10 w ·Translate

গল্পের নাম: "ভয়াল পাহাড়ের গুহা"

সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির পর হিমালয়ের পাদদেশে আবহাওয়া ছিল একদম পরিষ্কার। ঠিক এই সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বন্ধু—রিয়াদ, ইমন, তৃষা আর মেহরীন বের হয় ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে। তারা শুনেছিল স্থানীয় এক পাহাড়ি গাইডের মুখে "নিঃশব্দ গুহা"র কথা—এক গুহা, যেখানে ঢুকলে শব্দ হারিয়ে যায়, আর অনেকেই নাকি ফিরে আসেনি।

গল্প শুনেই রিয়াদের চোখ চকচক করে ওঠে। সে মানেই না এসব কুসংস্কার। অন্যরা দ্বিধায় থাকলেও শেষমেশ সবাই রওনা দেয়।

দুই দিন ট্রেকিংয়ের পর তারা পৌঁছে যায় পাহাড়ের সেই অংশে, যেখানে গুহাটি অবস্থিত। গাইড শেষ পর্যন্ত যেতে রাজি হয়নি, ভয় পেয়ে সে ফিরে যায়। চার বন্ধু একসাথে ঢুকে পড়ে গুহার অন্ধকারে।

ভেতরে ঢুকেই তারা টের পায়—একটা অদ্ভুত নিস্তব্ধতা চারপাশে। কেউ কিছু বললেও অন্যরা শুনতে পায় না। শব্দ যেন গিলে নেয় গুহার দেয়াল! ভয় বাড়তে থাকে, কিন্তু তারা এগোতেই থাকে।

গুহার একদম গভীরে গিয়ে তারা দেখে এক পাথরের বেদি, তার ওপর চারটে গহনা বসানো, প্রতিটি ভিন্ন রঙের। পেছনে লেখা ছিল, “শব্দ তোমার শক্তি, নীরবতায়ই মুক্তি।” ইমন ভুল করে একটা গহনা তুলে নেয়—সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পের মতো কাঁপতে থাকে গুহা।

তৃষা চিৎকার করে, কিন্তু কেউ শুনতে পায় না। হঠাৎ মেহরীন ইশারায় সবাইকে বোঝায়—সব গহনা ঠিক জায়গায় রেখে আসতে হবে। একে একে সবাই গহনা রেখে দেয়, কাঁপন থেমে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গুহার দেয়ালে একটা ফাঁক তৈরি হয়—একটা আলো বেরিয়ে আসে।

তারা দ্রুত বেরিয়ে পড়ে। বাইরে এসে সবাই একে অপরের মুখ চেয়ে থাকে—এত কাছের হয়েও, এতটাই দূরে ছিল যেন! কিন্তু এবার তারা জানে—কিছু রহস্য থাকাই ভালো, আর প্রকৃতিকে অত পরীক্ষা না করাই ভালো।

#sifat10