহাকাব্যিক সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে

জাপানি অ্যানিমে বিশ্বে এক বিপ্লব ঘটিয়েছে “ডেমন স্লেয়ার” (Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba) সিরিজ। ২০১৯ সালে টিভি সিরিজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে এটি অল্প সময়েই অগণিত ভক্তের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। “ডেমন স্লেয়ার: ইনফিনিটি ক্যাসেল” (Infinity Castle) মুভিটি এই অসাধারণ যাত্রার সমাপ্তির পথে একটি বিশাল পদক্ষেপ। এটি মূলত মাঙ্গার শেষ আর্ক, অর্থাৎ ফাইনাল ব্যাটলের প্রথম অংশকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে। এ আর্টিকেলে আমরা বিশ্লেষণ করব ইনফিনিটি ক্যাসেল মুভির কাহিনী, চরিত্র, অ্যানিমেশন এবং এর প্রভাব।
মুভির পটভূমি ও কাহিনীসংক্ষেপ

ইনফিনিটি ক্যাসেল মুভির কাহিনী শুরু হয় যখন ডেমন স্লেয়ার কর্পস অবশেষে মুখোমুখি হয় তাদের চূড়ান্ত শত্রু, কিবুতসুজি মুজানের সঙ্গে। মুজান হচ্ছে সব ডেমনের উৎস, এক অমর শক্তিধর সত্তা। যখন তার গোপন আস্তানা আবিষ্কৃত হয়, তখন তনজিরো, ইনোসুকে, জেনিৎসু এবং হাশিরা বাহিনী একত্র হয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়।

ইনফিনিটি ক্যাসেল বা "অসীম প্রাসাদ" এক রহস্যময় স্থান যা ডেমন বায়োয়া নাকিমে দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই প্রাসাদে সময় ও স্থান নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা যুদ্ধকে আরও জটিল করে তোলে। এই মুভিতে একের পর এক হাশিরার বিপরীতে দেখা যায় শক্তিশালী আপার র‍্যাঙ্ক ডেমনদের। বিশেষ করে আপার থ্রি ডেমন আকাজা, ডোমা এবং কোকুশিবো-র বিপক্ষে যেসব লড়াই হয়, তা নিঃসন্দেহে অ্যানিমে ইতিহাসের সেরা লড়াইগুলোর একটি

image
3 ш ·перевести

বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শফিউল ইসলামের উত্থান ও প্রভাব

জুন–জুলাই ২০২৫-এর দিকে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কার মাঠে তিন ফরম্যাটে (২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি২০) বিশ্বমানের লড়াই চালাচ্ছে |
তবে সম্প্রতি সবার নজর কাড়ছে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে, যেখানে শফিউল ইসলাম আবারো তার সেরা ছন্দে ফিরে এসে বাংলাদেশ দলকে উজ্জীবন যোগালো।
মাঠের গল্প: দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ

তারিখ ও স্থান

১৩ জুলাই ২০২৫, ডাম্বুল্লা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম, শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের ইনিংস
লিটন দাস ও হামিম হোসেন সামনের দিক থেকে শক্তিশালী শুরু করলেও সময়মতো বিপুল সংগ্রহের পথ উন্মুক্ত করলেন দুজনে। কেপটেন লিটন ৫০ বলের মধ্যে ৭৬ রান করেন, এবং হামিম ইন-উইন ছন্দে ৪৮ রানের ইনিংস উপস্থাপন করেন । তবে তাদের সংযুক্ত অবদান টিমকে ১৭৭/৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় – যা শ্রীলঙ্কার কাছে খুবই চ্যালেঞ্জিং।

শ্রীলঙ্কার পেসে আউট
টার্গেট ১৭৮, শ্রীলঙ্কার শক্তিশালী ব্যাটিং একেবারে শুরুতেই বিপর্যয়ে পতিত হয়। প্রথম ৫.১ ওভারে চার উইকেট হারায় তারা, যেখানে কুসাল মেন্ডিস রানআউট, এবং শফিউল ইসলাম পেনাল্টিতে দুটি উইকেট শিকার করেন – কুসাল পেরেরা ও অভিষ্কা ফার্নান্ডোকে ফেলে । এই সময়ে শফিউল ছিলেন খুব নির্ভরযোগ্য: ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ টি উইকেট

অতঃপর রিষাদ হোসেন (৩/১৮) মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মেহেদী–সাইফুদ্দিনও তাদের ভূমিকা যথা সময়ে পালন করেন, যার ফলে শ্রীলঙ্কাকে ১৫.২ ওভারে মাত্র ৯৪ রানের ভিতরে গুটিয়ে ফেলা হয় । ফলাফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে বড় জয় এনে দলে প্রাণ সঞ্চার করে সিরিজ ১–১ করে তুললো ।
শফিউল ইসলামের সূচনালগ্ন ও অর্জন

দীর্ঘ পথ
শফিউল ইসলাম তাঁর ফার্স্ট‑ক্লাস অভিষেক করেন ২০১৭–১৮ সিজনে রাজশাহী বিভাগ থেকে
Wikipedia
। ডান হাতের এই দ্রুতগতির পেসার আস্তে আস্তে দলে প্রতিষ্ঠিত হন, বিশেষভাবে ২০২৪ সালের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়ে; যেখানে ক্যান্ডি ফ্যালকন্স প্রতিনিধিত্ব করেন ।

বিপুল পরের পটভূমি
লোকাল ডোমেস্টিক ক্রিকেটে – যেমন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ – এগিয়ে থেকে শফিউল পেয়েছেন উল্লেখযোগ্য কাপ–১০–১৫ উইকেট, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্কেলে তার অবস্থানকে দৃঢ় করেছে ।
দ্বিতীয় টি২০তে তার ভূমিকার বিশ্লেষণ

শক্তিশালী শুরু: powerplay-এ শফিউল মেঞ্চিসহ দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকারে শ্রীলঙ্কাকে বিপদে ফেলার ক্ষেত্রে চমৎকার ভূমিকা নেন ।

অভিজ্ঞতা ও নিয়ন্ত্রণ: মাত্র ৩ ওভারে ১২ রান—এই পারফরম্যান্স খারাপ গতির দিনে অনেকসময় ম্যাচের গতি ঘুরিয়ে দেয়।

দলগত সক্রিয়তা: রিষাদ–মেহেদী–সাইফুদ্দিন–মাস্তুফিজুরদের সঙ্গে শফিউল তৈরি করেন এক জম্বো ‘বোলিং ইউনিট’, যা সিরিজে ড্র করতে সাহায্য করে।

মানসিক প্রভাব: টার্নিং পয়েন্টে পেসারদের প্রয়োগ দলের আস্থা বৃদ্ধি করে, যা ভবিষ্যতের ম্যাচে কাজে লাগতে পারে।

সিরিজের সামগ্রিক দৃষ্টিকোন

টেস্ট: শ্রীলঙ্কা ২ টেস্টে ১–০ এগিয়ে ।

ওয়ানডে: সিরিজে শ্রীলঙ্কার ২–১ জয় ।

টি২০: সিরিজ মূলত ডেসাইড ম্যাচে পৌঁছেছে, এবং শফিউল + রিষাদের শীর্ষ বোলিং ডিউয়েট বাংলাদেশের জন্য মুখ্য চালক। এটি আগামীর বিশ্ব কাপ প্রস্তুতির জন্য দারুণ সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

শফিউল ইসলামের ভবিষ্যৎ

বিশ্ব ক্রিকেটে দ্রুত গতির পেসারদের সাফল্য নির্ভর করে ধারাবাহিকতা ও বড় ম্যাচে সফলতায়। শফিউল তার সময়–মতো উইকেট নিয়েক, নিয়ন্ত্রিত রানের টাকাতেই প্রমাণ করছেন নিজের গুরুত্ব। লঙ্কার বিপক্ষে তাঁর এই পারফরম্যান্স শুধুমাত্র একটি জয়ের উদযাপন নয়, বরং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে (যেমন টি২০ বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ) বাংলাদেশের বোলিং আক্রসধারণের দৃঢ় লক্ষণ বলেও ধরে নেওয়া যায়।
সমালোচনা ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ

তবে শফিউল কোমর-মেরুদণ্ডের অগ্রগতি ও দৈহিক সুস্থিতির উপর আরো নিয়ন্ত্রণ গঠন প্রয়োজন। দ্রুতগতির পেসারদের জন্য ধারাবাহিকতা সৌন্দর্য হলেও পুনরায় ইনজুরির আশঙ্কা সবসময় থাকে। বোলিং আক্রমণের সার্বিক ভারসাম্য রক্ষায় ও শ্রীলঙ্কার মতো হার্ড পিচে নিয়মিত সফলতার জন্য শারীরিক ফিটনেস ও দক্ষতা নিশ্চিত রাখতে হবে তাঁকে।
সম্প্রদায় ও ফ্যান প্রতিক্রিয়া

এতে অনুভূত হয়েছে, বেশিরভাগ অনুরাগীদের কাছে শফিউলের পারফরম্যান্স প্রশংসার উপযুক্ত, যদিও কিছু মানুষ ধর্মঘটের মত বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
বিকল্প স্পর্শ

দলের সতেজতা ও আত্মবিশ্বাস নিশ্চিত করতে প্রধান নির্বাচকরা বেশ কিছু কৌশল গ্রহণ করেছেন:

টিম রোটেশন: প্রথম টি২০য়ের পর Taskin Ahmed–Mustafizur Rahman অপশন পরিবর্তন


মাশরুফ–নিয়মানের জায়গায় মুক্তচিন্তা: তাজা পেস ট্রায়ো প্রয়োগ শফিউল, মাস্তুফিজুর, সাইফুদ্দিনের মাধ্যমে স্পিনারদের সাপোর্ট।

উপসংহার

দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে শফিউল ইসলাম তাঁর দক্ষতা ও মানসিক বলিষ্ঠতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি বাংলাদেশের আগামীর পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দুই উইকেট, সীমিত রান খরচ এবং দলীয় মানসিকতায় তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।

গাণিতিক পদ্ধতিতে বললে, ‘ম্যাচ উইনার' হিসেবে তাঁকে মূল্যায়ন করলে খুব কম বল বলা যাবে; বরং একাধিক দলের ইমার্জিং স্টার হিসেবেও স্বীকৃত। ধারাবাহিকতা ও পরিশ্রমের মিশ্রণে শফিউল বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের বড় জয় এনে দিতে পারে।

এবার বাকি ম্যাচগুলোও দেখে নেওয়া যা

image
4 ш ·перевести

ছাপাখানার ভূত (The Haunting of the Printing Press)

ডায়েরির পাতা থেকে: কলকাতার এক পুরনো, বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাপাখানাকে কেন্দ্র করে এই গল্প। রাতের বেলা সেই ছাপাখানার ভেতর থেকে পুরনো মেশিনের ঘরঘর শব্দ শোনা যায়, যেন কেউ কিছু ছাপছে। শোনা যায়, এক প্রতিভাবান কিন্তু দরিদ্র লেখক, সুধীন, তার জীবনের সেরা উপন্যাসটি ছাপানোর জন্য এখানে এসেছিলেন। কিন্তু ছাপাখানার লোভী মালিক ষড়যন্ত্র করে তার পাণ্ডুলিপি চুরি করে সামান্য পরিবর্তন করে নিজের নামে ছাপিয়ে দেয় এবং বিপুল খ্যাতি অর্জন করে। অপমানে, দুঃখে এবং হতাশায় সুধীন সেই ছাপাখানার ভেতরেই আত্মহত্যা করেন। সেই থেকে, প্রতি রাতে তার অতৃপ্ত আত্মা সেই ছাপাখানায় ফিরে আসে এবং মেশিনে তার হারিয়ে যাওয়া উপন্যাসটি ছাপানোর বৃথা চেষ্টা করে। একদল প্যারানormal ইনভেস্টিগেটর সেখানে গিয়ে দেখে, মেশিনগুলো নিজে থেকেই চলছে এবং সাদা কাগজের ওপর অদৃশ্য কালিতে পাতার পর পাতা লেখা হয়ে চলেছে। কিন্তু সেই লেখা পড়ার জন্য কাছে যেতেই ঘরের সব আলো দপ করে নিভে যায় এবং তারা শুনতে পায় এক ক্রুদ্ধ, শীতল কণ্ঠস্বর, "আমার লেখা চুরি করবি না!"

#hauntedpress #kolkataghoststory #vengefulghost #horrorstorybangla #oloukikdiary

4 ш ·перевести

আস্সালামুআলাইকুম,,,,,, এটা হচ্ছেআজকের সেরা ছবি,,

image
4 ш ·перевести

আমরা সারাদিন ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি, অলসতাকে দেখি সময়ের অপচয় হিসেবে। কিন্তু কী হবে যদি বলি, আপনার সেরা আইডিয়াগ।

4 ш ·перевести

৬৪.
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعۡضِ ٱلۡكِتَـٰبِ وَتَكۡفُرُونَ بِبَعۡضٍۢۚ فَمَا جَزَآءُ مَن يَفۡعَلُ ذَٰلِكَ مِنۢكُمۡ إِلَّا خِزۡيٌۭ فِى ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا‌ۖ وَلَيۡلِ يَوۡمِ ٱلۡقِيَـٰمَةِۗوَبَـٰٓئِسَ مَا يَحۡكُمُونَ
“তখন তোমরা ভূক্তান্তিত হবে? কীসেরাজ্যে তুমি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান আনবে আর কিছুতে কাফিরি করবে? এতে তোমাদের জীবন ও পরকালের শাস্তি ছাড়া অন্য কিছুই লাভ নেই। আর কী অকেজো বিচার!”

৬৫.
وَلَقَدۡ عَلِمۡتُمُ ٱلَّذِينَ اعۡتَدَوۡا۟ مِنكُمۡ فِى ٱلسَّبۡتِ فَقُلۡنَا لَهُمۡ كُونُوا۟ قِرَدَةً خَـٰسِـِٔينَ
“আর তুমি তো জানো, তোমাদের মধ্যে যারা শনিবারের নিয়ম ভঙ্গ করেছিল, তখন আমরা তাদের বলেছিলাম, ‘তোমরা হন লজ্জাজনক বানর।’”

-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ৬৪-৬৫ )

4 ш ·перевести

৬১.
وَإِذْ قُلْتُمْ يَا مُوسَىٰ لَن نَّصْبِرَ عَلَىٰ طَعَامٍۢ وَاحِدٍۢ فَٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُخْرِجْ لَنَا مِمَّا تُنبِتُ ٱلْأَرْضُ مِن بَقْلِهَا وَقِثَّائِهَا وَفُومِهَا وَعَدَسِهَا وَبَصَلِهَا ۖ قَالَ أَتَسْتَبْدِلُونَ ٱلَّذِى هُوَ أَدْنَىٰ بِٱلَّذِى هُوَ خَيْرٌۚ ٱهْبِطُوا۟ مِصْرًا فَإِنَّ لَكُم مَّا سَأَلْتُمْۗ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ ٱلذِّلَّةُ وَٱلْمَسْكَنَةُ وَبَآءُو بِغَضَبٍ مِّنَ ٱللَّهِ ۗ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَيَقْتُلُونَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّۗ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوْا۟ وَّكَانُوا۟ يَعْتَدُونَ
“যখন তোমরা বলেছিলে, ‘হে মূসা! আমরা এক ধরনের খাবার সহ্য করতে পারছি না, তাই তোমার প্রভুকে ডেকো যেন তিনি পৃথিবী থেকে বিভিন্ন সবজি—শাক, শশা, রসুন, ডাল ও পেঁয়াজ—আমাদের জন্য বের করেন।’ তিনি বললেন, ‘তোমরা কি সেরা জিনিসটি তুচ্ছের সঙ্গে বদলাতে চাও? নীচে নামো মিশরে, তোমরা যা চেয়েছিলে তাই তোমার জন্য আছে।’ তখন তাদের ওপর লজ্জা ও দরিদ্রতা নেমে এলো এবং আল্লাহর থেকে ঘোর শাস্তি তাদের গ্রাস করল। কারণ তারা আল্লাহর নিদর্শন অস্বীকার করেছিল এবং মিথ্যে কারণে নবীদের হত্যা করেছিল। কার্যত তারা অবাধ্য এবং সীমা লঙ্ঘনকারী ছিল।”

-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ৬১ )

4 ш ·перевести

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন (Practice Gratitude)
প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনি যা পেয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এটি আপনার মানসিকতাকে ইতিবাচক করে তোলে এবং আপনাকে আরও খুশি থাকতে সাহায্য করে। যখন আপনি কৃতজ্ঞ থাকবেন, তখন আপনার ভেতরের শক্তি আরও বাড়বে এবং আপনি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, জীবন একটি যাত্রা, গন্তব্য নয়। এই যাত্রায় প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করুন এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার ভেতরের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করুন এবং এগিয়ে যান!

4 ш ·перевести

নেইমার: এক ফুটবল জাদুকরের গল্প.......

সূর্য তখনও ওঠেনি। ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের এক কোণায় ছোট্ট একটি ঘরে জেগে উঠেছিল এক শিশু। নাম তার নেইমার। খুব বেশি কিছু ছিল না তাদের পরিবারে—ছিল না বিলাসিতা, ছিল না খ্যাতি, এমনকি ছিল না একটি পূর্ণ পেটের নিশ্চয়তা। কিন্তু ছিল একটা অদম্য স্বপ্ন—পায়ে বল নিয়ে ছুটে চলা, মাঠে নাচানো প্রতিপক্ষকে, আর একদিন ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বমঞ্চে জয়ী হওয়া।

ছোটবেলা থেকেই নেইমারের জীবন ছিল সংগ্রামে ভরা। তাঁর বাবা, নেইমার সিনিয়র নিজেও একজন ফুটবলার ছিলেন, তবে জীবনে খুব বেশি সাফল্য পাননি। কিন্তু তিনি জানতেন—ছেলেটার পায়ে জাদু আছে। তাই প্রতিদিন সকালবেলা তাকে মাঠে নিয়ে যেতেন, প্রশিক্ষণ দিতেন এবং শেখাতেন কীভাবে প্রতিকূলতা জয় করতে হয়।

স্কুল শেষ করে নেইমার ছুটে যেত ফুটবল একাডেমিতে। ছেঁড়া জুতো, গালভরা স্বপ্ন আর দুই চোখে একটাই লক্ষ্য—একদিন সে সবার প্রিয় "নেইমার" হয়ে উঠবে।

উঠে আসার শুরু.......

১১ বছর বয়সে নেইমার সান্তোস ফুটবল ক্লাব-এর নজরে পড়ে। শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়। সেখানে নেইমারের প্রতিভা অল্প দিনেই চমকে দেয় কোচদের। তাঁর ড্রিবলিং, গতি আর বলের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল অবিশ্বাস্য। কিশোর বয়সেই তাঁর খেলা দেখে অনেকে বলেছিল, "এ ছেলেটা একদিন পেলের উত্তরসূরি হবে।"

১৬ বছর বয়সেই নেইমার সান্তোসের সিনিয়র দলে জায়গা পেয়ে যান। ২০১০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্রাজিলিয়ান লিগে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। তখন থেকেই ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো তাঁর পেছনে ছুটতে শুরু করে।

স্বপ্নপূরণ: বার্সেলোনায়.......

২০১৩ সালে নেইমার যোগ দেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্লাব এফসি বার্সেলোনা-তে। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সাথে গড়ে তোলেন ঐতিহাসিক ‘MSN’ ত্রয়ী। সেই সময়টায় বার্সার আক্রমণভাগ ছিল যেন এক কবিতা—মেসির নিখুঁত পাস, নেইমারের জাদুকরী ড্রিবলিং আর সুয়ারেজের তীক্ষ্ণ ফিনিশিং।

২০১৫ সালে তারা একসাথে বার্সেলোনাকে এনে দেন ট্রেবল—লা লিগা, কোপা দেল রে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সেই মৌসুমে নেইমার যেন বার্সেলোনার হৃদয় হয়ে উঠেছিলেন।

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু: প্যারিস.....

২০১৭ সালে একটি খবর পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেয়। নেইমার ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দেন প্যারিস সাঁ জার্মেইন (PSG)-এ। এটি ছিল ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার।

অনেকে বলেছিলেন, "পেছনে টাকা, সামনে অহংকার—নেইমার ভুল করছে।" কিন্তু নেইমারের ভিন্ন লক্ষ্য ছিল। সে চেয়েছিল নিজেকে প্রমাণ করতে, একা একটি দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে।

PSG-তে গিয়ে নেইমার নিজের জাত আবারো চিনিয়ে দেন। ফরাসি লিগের শিরোপা জেতেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও পৌঁছান। তবে ট্রফি অধরা থেকে যায়।

আঘাত, কষ্ট....

নেইমারের জীবন কেবল আলোয় ভরা ছিল না। বহুবার চোটে পড়েছেন, মাঠের বাইরে ছিলেন দীর্ঘদিন। ২০১8 ও 2022 বিশ্বকাপে চোটের কারণে তাঁর খেলা সীমিত হয়ে পড়ে। সমালোচকরা বলতেন, "সে কাচের মতো ভঙ্গুর", কেউ বলত, "তার মধ্যে নেতৃত্বের অভাব"।

কিন্তু নেইমার কখনো থেমে থাকেননি। প্রতিবারই ফিরে এসেছেন আরও দৃঢ় হয়ে, আরও ক্ষুধার্ত হয়ে। মাঠে নেমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু একজন তারকা নন—একজন যোদ্ধাও।

ব্রাজিলের হৃদয়.....

জাতীয় দলে নেইমারের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ব্রাজিলের ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে ব্রাজিলকে এনে দেন বহু কাঙ্ক্ষিত স্বর্ণপদক। সেই মুহূর্তে নেইমার কাঁদছিলেন—কাঁদছিলেন আনন্দে, তৃপ্তিতে, ভালোবাসায়।

তার খেলা যেমন মানুষকে মুগ্ধ করে, তেমনি মাঠের বাইরের হাসি, কৌতুক, নাচ আর জীবনভর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও তাকে করেছে আলাদা।

অন্য নেইমার

অনেকে নেইমারকে শুধু একজন ফুটবলার হিসেবে চেনে, কিন্তু তিনি তার থেকেও বেশি। তিনি একজন দানবীর, সামাজিক কার্যক্রমে জড়িত, এবং শিশুদের সাহায্য করার জন্য নিজ নামে ফাউন্ডেশন চালান।

তিনি বলেন, “আমি যেখান থেকে এসেছি, সেখানে অনেকে স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। আমি শুধু ফুটবল খেলি না, আমি স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখি।”

শেষ কথা

নেইমার একজন পরিপূর্ণ তারকা নন—তিনি মানুষ, ভুল করেন, চোট পান, আবার ফিরে আসেন। তাঁর জীবনে আছে আলো আর অন্ধকার দুটোই। কিন্তু তাঁর যাত্রা আমাদের শিখিয়ে দেয়—স্বপ্ন দেখো, হাল ছেড়ো না, কষ্ট করো, আর প্রমাণ করো, তুমি পারো।

জুতো ছেঁড়া ছেলেটি আজ কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। সে ব্রাজিলের মাঠ থেকে বিশ্বমঞ্চে উঠে এসেছে শুধুমাত্র প্রতিভা আর অধ্যবসায়ের জোরে।

নেইমারের গল্প তাই কেবল ফুটবল প্রেমীদের জন্য নয়, সব স্বপ্ন দেখাদের জন্য, যারা সীমাবদ্ধতাকে হার মানাতে চায়।

image
4 ш ·перевести

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ভবিষ্যতের চাকরি: বদলে যাচ্ছে কাজের দুনিয়া
বর্তমান যুগে ‍কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) একটি বহুচর্চিত টপিক। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, এবং সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছে এই AI। আজকের প্রজন্মের ‍শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী কিংবা উদ্যোক্তা—সবাই এর প্রভাব অনুভব করছেন। বিশেষ করে, ভবিষ্যতে চাকরির জগতে এর প্রভাব কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন।

আজকের এই ব্লগ পোস্টে, আমরা জানব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ভবিষ্যতের চাকরি কেমন হবে, কোন পেশাগুলো হারিয়ে যেতে পারে, আবার কোন নতুন পেশা তৈরি হতে পারে, এবং এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের কীভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আসলে কী?
AI (Artificial Intelligence) মানে এমন একটি মেশিন বা সফটওয়্যার, যেটি মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং শেখার ক্ষমতা রাখে। সহজভাবে বললে, আমরা যেসব কাজ সাধারণত মানুষকে করতে দেই—যেমন, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, রাস্তা চিনে চলা, ছবি চিনে ফেলা বা এমনকি গান তৈরি করাও—এখন সেইসব কাজ অনেকাংশে AI করে ফেলছে।

AI-এর উদাহরণ হতে পারে:

ChatGPT (যা এখন আপনি ব্যবহার করছেন)
Google Assistant, Siri, Alexa
Facebook বা YouTube-এর অটোমেটেড রিকমেন্ডেশন
Self-driving car
Automated customer service chatbot ইত্যাদি।
AI কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে?
দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা
ভুল কম হয়
২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে
একসাথে অনেক মানুষের কাজ করতে পারে
এই সুবিধার কারণেই বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত AI প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।

ভবিষ্যতের চাকরি নিয়ে উদ্বেগ কেন?
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে दुनिया জুড়ে প্রচুর প্রচলিত চাকরি AI দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ,
🖥️ ব্যাঙ্কে কাস্টমার সার্ভিস → Chatbot
🧾 অ্যাকাউন্টিং → Automated software
🔧 মেশিন অপারেটর → রোবটিক প্রোগ্রাম
📄 কনটেন্ট রাইটিং → AI লেখক

এ কারণেই অনেকেই ভাবছেন, “আমার চাকরি কি থাকবে?” কিংবা “আমি কী শিখবো, যাতে ভবিষ্যতে চাকরি পাই?”

কোন চাকরিগুলি ঝুঁকিতে আছে?
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ
টেলিমার্কেটিং
রিটেইল ক্যাশিয়ার
সহজ গ্রাফিক ডিজাইনার
কনটেন্ট লেখক বা ট্রান্সলেটর (সাধারণ মানের)
এই ধরনের চাকরিগুলি খুব সাধারণ এবং নিয়মিত। এগুলোর জন্য বিশ্লেষণ বা দূরদর্শী চিন্তার তেমন চাহিদা নেই, তাই এগুলিকে AI সহজেই রিপ্লেস করতে পারে।

AI-র যুগে কোন স্কিল এবং পেশা থাকবে এগিয়ে?
ভয় পাওয়ার কিছু নেই! AI কিছু চাকরি কেড়ে নিলেও নতুন অনেক ধরনের পেশা তৈরি হচ্ছে। যেমন:

🧠 ডেটা সায়েন্টিস্ট ও AI ইঞ্জিনিয়ার
AI-র যত উন্নয়ন হচ্ছে, ততই এই পেশার চাহিদা বাড়ছে। যারা AI তৈরি করে, মডেল তৈরি করে, তাদের প্রয়োজন সবসময় থাকবে।

🎨 ক্রিয়েটিভ স্কিল (গানের রচনা, সিনেমার চিত্রনাট্য, ডিজাইন ইত্যাদি)
AI এখনও মানুষের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেনি।

🤝 সাইকোলজিস্ট, কনসালট্যান্ট, হেলথ কেয়ার প্রফেশনাল
মানুষের আবেগ, সম্পর্ক এবং ব্যবহার বিশ্লেষণ—এ ব্যাপারে মানুষই সেরা।

💡 ডিজিটাল মার্কেটিং ও SEO বিশেষজ্ঞ
যেহেতু অনলাইন বিজনেস বাড়ছে, তাই এই স্কিলগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

📈 ফ্রিল্যান্সিং ও রিমোট ওয়ার্ক
যারা নিজের দক্ষতা দিয়ে ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করতে পারেন (যেমন, প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর), তাঁদের চাহিদা থাকবে।

AI থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কী শিখবো?
বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাকরি টিকিয়ে রাখতে হলে নিচের কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা জরুরি:

✅ ক্রিটিক্যাল থিংকিং ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা
✅ ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও দলবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষমতা
✅ AI ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
✅ ডেটা অ্যানালাইসিস ও প্রোগ্রামিং (Python, SQL)
✅ Digital Communication ও Presentation দক্ষতা
✅ Freelancing স্কিল (Upwork/Fiverr প্ল্যাটফর্ম চেনা)

আমরা কী করবো এখন?
📌 আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নিন।
📌 প্রচলিত কাজের পাশাপাশি প্রযুক্তিপ্রধান কাজ শেখার চেষ্টা করুন।
📌 অনলাইন কোর্সে অংশ নিন – যেমন Coursera, Udemy, YouTube ইত্যাদি।
📌 ChatGPT বা Midjourney, Canva, Notion ইত্যাদি AI টুলগুলোর ব্যবহার শেখার চেষ্টা করুন।

প্রযুক্তি কখনও কারও শত্রু নয়, যারা শিখতে আগ্রহী—AI তাদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করে।

উপসংহার
AI আমাদের জীবনকে সহজ করছে ঠিকই, তবে এটি আমাদের প্রচলিত জীবনধারা এবং চাকরির জগতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। যাদের মধ্যে শেখার আগ্রহ আছে, পরিবর্তনে মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা আছে—AI তাঁদের জন্য সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে।

তাই আর দেরি না করে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন পরিবর্তিত ভবিষ্যতের জন্য। নিজের স্কিল উন্নয়ন করুন, প্রযুক্তিকে সঙ্গী বানিয়ে এগিয়ে যান।

"চাকরি হারানোর ভয় নয়, বদলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শিখুন।"

✍️ লেখক: Sahed
📅 তারিখ: ৭ জুলাই ২০২৫
🏷️ #ai #artificialintelligence #futureofjobs #skilldevelopment #বাংলা_ব্লগ
#face #aface #aface1

5 ш ·перевести

মনের শক্তি হলো জ্ঞান; হৃদয়ের শক্তি হলো বিশ্বাস । আল্লাহর কাছে তুমি যে সেরা উপহার দিতে পারো তা হলো অনুতাপে মোড়ানো তোমার হৃদয়। তোমার মন বারবার তোমার হৃদয়ের দিকে ফিরে যাবে। তোমার হৃদয়কে আল্লাহর সাথে রাখো।

5 ш ·перевести

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ফাইফার নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতলেন তানভীর ইসলাম। অবশ্যই পাঁচ উইকেট নিয়ে দলকে জেতানোর প্রাপ্তি এটি।

#banvssl | #tanvirislam

image
5 ш ·перевести
সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি


(সংকেত: ভূমিকা; সাম্প্রদায়িকতা কী; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি; ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা; সাম্প্রদায়িকতার কুফল; সাম্প্রদায়িকতা বনাম একতা; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রয়োজনীয়তা; বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি; বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় করণীয়; উপসংহার।)



ভূমিকাঃ

সেই কত শতাব্দী আগে বড়– চন্ডীদাস বলে গেছেন- “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।” সত্যিকার অর্থেও মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো সে মানুষ; সৃষ্টির সেরা জীব। যার মধ্যে আছে বুদ্ধি, বিবেক, বিচার-বিবেচনা ও মানবতাবোধ। তবে এসব কিছু থাকা সত্ত্বেও মানুষ কখনো কখনো তার মনুষ্য পরিচয় ভুলে যায়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের বিভেদ সৃষ্টি করে তারা রচনা করে নতুন নতুন কিছু পরিচয়। এরপর নিজ নিজ জাত, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রকে সমুন্নত রাখতে, নিজেদের পরিচয়কে সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্টিত করতে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। জন্ম নেয় অন্যদের প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা। আর এর থেকে সৃষ্টি হয় সাম্প্রদায়িকতা। যার ফলে সহিংসতা ও যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। আর এর থেকে মানুষকে সুপথে ফেরাতে পারে কেবলমাত্র সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
5 ш ·перевести

@🙂SoBuR🙃:কোনো একদিন যদি সফলতা পাই সেই গল্পের সেরা হবে আমার মা.!😅❤️‍🩹

5 ш ·перевести

@🌿🌿🌿মুসাফির📌📌📌:কাগজের তৈরি সেরা আল কোরআন 🥀🥀🥀