10 w ·Translate

গল্পের নাম: "ভুতুড়ে দুর্গের ছায়া"

নীলগিরির পাহাড়ঘেরা গ্রামে সদ্য এসেছে এক টিম ইতিহাসবিদ আর এক্সপ্লোরার। তাদের সাথে ছিল তরুণ অভিযাত্রী অর্ক। গ্রামে এসেই সে শুনল “রাজগড় দুর্গ”-এর গল্প—যেখানে নাকি রাতের পর কেউ ঢোকে না। দুর্গের গায়ে লেখা আছে অদ্ভুত এক বাক্য:
“যে সত্য জানবে, সে রাত হারাবে।”

অর্ক ভয় না পেয়ে একাই সিদ্ধান্ত নেয় রাতে দুর্গে ঢোকার। হাতে টর্চ আর একটি ক্যামেরা, সে পৌঁছে যায় সেই পুরনো ইট-পাথরের বিশাল কাঠামোতে। ভিতরে ঢুকতেই অনুভব করে, ঠান্ডা হাওয়া যেন কথা বলছে, ছায়া যেন নড়ছে।

হঠাৎ সে দেখতে পায় দেয়ালে আঁকা চিত্র—এক রাজকুমার আর তার গুপ্তধনের কথা। আর পাশে একটা ছোট দরজা, যেখানে লাল রঙে লেখা—“পেছনে তাকিও না।”

অর্ক সাহস করে দরজার ভিতর ঢোকে। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই সে খুঁজে পায় একটা হলঘর—মাঝে একটা পাথরের বেদি, তার ওপর রাজকুমারের ভগ্ন মূর্তি আর এক খোলা ডায়েরি। ডায়েরির পাতায় লেখা:
“আমার সত্য জানবে যে, তাকে মূল্য দিতে হবে তার ভয় দিয়ে।”

পেছনে হালকা পায়ের আওয়াজ—অর্ক পিছনে তাকায় না। চোখ বন্ধ করে ডায়েরি তুলে নেয়। মুহূর্তে ঝড় ওঠে, আলো নিভে যায়।

কিছু সময় পর অর্ক চোখ মেলে দেখে সে দুর্গের বাইরে—কিন্তু ভোর হয়ে গেছে, অথচ তার ঘড়িতে রাত ১টা।

ডায়েরিটা আজও তার কাছে আছে, কিন্তু কেউ তা খুলতে পারেনি। অর্ক শুধু জানে—সে সত্য দেখেছে, কিন্তু ভয়কে জয় করেই ফিরেছে।

#sifat10