আমি বললাম, “জী।”
তিনি বললেন, “তাকে তো বিক্রি করার কোন উপায় নেই।”
আমি জানতে চাইলাম, “কেন নয় ?”
তিনি বললেন, “কারন আমার এই ঘরে তার উপস্থিতিকে আমি রহমত হিসেবে দেখি, আর সে আমার কাছে অমূল্য।”
আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তিনি কোথা থেকে খাবার পান ?”
তিনি বললেন, “সে যে খাবারগুলো বিক্রি করে কিছু উপার্জন করে, সেগুলো দিয়ে সে খাবার কিনে। আর যদি সে বিক্রি করতে না পারে তবে সে সেই খাবারগুলো খায় আর সেটাই তার জন্য পর্যাপ্ত হয়। অন্যান্য ছেলেরা আমাকে বলেছে যে সে এই দীর্ঘ রাতগুলোতে ঘুম যায় না আর আর সে তাদের সাথে মিলেমিশেও থাকে না, সে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে, আর আমার অন্তর তাকে ভালোবেসে ফেলেছে।”
আমি বললাম, “আমি কি ফুদাইল ইবন ‘ইয়াদ আর সুফইয়ান আস-সাওরি’র কাছে ফিরে যাবো তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করা ছাড়াই ?”
তিনি বললেন, “আমার নিকট আপনার আগমন করাই হল আমার জন্য এক বিরাট উপলক্ষ, আপনি যে মূল্যে চান তাকে গ্রহণ করতে পারেন।”
অতএব আমি তাকে কিনে নিলাম এবং তাকে ফুদাইলের কাছে নিয়ে গেলাম। তিনি কিছুদুর হেঁটে বললেন, “হে আমার মনিব।” আমি জবাব দিলাম, “আপনার খিদমতে উপস্থিত।”
তিনি বললেন, “দয়া করে আপনি এটা বলবেন না যে ‘আপনার খিদমতে উপস্থিত’, কারন গোলাম তো সে-ই যার উচিত তার মনিবের খিদমতে উপস্থিত থাকা।”
আমি বললাম, “হে আমার প্রিয়জন, আপনার কি প্রয়োজন ?”
তিনি বললেন, “আমি শারীরিকভাবে দুর্বল, আর আপনার খেদমতের জন্য আমার শক্তিও নেই, আমি ছাড়াও আপনার কাছে অন্য বিকল্প ছিলো। আমার থেকেও শক্তিশালী ব্যক্তিদের বের করে আনা হয়েছিলো।”