"আমার প্রিয় শিক্ষক"
"গাছ আমাদের পরম বন্ধু"
"বিজ্ঞান ও আধুনিক সমাজ"
"শিক্

:

"শিক্ষার গুরুত্ব এবং আধুনিক সমাজে শিক্ষার ভূমিকা ও প্রভাব"

এটি একটি দীর্ঘ শিরোনাম, যা শিক্ষার গুরু

শীতের রাত

শীতকাল বাংলার ছয় ঋতুর একটি বিশেষ ঋতু। এই ঋতুতে প্রকৃতির রূপ ও আবহাওয়া এক ভিন্ন রূপে সেজে ওঠে। শীতের দিন যেমন মনোরম, শীতের রাতও তেমনই এক আলাদা অনুভূতি নিয়ে আসে। শীতের রাতের সৌন্দর্য, অনুভূতি ও পরিবেশের মধ্যে এক নিস্তব্ধতা বিরাজ করে, যা অন্য ঋতুতে পাওয়া যায় না। শীতের রাত মানেই যেন চাঁদের আলোয় মোড়া একটি স্নিগ্ধ শীতল অনুভূতি।

শীতের রাতের পরিবেশ

শীতের রাত খুব শান্ত ও নিস্তব্ধ হয়। আকাশ পরিষ্কার থাকে, তারাগুলো যেন আরও উজ্জ্বল মনে হয়। অনেক সময় শীতের রাতে কুয়াশা পড়ে, যা পুরো পরিবেশকে ঢেকে ফেলে। চারপাশের গাছপালা, ঘাস সবই যেন শিশিরের ফোঁটায় ভিজে এক দ্যুতিময় রূপ ধারণ করে। এই সময় রাতের বাতাস বেশ ঠান্ডা ও শীতল হয়। মানুষের হাঁটাচলা কমে যায়, আর প্রকৃতিতে এক গভীর নীরবতা নেমে আসে।

গ্রামে শীতের রাতের পরিবেশ আরও সুন্দর ও শান্ত হয়। রাতের আকাশে জ্বলজ্বলে তারা দেখা যায়, কুয়াশার চাদরে মাটির সবুজ ঘাস ঢেকে যায়। ভোরের দিকে ঘাসের ওপর শিশিরের বিন্দু দেখা যায়, যা মুক্তোর মতো ঝলমল করে। শহরে এই সৌন্দর্য কিছুটা কম হলেও, শীতের হালকা শীতলতা সব জায়গাতেই অনুভব করা যায়।

শীতের রাতে মানুষ ও জীবজন্তুর জীবন

শীতের রাতে মানুষ সাধারণত ঘরে বসে থাকতেই পছন্দ করে। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে তাপ নেয় বা গরম পোশাক পরে শরীরকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করে। বিশেষ করে গ্রামবাংলায় শীতের রাতে আগুন পোহানো একটি প্রচলিত দৃশ্য। গ্রামের লোকেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের চারপাশে বসে গল্প করে।

শীতের রাতে ঘরের ভেতর গরম খাবার যেমন খিচুড়ি, পিঠা, চা, কফি খাওয়ার এক বিশেষ আনন্দ আছে। অন্যদিকে, শহরের মানুষজন গরম পোশাক ও কম্বলের নিচে আশ্রয় নেয়। শীতের রাতে পথশ্রান্ত মানুষদের কষ্ট হয় সবচেয়ে বেশি

 


Nahidul Hasan Nahid

31 Blog posting

Komentar