10 w ·çevirmek

**গল্পের নাম: "সবুজের ভিতর লুকানো শহর"**

নয়ন আর তিতলি, দুই ভাইবোন, বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছিল ভারতের উত্তর-পূর্বে ঘুরতে। একদম পাহাড় আর ঘন সবুজ বনভূমিতে ঘেরা জায়গা, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। স্থানীয় এক বৃদ্ধ তাদের বলল এক রহস্যময় গল্প—এক হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার কথা, “আরুণ্য নগর”, যা নাকি এখনও জঙ্গলের গভীরে লুকিয়ে আছে।

তাদের কৌতূহল চেপে রাখতে পারেনি। এক সকালে সুযোগ বুঝে নয়ন আর তিতলি বেরিয়ে পড়ে। মানচিত্র নেই, দিশা নেই—তবুও জঙ্গলের গভীরের একটানা হাঁটার পর তারা দেখতে পায় অদ্ভুত সব পাথরের কাঠামো। সেখানে ছিল দেয়ালে খোদাই করা চিত্র, অজানা ভাষা, আর এক বিশাল গেট—যেটা কিছুতেই খুলছে না।

হঠাৎ তিতলি দেখে পাশে একটা মূর্তির চোখে লাল পাথর বসানো। চাপ দিতেই গেট খুলে যায় এক অদ্ভুত শব্দে। তারা ঢোকে শহরের ধ্বংসাবশেষে—কিন্তু শহরটা একেবারেই ফাঁকা নয়। ভিতরে ছিল বিচিত্র গাছ, আকাশচুম্বী অজানা প্রাণী, আর অদ্ভুত এক আলো যেন সবসময় ছায়া সরিয়ে রাখে।

তারা বোঝে—এই শহর কোনো মানুষ হারায়নি, বরং নিজের ইচ্ছেতেই লুকিয়ে গেছে সময়ের পেছনে। তিতলি এক প্রাচীন বই খুঁজে পায়, যেখানে লেখা—“যে প্রকৃতিকে ভালোবাসে, তাকেই পথ দেখায় এই নগর।”

বাইরে ফেরার পথ সহজ ছিল না। কিন্তু তারা ফেলে আসে না কিছুই, শুধু বইটা সাথে নেয়। ফিরে এসে বাবা-মা যখন জিজ্ঞেস করে কোথায় ছিল, নয়ন শুধু বলে, “একটা শহর দেখেছিলাম, যেটা মানচিত্রে নেই।”

পরদিন সকালে তিতলি বইটা খোলে, আর দেখে—ভেতরে পাতাগুলো আস্তে আস্তে সাদা হয়ে যাচ্ছে। যেন সেই শহর তাদের স্মৃতিতে থেকে যেতে চায়, শুধু সেখানে আর ফিরে যাওয়া যাবে না।

#sifat10