তাই সেই আলেম তাকে তার শহর থেকে অন্য শহরে যেতে বলেছিলেন। তার কথা মত সেই লোক অন্য শহরের দিকে রওনা দিল। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছেমাফিক, সেই লোকটি সেই শহরে পৌছানোর আগেই মারা গেল।
যখন সে মারা গেল, তখন মৃত্যুর ফেরেস্তারা তার রূহ কবজ করার জন্য আসলেন। যখন একজন ভাল লোক মারা যায় তখন রহমতের ফেরেস্তা তার রূহ কবজ করতে আসেন আর যখন একজন খারাপ লোক মারা যায় তখন শাস্তির ফেরেস্তা তার রূহ কবজ করতে আসেন। কিন্তু যেহেতু এই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিলনা, তাই দুই ধরণের ফেরেস্তাদের দলই আসলেন তার রূহ কবজ করার জন্য!! এবং সেখানে একটা বিতর্ক জন্ম নিল!!
শাস্তির ফেরেস্তা বললেন, এই লোক আমাদের, কারণ সে এখনো তওবা করেনি/কবুল হয়নি! তার সদিচ্ছা ছিল কিন্তু সে সেখানে (অন্য শহরে) পৌছুতে পারেনি। রহমতের ফেরেস্তা বললেন, না, সে তওবা করেছে এবং সে সেই শহরে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়ে দিয়েছে! তো দুই দলের ফেরেস্তারাই বিতর্ক করছিল যে কারা সেই ব্যক্তির রূহ নিবে।
তাই আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা এই বিতর্ক দূর করার জন্য তাদের কাছে আরেকজন ফেরেস্তা পাঠালেন। তিনি তাঁদের বললেন, সে যেখানে মারা গিয়েছে সেখান থেকে উভয় শহরেরই দূরত্ব পরিমাপ কর। যদি তোমরা তাকে তার নিজের শহরের কাছে পাও তবে সে জাহান্নামী আর যদি সে অন্য শহরের (ভাল লোকদের) নিকটবর্তী হয় তবে সে জান্নাতী!
মুহাম্মাদ (স) বলেন, “প্রকৃতপক্ষে সে নিজের শহরের নিকটবর্তী ছিল!!” তাহলে তার স্থান কোথায় হবে? জাহান্নাম!!
কিন্তু মুহাম্মাদ (স) বলেন, আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা জমিনকে নির্দেশ দেন, তার (লোকটা) এবং তার নিজের শহরের মধ্যকার দূরত্বকে বিস্তৃত করার এবং তার (লোকটা) ও অন্য শহর (ভাল লোকদের) মধ্যকার দূরত্বকে সংকুচিত করার!! [অর্থাৎ তাঁর দেহ মনে হবে ভাল শহরের কাছে, কিন্তু সে মারা গেছে নিজের শহরের কাছে]
samiha38
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
samiha38
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
samiha38
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
MD Jahangir
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
MD Jahangir
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?