এটা তোর এটা আমার
একদিন বল্টু আর পল্টু কিছু আম চুরি করল। কিন্তু তারা সেগুলো ভাগাভাগি করার জায়গা পাচ্ছিলো না।খুঁজতে খুঁজতে শেষে একটি কবরস্থানের কাছে গেল তারা। তারা দেয়াল টপকে কবরস্থান এর ভিতর ঢুকলো।
কবরস্থানে ঢোকার সময় দুইটা আম পড়ে গেল। ঠিক সেই সময় কবরস্থানের পাশ দিয়ে এক মাতাল যাচ্ছিল।
মাতাল যেতে যেতে শুনতে পেল, ‘এটা তোর এটা আমার’ শুনে মাতাল ভয় পেয়ে গেল। কোন মতে দৌড়ে গিয়ে এক পুলিশকে বলল: স্যার, কবরস্থানে ভূত আছে আর তারা লাশ ভাগাভাগি করছে।
পুলিশ বলল: কোথায় তোর ভুত! ভুত আবার লাশ ভাগাভাগি করে!? কত বোতল পেটে ঢেলেছিস আজ!
মাতালের খুব পীড়াপীড়িতে পুলিশ গেল কবরস্থানে।
কবরস্থানের পাশে গিয়ে পুলিশও শুনতে পেল, ‘এটা তোর এটা আমার, এটা তোর এটা আমার।’
পুলিশ দেখে পল্টু ভয় পেয়ে গেল। বল্টুর মাথায় বুদ্ধি এলো।
আর ঠিক সেই সময় বল্টু বলে উঠলো: দেয়ালের ওইপাশের দুইটারে কি করবি?
ব্যস! পুলিশ আর মাতাল অজ্ঞান।
>আজ একটা বেণী কেন?
এক মাতাল অনেক মদ খেয়ে বাড়িতে ঢুকলো। কিন্তু সে ঘরে না ঢুকে ভুল করে গোয়াল ঘরে ঢুকে পড়লো। তারপর গরুর লেজ ধরে বলল. . .
মাতাল : কিগো ময়নার মা, প্রতিদিন দুটো বেণী করো। আজ একটা বেণী কেন?
>আমি এতো উপরে
এক মাতাল ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পানিতে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে থমকে দাঁড়ায়-
মাতাল : এই যে ভাই, নিচে ওটা কী?
পথচারী : কেন, চাঁদ।
মাতাল : কি? আমি এতো উপরে? কীভাবে উঠলাম?
>পুরো বোতলটাই শেষ
এক মাতাল মদ খেয়ে পুরো বেহুঁশ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেল। পাশ দিয়ে এক ভালো লোক যাচ্ছিল। সে তার কাছে এসে বললো-
লোক : একটু-আধটু পান কর ঠিক আছে। কিন্তু পুরো বোতলটা দেখছি খালি করে ফেলেছ। এটা তো ঠিক নয়।
মাতাল : স্যার, আমি খুব অসহায়, আমার এছাড়া কোন রাস্তাও ছিলো না।
লোক : সে আবার কী? এমন কি হলো যে, তোমাকে পুরো বোতলটাই শেষ করে ফেলতে হবে?
মাতাল : স্যার, আসলে বোতলের ঢাকনাটাই যে হারিয়ে ফেলেছিলাম। কোথাও খুঁজে পেলাম না।
>মুঠোর মধ্যে রেলগাড়ি
দুই মাতাল রাতে বাসায় ফিরছে। হঠাৎ একজন ডানহাত মুঠো করে ধরে পাশের জনকে দেখিয়ে বলে-
১ম মাতাল : ক তো দেহি, আমার হাতের মুডায় কী আছে?
২য় মাতাল : রেলগাড়ি।
১ম মাতাল চমকে গেল। হাতের মুঠো ভালো করে চেক করে বলল-
১ম মাতাল : খেলমু না, তুই দেখছোস।
>সোজা কইরা খাড়া করাইছে
ঢাকায় একটি উঁচু বিল্ডিং দেখে দুই মাতালের কথা হচ্ছে. . .
১ম মাতাল : দোস্ত, দেখ কত উঁচা বিল্ডিং এইটা। এতো উঁচায় রং করলো কেমনে?
২য় মাতাল : হুর ছাগল, এইটা ব্যাপার নাকি? কাইত কইরা রং করছে, পরে সোজা কইরা খাড়া করাইছে।
১ম মাতাল : এই ছোট গেট দিয়া এতো বড় বিল্ডিং ঢুকলো কেমনে?
>স্থায়ী ঠিকানা নেই
দুই মাতাল বাড়ি ফিরছিলো। হঠাৎ তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ১ম মাতালকে পুলিশ বললো. . .
পুলিশ : তোর বাড়ি কোথায়?
১ম মাতাল : আমার কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই স্যার।
পুলিশ : ওই তোর ঠিকানা?
২য় মাতাল : ওর উপরের ফ্ল্যাটটাই তো আমার স্যার।
>উধাও হয়ে যাবি
দুই মাতাল কথা বলছে. . .
প্রথম মাতাল : ওরে, তুই আর খাইস না।
দ্বিতীয় মাতাল : কেন?
প্রথম মাতাল : এখনই তোকে ঝাপসা দেখাচ্ছে, আর একটু খেলে উধাও হয়ে যাবি।
>দুই মাতালের কাণ্ড
এক রাতে দুই মাতাল রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ১ম মাতাল বলল-
১ম মাতাল : ওই যে বিল্ডিংটা দেখছিস, ওটা আমার। চল এক কাজ করি, ওটাকে দু’জনে ঠেলে আমাদের বাড়ির কাছে নিয়ে যাই।
তারপর দু’জন গায়ের শার্ট খুলে রেখে বিল্ডিংটি ঠেলতে লাগলো। তখন পিছন থেকে এক চোর তাদের শার্ট নিয়ে পালিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর ২য় মাতাল-
২য় মাতাল : আমরা বিল্ডিংটাকে ঠেলে অনেক দূর নিয়ে এসেছি।
১ম মাতাল : কী করে বুঝলি?
২য় মাতাল : দেখ না, আমাদের খুলে রাখা শার্ট কি আর দেখা যাচ্ছে?
>রেললাইনে দুই মাতাল
দুই মাতাল রেললাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাচ্ছে। একজন বলল-
এক মাতাল : এতো লম্বা সিঁড়ি উঠতে উঠতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম!
অন্য মাতাল : আরেকটু অপেক্ষা করো, ওই দেখ লিফট আইতাছে!
>গোল হয় ক্রিকেট খেলায়
দুই মাতাল গ্যালারিতে বসে ক্রিকেট খেলা দেখছে। এমন সময় ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকালেন।
১ম মাতাল : ওহ! কী দারুণ একটা গোল দিল!
২য় মাতাল : আরে বোকা, গোল কি এই খেলায় হয় নাকি? গোল তো হয় ক্রিকেট খেলায়!
>অন্ধকারেও লাইট নিয়ে খুঁজছে
দুই মাতল এক ঘরে বসে মদ খাচ্ছে। তাদের মশা কামরাচ্ছে দেখে ঘরের লাইট বন্ধ করে দিলো। ঘরে ছিল জোনাকি পোকা, তাই দেখে এক মাতাল বলল-
মাতাল : মশাগুলো কী চালাক দেখেছিস? অন্ধকারেও লাইট নিয়ে খুঁজছে!
>লেকচার শুনতে যাচ্ছি
পুলিশ এক মাতালকে ধরেছে-
পুলিশ : কোথায় যাচ্ছিস?