আমি বললাম, “আল্লাহ যেন আমার খেদমতের জন্য তোমাকে কখনোই দেখতে না পান, বরং আমি আপনার জন্য একটি ঘর কিনে দিয়ে আপনাকে বিয়ে করিয়ে দিবো এবং আমি নিজে আপনার খিদমত করবো।”
তিনি এই সময় কেঁদে উঠলেন, তাই আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, “আপনি কি কারনে কাঁদছেন ?”
তিনি বললেন, “আমার সাথে আল্লাহ’র যোগাযোগের মধ্যে একটি যোগাযোগ দেখা ছাড়া আপনি এটা করতেন না, নাহলে কেনি বা আপনি আমাকে অন্যদের ছেড়ে বেছে নিলেন ?”
আমি বললাম, “এই ব্যাপারে উদ্বেগ করো না।”
কিন্তু তিনি জিদ ধরে বললেন, “আল্লাহ’র নামে শপথ করে আমি আপনার কাছে এটা জানতে চাচ্ছি।”
আমি বললাম, “আপনার দুয়ার জবাব।”
তিনি বললেন, “আমি আপনাকে একজন সৎ করমপরায়ন বান্দা হিসেবেই চিনি। সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ’র একটি বাছাইকৃত দল আছে, তিনি তার বান্দাদের মাঝে যাকে ভালোবাসেন তাকে ছাড়া তিনি তাদের মর্যাদা প্রকাশ করেন না।” এরপর তিনি বললেন, “আমরা যদি এক মুহূর্তের জন্য থামি তবে কি সেটা ঠিক হবে ? গতকাল থেকে ঋণী থাকা (সালাতের) কিছু রাকআত আমাকে আদায় করতে হবে।”
আমি বললাম, “ফুদাইলের ঘর নিকটেই।”
তিনি বললেন, “না, এখানেই আমার এর থেকেও প্রিয়তম আছেন। আল্লাহ’র আদেশ তো কখনোই বিলম্বিত হয় না।”
এরপর তিনি মাসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করা শুরু করলেন, তার সালাত আদায় শেষে তিনি আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আবু ‘আবদির রহমান, আপনার কি কিছুর প্রয়োজন রয়েছে ?”
আমি জানতে চাইলাম, “কেন ?”