10 在 ·翻译

নিঃসঙ্গ সেতু

এক গ্রামের প্রবেশদ্বারে ছোট্ট একটি সেতু ছিল, যা গ্রামের সবার কাছে ‘নিঃসঙ্গ সেতু’ নামে পরিচিত ছিল। এই সেতুর ঠিক মাঝখানে বাতাস হঠাৎ থেমে যেত—এক ধরণের অলৌকিক স্থিরতা তৈরি হত। রাতে কেউ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলে এমনই অনুভব করতো, যেন বাতাসের মাঝে একটা নিঃসঙ্গ ফুসফুসের ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে।

একদিন নুসরাত নামের এক তরুণী সন্ধ্যার পর সেই সেতু পার হচ্ছিল। হঠাৎ সে শুনতে পেল এক অদ্ভুত সুরেলা আওয়াজ—ফুসফুসের মতো নরম, যেন কারো হৃদয়ের মৃদু স্পন্দন। সে ভীত হয়ে দ্রুত সেতু পার হয়।

সেই রাতেই নুসরাত স্বপ্নে ফিরে যায় সেই সেতুতে, যেখানে সে ফুসফুসের সেই নিঃসঙ্গ আওয়াজ আবার শুনতে পায়। স্বপ্নে সে দেখে, সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে একছায়া মানুষের মতো অবয়ব তাকে ডাকছে, কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারছে না।

পরদিন থেকে নুসরাত সেতুর কাছে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। গ্রামবাসীরাও সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ এমন এক নিঃশব্দ স্থিরতা পায় যা তাদের ভীত করে। কেউ কেউ বলে, “সেতুটি যেন একাকীত্বের বন্দি, তার নিঃশ্বাস আমাদের ভেতরে ঢুকে আসে।”

ধীরে ধীরে গ্রামের লোকজন বিশ্বাস করতে শুরু করে, যে সেতুটি শুধু নদী পার করার মাধ্যম নয়, বরং এক ধরনের দ্বার যেখানে একাকী আত্মাদের নিঃশ্বাস আটকে থাকে।

#sifat10