10 میں ·ترجمہ کریں۔

মাটির গহ্বর

গ্রামের এক কোণে ছিল একটি পুরনো গাছ, যার গোড়ার কাছে মাটির মধ্যে এক গভীর গহ্বর। গহ্বরটি দেখতে সাধারণ, কিন্তু মাঝে মাঝে তার ভিতর থেকে গলগল শব্দ বের হত, যেন কেউ সেখানে কথা বলছে। গ্রামবাসীরা গহ্বরের কাছে যেত না, কারণ তারা বিশ্বাস করত, সেখানে কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে।

শাকিল, গ্রামের একজন যুবক, সাহস পেয়ে একদিন গহ্বরে কাঠ ঢোকাতে শুরু করল। হঠাৎ গর্ত থেকে এক অজানা কণ্ঠ বের হল, “ছোঁয়া বন্ধ কর।” শব্দটি এতই ভীতিজনক ছিল যে শাকিল ছুটে পালালো। এরপর থেকে গহ্বর থেকে ঝাঁঝালো বাতাস বের হতে থাকল, যা স্পর্শ করলে হাত কেঁপে উঠত।

গ্রামে কেউ আর গহ্বরে হাত দেয় না। যারা গহ্বরের কাছে যায়, তারা অনুভব করে যেন কোনো অদৃশ্য চোখ তাদের নজর করছে। কেউ কেউ বলে, “এই গহ্বর এক জীবন্ত সত্তার আবাস, যার রাগ কেউ শ্বাস নিতে দেয় না।”

কেউ জানে না, গহ্বরের গভীরে কি লুকিয়ে আছে, কিন্তু গ্রামের সবাই একমত যে, সেখানে প্রবেশ করাটা প্রাণের জন্য বিপদ।

#sifat10