বিয়ের আগেই চেষ্টা করুন
মনোবিজ্ঞানী : যদি দুনিয়াটা পাল্টে দিতে চান তাহলে বিয়ে করার আগেই সে চেষ্টা করুন।
পাত্র : কেন? বিয়ের পরে সমস্যা কী?
মনোবিজ্ঞানী : কারণ বিয়ের পর আপনি দুনিয়া তো দূরের কথা নিজের ঘরে টিভির চ্যানেলটাও নিজের ইচ্ছায় পাল্টাতে পারবেন না!
>সব নারী চরিত্র হাসিখুশি
টিভি দর্শক : মেয়েদের কাছে অতি জনপ্রিয় ‘আমি যেন এক প্রজাপতি’ সিরিয়ালের সব গৃহিণী চরিত্রকে হরদম হাসিখুশি দেখা যায়। এর কারণ কী?
পরিচালক : কারণ নাটকে ওই নারীদের কারোরই শাশুড়ি নেই!
>স্বামীর কাছ থেকে প্রেরণা
সাংবাদিক : নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রেরণা আপনি কার থেকে পেলেন?
মহিলা প্রার্থী : আমার স্বামীর কাছ থেকে।
সাংবাদিক : সেটা কিভাবে? যদি একটু বুঝিয়ে বলেন।
মহিলা প্রার্থী : এতে বোঝাবুঝির আর কী আছে? যতবার আমি ওর সঙ্গে লড়েছি, আমিই জিতেছি!
>তোর ঠোঁট এভাবে পুড়লো কি করে মিল্টন?
ঈদের ছুটিতে তোর ভাবীকে বাপের বাড়ি পাঠাতে রেলস্টেশনে গিয়েছিলাম।
তো?
ওকে ট্রেনে তুলে দিয়ে বিদায় জানাতে গিয়ে খুশির চোটে ট্রেনের ইঞ্জিনে চুমু দিয়ে ফেলেছিলাম!
>একেই বলে অভিজ্ঞতা
এক মহাধরিবাজ ঠিকাদার মহাসড়কের বড় একটি কাজের কন্ট্রাক্ট পাবার চেষ্টা করছিলেন। শেষতক প্রতিষ্ঠানের বড়কর্তার সঙ্গে মোটা টাকার ঘুষে কাজটি পেতে অলিখিত চুক্তিতে আবদ্ধ হলেন।
প্রজেক্ট ডাইক্টের সেইমত ফাইলে লিখে দিলেন, Approved.
কিন্তু দু'দিন অপেক্ষার পরও ঠিকাদার চুক্তিমত টাকা দিতে এল না। এমনকি ফোন পর্যন্ত ধরে না। তিনি খুব রেগে গেলেন- কিন্তু
করার কিছু নেই। ফাইলে তো নিজ হাতে Approved লিখে ফেলেছেন!
এসময় মুশ্কিল আসান হিসেবে এগিয়ে এল তার এইট পাস পিওন। সে বলল, কোনো চিন্তা করবেন না স্যার। আমি চেয়ারম্যানের টেবিল থেইকা ফাইলটা নিয়ে আসছি আবার।
আপনি Approved শব্দটির আগে Not লিখে দিন। বড় বড় পাস দেওয়া বড় কর্তা তাই করলেন, হয়ে গেল Not Approved।
এই ওষুধে কাজ হলো।
দু'দিন পর ঠিকাদার এলেন টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে। কিন্তু ভেজাল তো যাও হওয়ার হয়ে গেছে। মুখের সামনে রসগোল্লা- কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার সাহেব তা গিলতে পারছেন না। কারণ, এইট পাস পিওনের কথায় তিনি নিজ হাতে Not Approved লিখে ফেলেছেন ফাইলে! এবার কী উপায়!
এবারও মোক্ষম বুদ্ধি নিয়ে হাজির সেই তিরিশ বছরের অভিজ্ঞ এইট পাস পিওন। হাল্কা হাসি দিয়ে বললো, কোনো চিন্তা করবেন না, বস! আমি আছি না! আমি ফাইলটি আবার নিয়ে আসছি। আপনি Not এর পরে এবার একটি e বসিয়ে দিন। হয়ে যাবে Note Approved.
বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারিং পাস দেওয়া বড় কর্তা আবারো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন আর পিওনের বুদ্ধির প্রশংসা করলেন। ঘোষণা করলেন তার জন্য ঘুষের বড় এক পার্সেন্টেজ।
এখন কর্তা খুশি, পিওন খুশি, ঠিকাদার খুশি। সবাই হাসি, সবাই খুশি, হাসি-খুশী। শুধু জনগণ এর পরিণাম ভোগ করবে…
>রাজনীতিবিদদের সব কথা বিশ্বাস করতে নেই!
একবার দশজন রাজনীতিবিদকে বহনকারী একটি বিমান দূর গ্রামে বিধ্বস্ত হলো।
খবর পেয়ে রাজধানী থেকে উদ্ধারকারী দল রওনা হলো। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা প্রায়।
দেখা গেল, গ্রামবাসীরা ইতোমধ্যে দশজনকেই দাফন করে ফেলেছে। সারিবদ্ধ দশটি কবর।
উদ্ধারকারী দলনেতা জানতে চাইলেন, সবাই কি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন?
গ্রামবাসী : না, কবর দেওয়ার আগ পর্যন্ত দুইজন বলছিলেন যে, তারা মারা যাননি। কিন্তু আমরা সে কথায় কর্ণপাত করিনি। জানেনই তো রাজনীতিবিদদের সব কথা বিশ্বাস করতে নেই!
>স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না
দৌড়ে পোস্ট অফিসে ঢুকলেন পলাশ। হাঁপাতে হাঁপাতে পোস্টমাস্টারকে বললেন: স্যার, স্যার... আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না। সম্ভবত কিডন্যাপ্ড হয়েছে...
পোস্টমাস্টার: আপনি ভুল করেছেন! এটা পোস্ট অফিস, পুলিশ স্টেশন না।
লজ্জিত হাসি দিয়ে পলাশ: সরি, ভুল হয়ে গেছে! খুশির