দরজার ওপাশে
রহিম বড় শহরে একা থাকে, ছোট একটা ফ্ল্যাটে। কাজ আর ব্যস্ততার মাঝে তার একাকিত্ব বাড়ছিলো। একদিন ফ্ল্যাটের দরজার বাইরে একটা পুরনো কাঠের দরজা দেখতে পায়, যা তার ফ্ল্যাটের দেয়ালে অদ্ভুতভাবে লুকিয়ে আছে। জানালার পাশেই, কিন্তু কোনো ঘর নেই সেখানে।
কৌতূহলী হয়ে রহিম একদিন সন্ধ্যায় সেই দরজাটা খুলে ফেলে। দরজার ওপাশে একটা অদ্ভুত অন্ধকার ঘর। ভিতরে প্রবেশ করতেই রহিম দেখতে পায়, সময় থমকে আছে। ঘরটা ফাঁকা, কিন্তু দেয়ালে ঝুলছে ছবি—সবই তার নিজের জীবনের মুহূর্ত, তার ছোটবেলা, তার প্রথম প্রেম, তার হারানো বন্ধু।
হঠাৎ এক কণ্ঠস্বর শোনা যায়, “তুই এই ঘরে ঢুকলে, ফিরে যাওয়ার রাস্তা নেই।”
রহিম ভয় পায়, কিন্তু দরজা বন্ধ করতে চাইলেও বন্ধ হচ্ছে না। অন্ধকার ঘরের মাঝে ধীরে ধীরে অজানা ছায়ারা জেগে ওঠে, যা তার জীবনের ভুল ও কষ্টকে তুলে ধরে। প্রতিটি ছবির মধ্যে সে নিজেকে হারিয়ে যেতে থাকে।
সময় থেমে গেছে, কিন্তু রহিম এক এক করে তার জীবনের সব গোপন স্মৃতি ও পাপের মুখোমুখি হয়। সে বুঝতে পারে, এই দরজা এক ধরনের পরীক্ষা, যেখানে নিজের ভেতরের সব অন্ধকারকে মেনে নিতে হয়।
এক সময় দরজার পেছন থেকে হঠাৎ আলো ফোঁটতে শুরু করে। দরজাটা ধীরে ধীরে খুলে যায়। রহিম বেরিয়ে এসে দেখতে পায়, ফ্ল্যাটের রঙ বদলে গেছে, নতুন আলো এসেছে।
সে বুঝতে পারে, দরজার ওপাশে যাওয়াটা তার নিজের আত্মার যাত্রা, যেখানে সে ভেতরের অন্ধকারকে জয় করেই নতুন আলো দেখেছে।
#sifat10
samiha38
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟