যৌতুক প্রথা: সামাজিক ক্যান্সার

যৌতুক প্রথা যা প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি সামাজিক ক্যান্সার হিসেবে বিদ্যমান ।

যৌতুক প্রথা যা প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি সামাজিক ক্যান্সার হিসেবে বিদ্যমান ।আজও কিছু সমাজের গভীরভাবে পতিত হয়। এটি হলো এমন একটি প্রথা যেখানে কোণের পরিবারকে বরের পরিবারকে অর্থ গয়না কিংবা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী দিতে হয়। এই প্রথাটি নারীদের ওপর সামাজিক অর্থনৈতিক অত্যাচারের প্রতীক এবং আধুনিক সমাজে এটি একটি গুরুতর সমস্যা।

 

 

যৌতুক প্রথার কারণ সমূহ: 

 

যৌতুক প্রথার পেছনে মূলত সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে। সমাজে এখনো অনেকে বিশ্বাস করে যে বরের পরিবারকে যৌতুক দেওয়া মানে কোণের পরিবার কর্তৃক একটি দায়িত্ব পালন করা। অর্থাৎ কোনেকে তার স্বামীর সংসারে একটি বোজা হিসেবে নয় বরং একটি সম্পদ হিসেবে তুলে দেওয়া। এছাড়া সমাজের অর্থনৈতিক অসাম্য নারীর প্রতি বৈষম্য এবং শিক্ষার অভাব যৌক্তিক প্রথার মূল কারণ। 

 

 

যৌতুক প্রথার প্রভাব: 

যৌতুক কথার কারণে নারীদের জীবনে অনেক কষ্ট এবং দুর্দশা নেমে আসে। যৌতুকের দাবিতে কোনেকে নির্যাতন এমনকি হত্যার ঘটনাও সমাজের প্রাইজ দেখা যায়। এই প্রথা নারীর মর্যাদা এবং অধিকারকে কমিয়ে দেয় এবং পরিবারের এক ধরনের অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে।

 

 

 

প্রতিরোধের উপায়:

 

দুটো কথা প্রতিরোধে সমাজের সক্রিয় প্রচেষ্টা প্রয়োজন। প্রথমত শিক্ষার প্রসার বিশেষভাবে গুরুত্ব অন্য কারণ শিক্ষিত মানুষ যৌতিকের কু প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। আর দ্বিতীয়ত কঠোর আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সামাজিক সচেতনতার বৃদ্ধি যৌথ প্রথা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।


Ashikul Islam

315 Blog posting

Komentar

📲 Download our app for a better experience!