বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রঃ
নানা নান্দনিক সৌন্দর্যের কেন্দ্র হলো বাংলাদেশ। এদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো নানা বৈচিত্র্যের সমাহার। কোনোটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোনোটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত আবার কোনোটি ধর্মীয় ঐতিহ্যের নান্দনিক স্মারক হয়ে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশ, ঐতিহ্যগত, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং আত্মিক সকল সম্পদ দিয়েই সমৃদ্ধ। এ কারণে সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে পর্যটকদের আগমন ঘটছে। ইতিহাস খ্যাত পর্যটক ফা হিয়েন, হিউয়েন সাং, ইবনে বতুতার পর্যটক হয়ে আসার কাহিনী সবার জানা। বাংলাদেশে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বৈচিত্র্যময় হওয়ার কারণে পর্যটকদের মধ্যেও বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নাম, অবস্থান ছকের সাহায্যে তুলে ধরা হলো-
পর্যটন কেন্দ্রের নাম
বিখ্যাত হওয়ার কারণ
অবস্থান
১. সুন্দরবন
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বন।
খুলনা
২. কক্সবাজার
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার
৩. সেন্টমার্টিন দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবাল দ্বীপ।
কক্সবাজার
৪. কুয়াকাটা
এক জায়গায় থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য বিখ্যাত স্থান।
পটুয়াখালী
৫. মহাস্থানগড়
প্রাচীন এবং প্রত্মতাত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
বগুড়া
৬. সোনরগাঁও
লোকশিল্পের জন্য বিখ্যাত।
নারায়ণগঞ্জ
৭. পাহাড়পুর/সোমপুর বিহার
বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
নওগাঁ
৮. মাধবকুন্ড
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক জলপ্রপাত।
সিলেট
৯. শিলাইদহ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের অনেকাংশ কাটিয়েছেন এই স্থানে। এখানে তার কুঠিবাড়ি রয়েছে।
কুষ্টিয়া
১১. সীতাকোট বিহার
প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
দিনাজপুর
১২. ময়নামতি
প্রত্নতাত্মিক স্থান
কুমিল্লা
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ
বর্তমান সময়ের দ্রুত বিকাশমান একটি শিল্প হলো পর্যটন শিল্প। এ শিল্প তার বহুমাত্রিক বৈচিত্র্যের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পে উপার্জন বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে ১৯৯৯ সালে পর্যটন খাত থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছিল ২৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এটি বেড়ে গিয়ে ২০০৮ সালে ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। বাংলাদেশের GDP-এর প্রায় ২ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। পর্যটন শিল্পে প্রায় দশ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০১২ সালে মোট জিডিপির ৪.৩ শতাংশ এসেছে পর্যটন খাত থেকে টাকার অংকে যা প্রায় ৩৯ হাজার ৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কেবল ২০১২ সালেই পর্যটন খাতের সাথে জড়িত ছিল ১২ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। যা মোট চাকরির ১.৮ শতাংশ। (সুত্রঃ WOTTC Report 2012)
নানা নান্দনিক সৌন্দর্যের কেন্দ্র হলো বাংলাদেশ। এদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো নানা বৈচিত্র্যের সমাহার। কোনোটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোনোটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত আবার কোনোটি ধর্মীয় ঐতিহ্যের নান্দনিক স্মারক হয়ে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশ, ঐতিহ্যগত, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং আত্মিক সকল সম্পদ দিয়েই সমৃদ্ধ। এ কারণে সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে পর্যটকদের আগমন ঘটছে। ইতিহাস খ্যাত পর্যটক ফা হিয়েন, হিউয়েন সাং, ইবনে বতুতার পর্যটক হয়ে আসার কাহিনী সবার জানা। বাংলাদেশে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বৈচিত্র্যময় হওয়ার কারণে পর্যটকদের মধ্যেও বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নাম, অবস্থান ছকের সাহায্যে তুলে ধরা হলো-
পর্যটন কেন্দ্রের নাম
বিখ্যাত হওয়ার কারণ
অবস্থান
১. সুন্দরবন
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বন।
খুলনা
২. কক্সবাজার
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার
৩. সেন্টমার্টিন দ্বীপ
বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবাল দ্বীপ।
কক্সবাজার
৪. কুয়াকাটা
এক জায়গায় থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য বিখ্যাত স্থান।
পটুয়াখালী
৫. মহাস্থানগড়
প্রাচীন এবং প্রত্মতাত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
বগুড়া
৬. সোনরগাঁও
লোকশিল্পের জন্য বিখ্যাত।
নারায়ণগঞ্জ
৭. পাহাড়পুর/সোমপুর বিহার
বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
নওগাঁ
৮. মাধবকুন্ড
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক জলপ্রপাত।
সিলেট
৯. শিলাইদহ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের অনেকাংশ কাটিয়েছেন এই স্থানে। এখানে তার কুঠিবাড়ি রয়েছে।
কুষ্টিয়া
১১. সীতাকোট বিহার
প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
দিনাজপুর
১২. ময়নামতি
প্রত্নতাত্মিক স্থান
কুমিল্লা
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ
বর্তমান সময়ের দ্রুত বিকাশমান একটি শিল্প হলো পর্যটন শিল্প। এ শিল্প তার বহুমাত্রিক বৈচিত্র্যের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পে উপার্জন বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে ১৯৯৯ সালে পর্যটন খাত থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছিল ২৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এটি বেড়ে গিয়ে ২০০৮ সালে ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। বাংলাদেশের GDP-এর প্রায় ২ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। পর্যটন শিল্পে প্রায় দশ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০১২ সালে মোট জিডিপির ৪.৩ শতাংশ এসেছে পর্যটন খাত থেকে টাকার অংকে যা প্রায় ৩৯ হাজার ৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কেবল ২০১২ সালেই পর্যটন খাতের সাথে জড়িত ছিল ১২ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। যা মোট চাকরির ১.৮ শতাংশ। (সুত্রঃ WOTTC Report 2012)
پسند
تبصرہ
بانٹیں
samiha38
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟