সোনার লোভ
রকি ছোটবেলা থেকেই ধন-সম্পদের পেছনে ছুটে। তার স্বপ্ন—একদিন অনেক বড়লোক হবে। শহরের গলির দোকান থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ব্যবসায় ভাগ্য চেষ্টা করেছে, কিন্তু বড় সাফল্য ধরা দেয়নি। একদিন তার দাদুর পুরনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে পেয়ে গেলো এক ধূসর মানচিত্র। নিচে হাতের লেখা—“রাঙ্গামাটির জঙ্গলের ঠিক এই জায়গায় সোনার বালতি গাঁথা আছে।” পাশে ঝাপসা করে আঁকা ছিলো একটা শালগাছ আর ছোট টিলা।
রকি চোখ চকচক করে উঠলো। এত বছর ধরে ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা, এবার বুঝি সে খুঁজে পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত পথ। মানচিত্র হাতে সে ছুটে গেলো রাঙ্গামাটি। দিনের পর দিন পাহাড় ঘুরে, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে, শেষে এক জঙ্গলের মধ্যে খুঁজে পেলো মানচিত্রে দেখানো জায়গাটা।
গভীর রাত। চাঁদের আলোতে রকি একা দাঁড়িয়ে গর্ত খুঁড়ছে। ঘাম, ক্লান্তি, কিন্তু উত্তেজনা তাকে টানছে। কিছুক্ষণ পর কোদালের শব্দ কিছুর সঙ্গে ঠেকে উঠলো—একটা ধাতব আওয়াজ। রকি গর্ত থেকে বের করলো পুরনো, কালচে ধাতুর তৈরি এক বালতি। মুখ খুলতেই তার ভেতর থেকে ঝলমলে সোনার বার বেরিয়ে এলো।
রকির চোখ ছলছল করে উঠলো—“আমি ধনী!” চিৎকার করে উঠলো সে।
ঠিক তখনই, গা-ধরানো গর্জন। পাহাড় যেন কেঁপে উঠলো। গাছপালা কাঁপছে, পাথর গড়িয়ে পড়ছে। রকি উঠে দাঁড়াতে গিয়ে পড়ে গেলো। তার মাথার উপর থেকে একটা বড় পাথর গড়িয়ে এলো নিচে। সব অন্ধকার হয়ে গেলো।
তিন দিন পর উদ্ধারকারী দল এক অভিযানে রকির মৃতদেহ পেলো গুহার মতো একটা গর্তে। তার ঠোঁটে একটুখানি হাসি, আর হাতে ধরা ছিলো তার নিজের লেখা একটা নোট—“সব পেয়েও হারানোই জীবন। সোনার লোভ মানুষকে অন্ধ করে দেয়। আমি বুঝেছি… তবে দেরিতে।”
#sifat10
sourna12345
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?