লরিস্টন গার্ডেন্স-এর রহস্য

স্বীকার করছি, আমার সঙ্গীর মতবাদের বাস্তবতার এই নতুন প্রমাণ আমাকে বিস্মিত করেছিল। তার বিশেল-

স্বীকার করছি, আমার সঙ্গীর মতবাদের বাস্তবতার এই নতুন প্রমাণ আমাকে বিস্মিত করেছিল। তার বিশেল-ষণী শক্তির প্রতি আমার শ্রদ্ধা বহুগুণে বেড়ে গেল। একটা । সন্দেহ কিন্তু তখনও উঁকি দিতে লাগল যে, আমাকে চমকে দেবার জন্য সমস্ত ব্যাপারটাই আগে থেকে সাজানো, অবশ্য আমাকে চমকে দিয়ে তার কি লাভ হবে কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। তাঁকিয়ে দেখি, সে চিঠিটা পড়ে ফেলেছে। তার চোখে এমন একটা শূন্য অনুজ্জ্বল দৃষ্টি যে দেখলেই মনে হয় সে তার মনের মধ্যে ডুবে গেছে।

 

জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আচ্ছা, ওটা তুমি জানলে কেমন করে?’

 

সে যেন একটু চটেই বলল, ‘কোনটা?’

 

‘কেন? ওই লোকটা যে নৌবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট, সেটা?’

 

‘এসব তুচ্ছ কথা বলবার মত সময় নেই, ‘কোনটা?’

 

‘রূঢ় কণ্ঠেই জবাব সে জবাব দিল। তারপরই হেসে বলল, ‘এই রূঢ়তার জন্য আমাকে ক্ষমা কর। আমার চিন্তার সুতোটা তুমি ছিঁড়ে ফেলছিলে। কিন্তু তুমি কি সত্য সত্যই বুঝতে পারো নি যে লোকটি নৌবিভাগের সার্জেন্ট ছিল?’

 

‘মোটেই না।’

 

‘আমি কি করে জানলাম সেটা বোঝানোর চাইতে ওটা অনেক সহজ। তোমাকে যদি বলা হয় দুই আর দুইয়ে যে চার হয় সেটা প্রমাণ কর, তাহলে ব্যাপারটা নিশ্চয়ই একটু কঠিন মনে হবে, অথচ তুমি নিশ্চিত জান যে এটা সত্য। রাস্তার ওপাশে থাকতেই লোকটির হাতের উল্টো পিঠে একটা বড় নীল নোঙরের উল্কি আমার চোখে পড়ে-ছিল। তাতেই সমুদ্রের গন্ধ পেলাম। তার আচরণের এবং দুদিকে পাকানো গোঁফ ছিল সামরিক গন্ধ। কাজেই পাওয়া গেল নৌবিভাগ। লোকটির মধ্যে কিছুটা ভারিক্কি-য়ানা এবং প্রভুত্বের ভঙ্গীও আমার চোখ এড়ায় নি। যেভাবে সে মাথাটা উঁচু করে ছিল এবং হাতের বেতটা ঘোরাচ্ছিল সেটা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছ।তার মুখে চোখে একটা স্থির, সম্ভ্রান্ত, মধ্যবয়স্ক মানুষের ছাপ—এই সব দেখেই মনে হল সে সার্জেন্ট ছিল।’

 

‘চমৎতার।’ আমি সোল্লাসে বলে উঠলাম।

 

হোমস বলল, ‘অতি সাধারণ।’ যদিও তার কথা শুনে আমার মনে হল, আমার বিস্ময় ও প্রশংসা শুনে সে খুশিই হয়েছে। ‘এইমাত্র বলছিলাম যে আজকাল আর অপরাধী নেই। মনে হচ্ছে-আমি ভুল বলেছি। এটা দেখ! প্রাক্তন সার্জেন্টের দেওয়া চিঠিখানা সে আমার দিকে ছুঁড়ে দিল।

 

‘সে কি।’ চোখ বুলিয়েই আমি চীৎকার করে উঠলাম, ‘এ যে সাংঘাতিক।’

 

সে শান্তভাবে বলল, ‘একটা অসাধারণ কিছু বলে মনে হচ্ছে। তুমি কি চিঠিটা আমাকে পড়ে শোনাবে?’

 

নীচের চিঠিটা আমি তাকে পড়ে শোনালামঃ

 

প্রিয় মিঃ শার্লক হোমস,

 

৩, লরিস্টন গার্ডেন্সে গত রাতে একটি খারাপ ঘটনা ঘটেছে। লরিস্টন গার্ডেন্স বেরিয়েছে ব্রিক্সটন রোড থেকে। প্রায় দুটো নাগাদ আমাদের বীটের পুলিশ সেখানে একটা আলো দেখতে পায়। যেহেতু বাড়িটা তখন খালি ছিল, তার মনে সন্দেহ দেখা দেয়। গিয়ে দেখে দরজা খোলা আর আসবাব-পত্রহীন সামনের


Rx Munna

446 Blog posts

Comments

📲 Download our app for a better experience!