জ্ঞানী খিজির (আঃ)

স্মরণ কর সে সময়ের কথা, যখন মূসা (আঃ) তার সঙ্গীকে বলেছিলঃ দুই সমুদ্রের মধ্যস্থলি না পৌঁছে আমি থামবো না, আমি যুগ যু?

দেয়াল দেখতে পেলেন। দেয়ালটি পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। খিজির দাঁড়ালেন। নিজের হাতে দেয়ালটি গেঁথে সোজা করে দিলেন। মূসা (আঃ) বললেনঃ এই বসতির লোকদের কাছে আমরা খাবার চাইলাম, তারা আমাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করলো। আপনি চাইলে এ কাজের মজুরী নিতে পারতেন।

খিজির বললেনঃ বাস্, এখান থেকে তোমার ও আমার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো। এখন আমি তোমাকে সেই বিষয়গুলোর তাৎপর্য বুঝিয়ে দেব যেগুলোর ব্যাপারে তুমি ধৈর্য ধারন করতে পারনি। সেই নৌকাটির ব্যাপার ছিল এই যে, সেটির মালিক ছিল কয়েকটা গরীব লোক। সাগরে গতর খেটে তারা জীবন ধারন করতো। আমি নৌকাটিকে দাগী করে দিতে চাইলাম। কারণ হচ্ছে, সামনে এমন এক বাদশাহর এলাকা রয়েছে যে প্রত্যেকটা নৌকা জোর করে কেড়ে নেয়। তারপর সেই ছেলেটির কথা। তার বাপ-মা ছিল মুমিন। আইম আশংকা করলাম, ছেলেটি পরবর্তীকালে তার নাফরমানী ও বিদ্রোহাত্মক আচড়নের মাধ্যমে তাদেরকে কষ্ট দেবে। তাই আমি চাইলাম, আল্লাহ্ তার পরিবর্তে তাদেরকে যেন এমন একটি সন্তান দেন, যে চরিত্রের দিক দিয়ে তার চেয়ে ভালো হবে এবং মানবিক স্নেহ ও দয়ার ক্ষেত্রেও তার চেয়ে উন্নত হবে। আর এ দেয়ালটার ব্যাপার এই যে, এটা হচ্ছে দুটো এতিম ছেলের যারা এই শহরে বাস করে। এই দেয়ালের নিচে তাদের জন্য সম্পদ লুকানো রয়েছে। তাদের পিতা ছিলেন নেককার ব্যাক্তি। তাই তোমার রব চাইলেন, ছেলে দু'টি বড় হয়ে তাদের জন্য রাখা সম্পদ লাভ করবে। তোমার রবের মেহেরবানীর কারনে এটা করা হয়েছে। আমি নিজে কিছু করিনি। এই হচ্ছে সেই সব বিষয়ের তাৎপর্য , যে জন্য তুমি ধৈর্য ধারণ করতে পারনি।

রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, ভালো হতো যদি মূসা (আঃ) আরো একটু সবর করতেন। তাহলে আল্লাহ্ তাদের আরো কিছু কথা আমাদের জানাতেন।
বুখারী: হাদিস নং-৪৭২৫ 

 


rx Pushpa

78 ブログ 投稿

コメント