10 C ·Traduzir

অন্ধকারের ঘড়ি

এক ছোট গ্রামে ছিল একটি প্রাচীন ঘড়ি, যা গ্রামের মাঝখানে এক টাওয়ারের ওপর ঝুলে ছিল। সে ঘড়ি সন্ধ্যার ঠিক আটটার আগে পর্যন্ত সময় দেখাত, কিন্তু রাত আটটার পর কাঁটা এক মুহূর্তের জন্য থেমে যেত। যেই রাতে ঘড়ির কাঁটা থামত, সে রাতটা ছিল গ্রামে সবচেয়ে অন্ধকার আর ভয়ঙ্কর।

লোকেরা বিশ্বাস করত, ঘড়ির কাঁটা থেমে যাওয়ার সময় কেউ যদি তার দিকে তাকায়, তাহলে সে লোক তার সময় হারিয়ে ফেলে। একসময় কেউ সাহস করে ঘড়ির কাছে যায়নি রাত আটটার পর। কারণ, যারা তাকিয়েছিল, তাদের কেউই ফিরে আসেনি।

একবার রাহুল নামে এক তরুণ ছেলেকে এই গল্প শুনে কৌতূহল জন্মায়। সে ঠিক করে, রাত আটটার সময় ঘড়ির কাছে যাবে। সেই রাতে সে ক্যামেরা নিয়ে টাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে। ঠিক আটটার সময় ঘড়ির কাঁটা থেমে যায়, আর তখনই ঘড়ির মুখ থেকে হঠাৎ একটা ধূসর ছায়া বেরিয়ে আসে। ছায়াটা ধীরে ধীরে রাহুলের দিকে এগিয়ে আসে, চোখ দুটো হয়ে ওঠে অন্ধকার এবং সে এক অদ্ভুত ঠাণ্ডা অনুভব করে।

রাহুল ভয় পেয়ে চিৎকার করে পালাতে শুরু করে। কিন্তু ঘড়ির কাছ থেকে এক অদ্ভুত শব্দ বের হয়—“তোমার সময় শেষ।” সেই রাত থেকে রাহুল আর গ্রামে দেখা যায়নি।

লোকেরা বলে, এই ঘড়ি শুধু সময় না দেখায়, এটি মানুষের জীবনকালের নিয়ন্ত্রণও করে। যারা ঘড়ির অন্ধকার মুখের দিকে তাকায়, তাদের জীবন থেমে যায়।

সেই থেকে গ্রামে রাত আটটার পর কেউ ঘড়ির দিকে তাকায় না। কেউ সাহস করলেও তার কোনো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায় না। গ্রামবাসীরা এখন শুধু অপেক্ষা করে এই ভয়ের মাঝেই।

#sifat10