কুয়োর নিচে
রিমি তার নানুর পুরনো বাড়িতে গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে এসেছে। বাড়িটার পেছনে একটা পাথরের কুয়ো—অনেক পুরনো, আর ব্যবহার হয় না। নানু বলেন, “ওটা ঘিরেই রেখেছি, কুয়োর নিচে কিছু অদ্ভুত শব্দ পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। রাত হলে ওদিকে যাস না।”
রিমি কৌতূহলী মেয়ে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে সে একদিন চুপিচুপি চলে গেল কুয়োর ধারে। নিচে তাকিয়ে শুধু অন্ধকার। হঠাৎ করেই সে শুনতে পেল—কেউ যেন নিচ থেকে ডাকছে, “রিমি... রিমি...”
সে ভয় পেয়ে ছুটে পালিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন বিকেলেই সে আবার ফিরে আসে, এবার একটা ছোট টর্চ নিয়ে। কুয়োর দেয়ালে ঝুঁকে আলো ফেলতেই নিচে কিছু একটা নড়ে ওঠে। খুব নিচে, যেন একটা মুখ... কিন্তু অদ্ভুতভাবে বিকৃত, চোখ বড়, চামড়া ধূসর।
রিমি আঁৎকে উঠে পেছনে সরে যায়। ঠিক তখনই পিছন থেকে কে যেন তার কানে ফিসফিস করে বলে, “নিচে আয়, রিমি... তোকে অনেকদিন ধরে খুঁজছি।”
সে দৌড়ে ফিরে আসে বাড়িতে। নানুকে বললে তিনি মুখ কঠিন করে বলেন, “তোর মা যখন ছোট ছিল, তখনো এমনই ডাক শুনতো। বলেছিল, কুয়োর নিচে তার একটা যমজ বোন আছে—যাকে কেউ দেখেনি। পরে একদিন, সে গভীর রাতে নিখোঁজ হয়ে যায়… আর শুধু কুয়োর পাশেই পাওয়া গিয়েছিল তার জুতোজোড়া।”
রিমির শিরা-উপশিরা ঠান্ডা হয়ে যায়। সেই রাতেই সে জানলার পাশে দাঁড়িয়ে দেখে, কুয়োর পাশে একটা মেয়ে—চুল এলোমেলো, মুখ অন্ধকারে ঢাকা। তার দিকে হাত বাড়িয়ে ডাকছে।
রিমি চোখ চেপে ধরে, কিন্তু মেয়েটির ফিসফাস শুনতে পায়—“তুই তো আমারই অর্ধেক… আমি তোকে নিচে নিয়ে যাবো, এবার একসাথে থাকবো চিরকাল।”
পরদিন সকালে রিমিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কুয়োর চারপাশে শুধু দুটো পায়ের ছাপ, আর পাশেই পড়ে আছে তার ছোট্ট টর্চলাইট—ভেতরে জ্বলছে ক্ষীণ আলো।
#sifat10
showrovbarman12345
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?