10 di ·Menerjemahkan

গল্পের নাম: "টাইমকোড ১৯৪৭"

নির্ঝরের বয়স মাত্র ১৬, কিন্তু হ্যাকিং আর কোডিংয়ে সে প্রায় কিংবদন্তি। এক রাতে সে তার দাদার পুরনো কম্পিউটার ঘাঁটতে গিয়ে খুঁজে পায় একটা অদ্ভুত প্রোগ্রাম—নাম “TIMECODE_1947.EXE”। কৌতূহলে সে ক্লিক করে, হঠাৎ করে চারপাশে বিদ্যুৎচমক, আর চোখের সামনে সবকিছু অদৃশ্য হয়ে যায়।

নিজেকে সে খুঁজে পায় ১৯৪৭ সালের কলকাতায়! দেশভাগের উত্তাল সময়, লোকজন আতঙ্কে। হাতে তার ছোট্ট একটা ডিভাইস—সেই কম্পিউটারের কোর। বুঝতে বেশি সময় লাগে না, এটা একটা টাইম ট্র্যাভেল মেশিন!

কিন্তু তার আগমনের সময়টা একদম ভুল জায়গায় হয়েছে। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা তাকে লক্ষ্য করে ফেলে, কারণ তার হাতে থাকা ডিভাইসকে তারা “গোপন অস্ত্র” ভাবছে। পালাতে পালাতে নির্ঝর পরিচিত হয় মীরা নামের এক সাহসী কিশোরীর সঙ্গে, যে দেশপ্রেমিক গোপন গ্রুপের সদস্য।

দুজন মিলে চায় ব্রিটিশদের ফাঁকি দিয়ে সেই টাইম ডিভাইসটি আবার সক্রিয় করতে। কিন্তু তার জন্য দরকার “এনার্জি কোর”, যা আছে শহরের গভীরে এক গোপন ল্যাবে, যেখানে প্রবেশ মানেই মৃত্যু।

তবুও নির্ঝর ও মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযানে। অন্ধকার গলি, পেছনে ধাওয়া, সামনে বিপদ—সব পেরিয়ে তারা পৌঁছে যায় ল্যাবে। শেষ মুহূর্তে নির্ঝর ডিভাইস চালু করে, মীরাকে জড়িয়ে ধরে বলে, “তুমি অসাধারণ!”—আলো ঝলসে ওঠে।

চোখ মেলে দেখে—সে আবার নিজের ঘরে। কিন্তু টেবিলের ওপর রাখা একটা পুরনো সাদা-কালো ছবি, যেখানে মীরা দাঁড়িয়ে আছে হাতে একটা কাগজ—লেখা: “ধন্যবাদ, বন্ধু।”

#sifat10