স্বামী-স্ত্রী কৌতুক

সুযোগ দাও না প্লিজ

স্ত্রী-- হ্যালো ...আমার কথা শুনতে পাচ্ছ ...শোনো, আমি কিন্তু ড্রাইভারকে চাকুরী থেকে তাড়িয়ে

সুযোগ দাও না প্লিজ

 

স্ত্রী-- হ্যালো ...আমার কথা শুনতে পাচ্ছ ...শোনো, আমি কিন্তু ড্রাইভারকে চাকুরী থেকে তাড়িয়ে দেব

স্বামী-- কেন কি হয়েছে ?

স্ত্রী-- এই নিয়ে আজ তিনবার হলো আমি ওর জন্য মরতে মরতে বেঁচে গেছি

স্বামী-- ওকে আর একবার সুযোগ দাও না প্লিজ

 

>পটানোর চেষ্টা চলছে?

 

স্ত্রী : আর পারি না তোমার সংসার নিয়ে। আমার হাড্ডি কয়লা হয়ে গেল! এই সংসার আমি আর করব না!

স্বামী : এই নাও, গরম গরম লাড্ডু খাও!

স্ত্রী : আমাকে পটানোর চেষ্টা চলছে?

স্বামী : কী কয় পাগলি! ভালো কাজের আগে মিষ্টি মুখ করে নিতে হয়।

 

>হোটেলে ডিনার করাবো

 

স্বামী : চলো, আজ তোমাকে হোটেলে ডিনার করাবো। 

স্ত্রী : ও মা! এখন তো মাত্র দুপুর, লাঞ্চের টাইম চলছে!

স্বামী : তোমার তৈরি হতে হতে ডিনার টাইম হয়ে যাবে, সমস্যা কী!

 

>দুই হাতে জড়ায়া ধরতা

 

স্বামী খুব মনোযোগ দিয়ে পত্রিকা পড়ছে। স্ত্রী খুবই অসন্তুষ্ট আর বিরক্ত মুখ নিয়ে তার সামনে এসে বলল-

স্ত্রী : আফসোস! যদি আমি একটা পত্রিকাও হইতাম, তাইলেও তুমি একটু আমার দিকে মনোযোগ দিয়া দেখতা। দুই হাতে জড়ায়া ধরতা।

স্বামী : আমিও খুব চাই যে, তুমি যদি একটা পত্রিকা হইতা, তাইলে প্রতিদিন নতুন নতুন রূপে দেখা পাইতাম!

 

>এমন মেয়েকে বিয়ে করতাম?

 

বেখেয়ালে ঘরে ঢুকতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর ধাক্কা লাগল। শুরু হলো ঝগড়া-

স্ত্রী : কাণ্ড দেখ লোকটার! 

স্বামী : কেন? কী হয়েছে?

স্ত্রী : অন্ধ নাকি তুমি, দেখতে পাও না?

স্বামী : অন্ধ না হলে কী আর এমন মেয়েকে বিয়ে করতাম?

 

>স্বামী-স্ত্রীর এসএমএস

 

স্বামী-স্ত্রী ইংরেজি চর্চা শুরু করেছে। যখন-তখন ইংরেজিতে এসএমএস করছে তারা। ফোন করে বলছে, তাড়াতাড়ি উত্তর দিতে। একদিন স্বামী এসএমএস করেছে স্ত্রীকে- 

স্বামী : হাই! হোয়াট আর ইউ ডুয়িং ডার্লিং?

স্ত্রী : আই অ্যাম ডায়িং…

স্বামী : সুইট হার্ট, ডোন্ট ডাই, প্লিজ! হাউ ক্যান, আই লিভ উইদাউট ইউ?

স্ত্রী : ইউ ডাফার, ইডিয়ট! আই অ্যাম ডায়িং মাই হেয়ার।

 

>স্বপ্নে ডানাকাটা পরি আসে

 

স্বামী : কাল রাতে স্বপ্নে এক ডানাকাটা পরী এসেছিল আমার কাছে। 

স্ত্রী : তাই? তারপর?

স্বামী : ওহ, কী সুন্দর। একেবারে রূপকথার মতো।

স্ত্রী : নিশ্চয়ই সে একা ছিল!

স্বামী : আরে তুমি জানলে কিভাবে?

স্ত্রী : জানি। 

স্বামী : কিভাবে, বলো না!

স্ত্রী : ওর স্বামী মানে রাজকুমার এসেছিল আমার স্বপ্নে!

 

>কোনটা তোমার বেশি পছন্দ?

 

সন্ধ্যার মুহূর্তে স্বামী-স্ত্রীর আড্ডা চলছে-

স্ত্রী : আমার সৌন্দর্য না আচার-ব্যবহার কোনটা তোমার বেশি পছন্দ?

স্বামী : আমার তো তোমার ঠাট্টা করার এই কায়দাটা খুবই পছন্দ। অনেক মজা পাই।

 

>খুব কাজের চাপ

 

বিল্টুর বউ বিল্টুকে ফোন করেছে ...

বউ : কি করছো এখন? 

বিল্টু : এই তো অফিসে। খুব কাজের চাপ।

বউ : তাই?

বিল্টু : হুম। তুমি কি করছো?

বউ : কেএফসিতে এসেছি। তোমার পিছনে বসে আছি। ছেলে জিজ্ঞাসা করছে, বাবার সঙ্গে ওই আনটিটা কে বসে আছে!

 

>বিয়ে করে ফেঁসে গেছি

 

স্ত্রী: তোমাকে বিয়ে করে ফেঁসে গেছি, জীবনটা বরবাদ!

স্বামী: মানে?

স্ত্রী: আমার জন্য কতো যোগ্য, বুদ্ধিমান পাত্রের প্রস্তাব আসছিল তুমি বিশ্বাস করবে না!

স্বামী: না, বিশ্বাস করছি। বুদ্ধিমান বলেই তারা সবাই সরে গেছে। আর বলদ বলে আমিই ফেঁসে...

 

>বৌভাতের দিন

 

স্ত্রী : তোমার মনে আছে, বিয়ের দিন আর বৌভাতের দিন আমি কী কী রঙের শাড়ি পরেছিলাম? 

স্বামী : রেল লাইনে কেউ আত্মহত্যা করতে গেলে সে কি দেখে যে শতাব্দী আসছে না রাজধানী?

 

>ক্লান্ত হয়ে পড়েছি

 

স্বামী: চল আজ বাইরে চা খেতে যাই!

স্ত্রী: তোমার কি মনে হচ্ছে যে তোমার বউ চা বানাতে বানাতে ক্লান্ত হয়ে গেছে?

স্বামী: না, সুইট হার্ট। আমি চায়ের কাপ-পিরিচ ধুতে ধুতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি...

 

>আমার পুরো দুনিয়া!

 

স্বামী: আমি তোমাকে ভালোবাসি!

স্ত্রী: আমিও তোমাকে ভালেবাসি! আসলে আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। তোমার জন্য আমি দুনিয়ার সঙ্গে লড়তে পারবো। 

স্বামী: কিন্তু তুমি তো সারাক্ষণ আমার সঙ্গেই লড়তে থাকো...

স্ত্রী: কারণ, আমার কাছে তুমিই হচ্ছো আমার পুরো দুনিয়া!

 

>যার বাচ্চা সে নিয়ে গেছে

 

মিস্টার ফয়েজ সাহেবের চারটা বাচ্চা। একদিন পত্রিকায় তিনি দেখলেন যে সরকার ঘোষনা করেছে, যার পাঁচটা বা তার বেশি বাচ্চা আছে, তাকে প্রতি মাসে সরকার ২০ হাজার টাকা করে দেবে।

ফয়েজ সাহেব তখন খুশিতে গদগদ হয়ে তার বউকে খবরটা দেখালেন। একটু আমতা আমতা করে বললেন: তুমি যদি কিছু মনে না করো তো একটা কথা বলবো?

বৌ: বলো, কিছু মনে করবো না।

মি. ফয়েজ: দেখো, তোমাকে বিয়ে করার আগে আমি আরেকটা বিয়ে করেছিলাম। সেটা ছিল পালিয়ে কাউকে না জানিয়ে। তো সেই ঘরে আমার একটা বাচ্চা আছে। তুমি বললে আমি ওকে নিয়ে আসবো আর তখন আমাদের পাঁচটা বাচ্চা হয়ে যাবে এবং আমরা মাসেমাসে ২০ হাজার টাকা করে পাবো।

বউ অবাক হলেও মোটেই রাগ করলোনা।

বউ: যাও। নিয়ে এসো সুযোগ সময়মত।

তো বাচ্চা নিয়ে ফিরে এসে মিস্টার ফয়েজ দেখলো তার ঘরের দুটো বাচ্চা গায়েব।

ফয়েজ বৌকে জিজ্ঞাসা করলো ব্যাপার কি?

বৌ: যার বাচ্চা সে নিয়ে গেছে। খবরের কাগজ কি তুমি একাই পড়েছো?

 

>ডিম ভেজে দিই?

 

স্ত্রী : টোস্টে মধু মাখিয়ে দিয়েছি, খাবে?

স্বামী (ভাব মেরে) : নাহ্, ও তো মৌমাছির মুখ থেকে বের হয়। কারো মুখ থেকে বের হওয়া খাবার আমি খাই না।

স্ত্রী : তাহলে একটা ডিম ভেজে দিই?

 

>স্বামী-স্ত্রীর ফেসবুক সংলাপ

 

অফিস থেকে ফিরেই রাকিব সাহেব স্ত্রীকে বললেন. . .

রাকিব : হ্যালো ডিয়ার, ঘরে লগড ইন হইলাম, কেমন আছো?

স্ত্রী : তুমি কি বাজার করে আনোনি?

রাকিব : দুঃখিত, বিষয়টি মাথায় ট্যাগ করতে মনে ছিল না।

স্ত্রী : তোমার যে আমার জন্য নতুন একটা শাড়ি ডাউনলোড করার কথা ছিল, সেটাও কি ভুলে গেছ?

রাকিব : দোকানে গিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো শাড়িতেই লাইক দিতে পারিনি।


Bablu islam

204 Blog des postes

commentaires