গল্পের নাম: "চন্দ্রদ্বীপের অভিশাপ"
নয়নচর গ্রামের ঠিক পেছনে, বঙ্গোপসাগরের মাঝে ছিল এক অদ্ভুত দ্বীপ—“চন্দ্রদ্বীপ।” স্থানীয় লোকজন বলত, পূর্ণিমার রাতে কেউ যদি দ্বীপে পা রাখে, সে আর ফিরে আসে না। কেউ বলত সেখানে জলদেবতার অভিশাপ, কেউ বলত buried treasure এর পাহারাদার।
রাফি, মুনা আর সাদ, তিন বন্ধুর অ্যাডভেঞ্চারপ্রেম ছিল ঠিক আগুনের মতো। গুজব শুনে তারা স্থির করল, পূর্ণিমার রাতেই পাড়ি দেবে চন্দ্রদ্বীপে।
রাত ১১টা, নৌকা ভাসিয়ে তারা পৌঁছে যায় দ্বীপে। চারদিকে ঘন কুয়াশা, অথচ চাঁদের আলো অদ্ভুতভাবে ঠিক দ্বীপটার মাঝখানে একটা গাছের উপরেই পড়ে আছে। হঠাৎ সাদ মাটির নিচে ধাতব কিছু খোঁজে পায়—তারা মাটি খুঁড়ে পায় একটা লোহার বাক্স। কিন্তু বাক্স খোলার আগেই মাটিতে ভূকম্পের মতো কাঁপুনি শুরু হয়।
বৃক্ষের গায়ে খোদাই ছিল এক সতর্কবাণী: “চাঁদের আলোতেই খুলবে দ্বীপ, কিন্তু সময় ফুরালে, আলোও হারাবে চিরতরে।” তারা ভাবে, এই বাক্সেই হয়তো সেই রহস্যের উত্তর লুকানো। রাফি বাক্স খুলতেই চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। এক ভয়ানক গর্জন শোনা যায়, আর সমুদ্রের ঢেউ দ্বীপের চারপাশে ঘূর্ণি তৈরি করে।
তখন মুনা চিৎকার করে বলে, “ফেলে দাও! এটা আমাদের জন্য নয়!” রাফি এক ঝাঁকুনিতে বাক্সটা সাগরে ছুঁড়ে ফেলে—আর মুহূর্তের মধ্যেই ঢেউ থেমে যায়, আকাশ পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
তারা যখন ফিরছিল, তখন দেখল নৌকার পেছনে জলের উপর ভেসে আছে একটা চিঠি। তাতে লেখা ছিল:
“তোমরা প্রমাণ করে দিয়েছো, লোভ নয়—সাহসই মুক্তির চাবিকাঠি।”
#sifat10