বন্ধু কৌতুক

বৈষম্য তৈরি করতে চাই না

গরিব ঘরের ছেলে লাল্টু মনযোগী ছাত্র। কিন্তু প্রতিবেশী বিত্তশালী পরিবারের ছেলে পল্?

বৈষম্য তৈরি করতে চাই না

 

গরিব ঘরের ছেলে লাল্টু মনযোগী ছাত্র। কিন্তু প্রতিবেশী বিত্তশালী পরিবারের ছেলে পল্টু স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে। একদিন পল্টুকে খুব চেপে ধরলো লাল্টু বিষয়টি নিয়ে-

লাল্টু : দোস্ত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলি! পড়ালেখাটা করতে হবে না!

পল্টু : মুরব্বিরা বলেন, শিক্ষায় সবার সমান অধিকার। শিক্ষা নিয়ে বৈষম্য করতে নেই!

লাল্টু : তার মানে

পল্টু : বেশি পড়াশোনা করে অন্যের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি করতে চাই না।

 

>বাকিটা চালায় আমার বউ

 

কম তেল খরচ হয় এমন গাড়ি কিনবেন পাবলু। খোঁজ-খবর নিতে গেলেন গাড়িওয়ালা বন্ধু পলার কাছে।

পাবলু : দোস্ত, এক লিটারে কয় কিলোমিটার চালাস তোর গাড়ি?

পলা : পাঁচ কিলো।

পাবলু : মানে! তোর গাড়ি কী রাক্ষস নাকি? মাত্র পাঁচ কিলো যেতে এক লিটার গিলে খায়!

পলা : না, আমি চালাই পাঁচ কিলো, বাকি ২৫ কিলো চালায় আমার বউ।

 

>বিয়া করছি বিউটি কুইন

 

অনেকদিন পর দুই বন্ধুর দেখা। নিজাম স্মার্ট-শিক্ষিত আর কমল অশিক্ষিত, বোকা ধরনের। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুখ-দুঃখের কথায় মেতে উঠল তারা-

নিজাম : দোস্ত, বিয়া করছি বিউটি কুইন। মাগার আন্ডার মেট্রিক। তবে আমি নিজে তারে মেট্রিক পাস করাইছি। এরপর আইএ, বিএ এবং শেষ পর্যন্ত মাস্টার্সও পাস করাইছি। অহন কী করি ক তো? 

কমল : তুই তো দেখতেছি তার লাইগা বাপের চাইতে বেশি কইরা ফালাইছস। ভালা করছস। এইবার একটা ফার্স্টকেলাস পাত্র দেইখা হেরে বিয়া দিয়া দে।

 

>গালে পাঁচ আঙুলের দাগ

 

প্রথম বন্ধু : জানিস, কাল ইন্দিরার হাত ধরে দ্রুত দুটি চুমু খেয়ে নিলাম।

দ্বিতীয় বন্ধু : চুমু খেতে গিয়ে হাত ধরলি কেন?

প্রথম বন্ধু : না হলে ওর পাঁচ আঙুলের দাগ বসে যেত আমার গালে।

 

>প্লেট একটা নাকি?

 

মন্টু গেছে ঝন্টুর বাড়ি। 

ঝন্টু: হালুয়া না পায়েস? কোনটা খাবি দোস্ত?

মন্টু: তোদের বাড়িতে কি প্লেট একটা নাকি?

 

>কাউকে না বলবো না

 

বাপ্পী : জানিস, আজ আমার জন্মদিন।

মাহি : তাতে কী হয়েছে?

বাপ্পী : ঠিক করেছি সারাদিন ভালো হয়ে চলবো, কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবো না, সবার কথা শুনবো, কাউকে না বলবো না।

মাহি : তাহলে ৫০০ টাকা ধার দে তো!

 

>সেটা মাত্র বত্রিশ কিলো!

 

গ্রামের মোড়ল চিন্তাগ্রস্ত মুখে চাতালে বসে। সেই দেখে এক বন্ধু জিগ্যেস করে,

-কি ব্যাপার দাদা..?? সব ভাল তো..!!

-আর বলিস না..!! দু টনের এ.সি. কিনে বাড়ি আনার পর ওজন করে দেখি সেটা মাত্র বত্রিশ কিলো! এ ভাবে ঠকাবে, আমার ধারণার বাইরে..!!

 

>ঢাকা জায়গাটা খুব সুন্দর

 

এক আমেরিকান বন্ধু আরেক বাংলাদেশি বন্ধুকে বলছে-

১ম বন্ধু : জানিস, আজ আমি একটা বাংলাদেশের মেয়ের থাপ্পর খাইছি।

২য় বন্ধু : কেন রে, কী করছিলি?

১ম বন্ধু : আরে কিছুই করিনি।

২য় বন্ধু : তাহলে থাপ্পর মারলো কেন?

১ম বন্ধু : আরে শুধু বলেছিলাম, আপনাদের ঢাকা জায়গাটা খুব সুন্দর।

 

>আজকাল চোখে কম দেখি

 

১ম বন্ধু : দোস্ত, আমার চোখ দুইটা মনে হয় আর কাজ করতাছে না। মনে হয়, চোখের মরণ ঘনায়া আসছে।

২য় বন্ধু : কেন কী হইছে?

১ম বন্ধু : আরে আজকাল চোখে কম দেখি।

২য় বন্ধু : কিভাবে বুঝলি?

১ম বন্ধু: আরে, তুই কয়দিন আগে আমারে একটা ফেসবুক আইডি খুলে দিছিলি না?

২য় বন্ধু : হ্যাঁ, দিছিলাম। তাতে কী হয়েছে?

১ম বন্ধু : ওইডার প্রোফাইল ফটো চেঞ্জ করছিলাম। দেখলাম ১৭টি লাইক। কিন্তু আমি লাইক দেওয়ার পরে দেখি ১৮টি আনলাইক।

 

>দুধ খেলে শক্তি বাড়ে!

 

কফিল : লোকে বলে দুধ খেলে নাকি শক্তি বাড়ে!

বন্ধু : হ্যাঁ, সত্যিই তো বাড়ে, কোনো সন্দেহ আছে?

কফিল : ধুর! পাঁচ গ্লাস দুধ খেয়ে এই দেয়ালটা আধাঘণ্টা ধইরা ধাক্কাইলাম, এক ইঞ্চিও নড়ে নাই! সব ভুয়া! এখন পাঁচ গ্লাস মদ খেয়ে আসলাম! দেখি দেয়ালটা আমারে দেইখা নিজেই কেমন ভয়ে কাঁপতাছে!

 

>বিমানের পাইলট কেন ঘামতে থাকে!

 

দুই বন্ধু একটি মাঠে বসে গল্প করছে। এমন সময় তাদের মাথার ওপর দিয়ে একটি বিমান উড়ে যাচ্ছিল-

প্রথম বন্ধু : বল তো, বিমানের মাথার ওপর একটা বিশাল পাখা থাকে কেন?

দ্বিতীয় বন্ধু : কেন?

প্রথম বন্ধু : বিমান চালানোর সময় পাইলটের যেন গরম না লাগে, সে জন্য।

দ্বিতীয় বন্ধু : যাহ্।

প্রথম বন্ধু : হুমম! বিশ্বাস না হলে তুই বিমান চালানোর সময় পাখাটা বন্ধ করে দিয়ে দেখিস, পাইলট কেমন ঘামতে থাকে!

 

>বিয়েটা হচ্ছে না কেন?

 

পল্টু: তোর মেয়ের বিয়ের তারিখ পাকা হয়েছিল না দুই বছর আগে?

ঝন্টু: ঠিক।

পল্টু: তো এখনো বিয়েটা হচ্ছে না কেন?

ঝন্টু: কী করবো দোস্ত, জামাই তো পেয়েছি আইনজীবী!

পল্টু: আইনজীবী তো সমস্যাটা কী?

ঝন্টু: সমস্যা একটাই- বারবার খালি নয়া ডেট নেয়...

 

>তুই কি মরে গিয়েছিলি?

 

১ম বন্ধু : জানিস, আমি ছোটবেলায় একবার পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলাম।

২য় বন্ধু : বলিস কি! তারপর? তারপর কী হলো? তুই কি মরে গিয়েছিলি?

১ম বন্ধু : কী জানি! ছোটবেলার কাহিনি কি আর এখন মনে আছে?

 

>বৃষ্টির মধ্যে বাগানে পানি দিচ্ছি

 

আদু : কি রে লেদু, বৃষ্টির মধ্যে কী করিস? 

লেদু : বৃষ্টির মধ্যে বাগানে পানি দিচ্ছি! তুই কী করিস?

আদু : গাছের আম পাকা কিনা সেটা দেখার জন্য গাছে উঠে নিশ্চিত হচ্ছি।

লেদু : ধুর, নেমে ডিল দিয়ে দেখ আম পারা যায় কিনা!


Bablu islam

204 בלוג פוסטים

הערות