হিপ হপ কালচার

হিপ হপ এর ইতিবৃত্ত

হিপ হপ, শুধুমাত্র একটি সংগীত ধারা নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ সংস্কৃতি। এর মূল গোড়া আমেরিকার শহরতলির কালো সম্প্রদায়ে। ১৯৭০-এর দশকে নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্ক্স এলাকায় এই সংস্কৃতির উত্থান ঘটে। ডিজে, এমসি (রেপার) এবং বি-বয় এই সংস্কৃতির প্রধান উপাদান। ডিজে-রা টার্নটেবল ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের রেকর্ডের মাধ্যমে নতুন ধরনের তাল তৈরি করতেন। এমসি-রা এই তালের উপর রিদমিক ভাবে কথা বলতেন বা গাইতেন, যাকে র‍্যাপ বলা হয়। আর বি-বয়-রা এই সংগীতের তালে তালে নৃত্য করতেন।

 

হিপ হপ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি দেশে এই সংস্কৃতি নিজস্ব রঙে রাঙিয়েছে। বাংলাদেশেও হিপ হপের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম এই সংস্কৃতিকে বেশ গ্রহণ করেছে। তারা নিজেরাই হিপ হপ গান রচনা করছে, রেকর্ড করছে এবং পারফর্ম করছে।

 

হিপ হপ শুধুমাত্র একটি মজার বিষয় নয়, এটি একটি শক্তিশালী মাধ্যম যার মাধ্যমে তরুণরা তাদের মতামত, অভিজ্ঞতা এবং সমস্যাগুলো প্রকাশ করে। হিপ হপের মাধ্যমে তারা সামাজিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং অন্যান্য সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে থাকে। 

 

তবে হিপ হপের সাথে কিছু নেতিবাচক দিকও যুক্ত। অনেক হিপ হপ গানে হিংসা, মাদকাসক্তি এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা হয়। এই কারণে অনেকেই হিপ হপকে সমালোচনা করেন। তা সত্ত্বেও, হিপ হপ সংস্কৃতির ইতিবাচক দিকগুলোকে অস্বীকার করা যায় না।


Adeel Hossain

242 블로그 게시물

코멘트