10 i ·Översätt

গরুর হাড় ও সোনা

নিমাই চাষা ছিল সৎ, পরিশ্রমী, কিন্তু দরিদ্র। গ্রামের দক্ষিণের খেতগুলোতে সে চাষ করত, যেগুলো অন্যেরা ত্যাগ করেছিল “অশুভ” বলে। একদিন সে হাল দিচ্ছিল, হঠাৎ লাঙ্গলের ফলায় ঠক করে কিছু একটা বাধে। খুঁড়ে দেখে—মাটির নিচে একগুচ্ছ গরুর হাড়, আর তার মাঝখানে কাপড়ে মোড়া একটা পুঁটলি। খুলে দেখে, তাতে কয়েকটি সোনার কড়ি!

সে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে শলা করে। স্ত্রী বলে, “ওগুলো নিশ্চয়ই কারও সম্পদ ছিল, ভুল করে মাটিতে চাপা পড়ে গেছে। রেখে দে, কেউ চাইলে ফেরত দিস।” কিন্তু সেদিন রাত থেকেই শুরু হয় অদ্ভুত ঘটনা।

প্রথম রাতে ঘরে বাজে শব্দ হয়—গরুর ঘন্টা, চাপা গোঙানির মতো। দ্বিতীয় রাতে উঠোনে চিহ্ন দেখা যায়, যেন কেউ খুর টেনে গেছে। তৃতীয় রাতে, নিমাই স্বপ্ন দেখে—এক বৃদ্ধ বলছে, “যে গরুদের তুমি disturb করেছো, তারা ছিল দানের পশু। তুমি কড়িগুলো ফেরাও, নয়তো এই শব্দ থামবে না।”

ভয়ে নিমাই পরদিন গিয়ে হাড়গুলো পুঁতে দেয় আগের জায়গায়। কড়িগুলো সে মন্দিরে দান করে দেয়। রাতের পর রাত, আর কোনও শব্দ শোনা যায় না।

গ্রামে একটা কথা চালু আছে এখনো—“মাটির নিচের জিনিস সব সময় সোনা নয়, কখনও তা ইতিহাস, কখনও তা আত্মা।”

#sifat10