চীনের একটি সৌর ও বিধবার ভালোবাসা

চীনের কিশোরটি তার চাইতে দশ বছর বয়সী এক বিধবা মহিলার প্রেমে পড়ে।



তাদের ভালোবাসাটা ছিলো বেশ গভীর! কিন্?

চীনের কিশোরটি তার চাইতে দশ বছর বয়সী এক বিধবা মহিলার প্রেমে পড়ে।

 

..

 

তাদের ভালোবাসাটা ছিলো বেশ গভীর! কিন্তু চীন দেশে তখন বয়সের এই অসমতা কোনভাবেই মেনে নিতোনা। তারা দুজন দুজনকে গভীরভাবে নিজের করে চায়!

 

..

 

কোন এক প্রভাতে সব কিছু ছেড়ে দুজন পাড়ি জমালো দূরে একটা পাহাড়ের চূড়ায়। এতটাই চূড়া যেখানে মানুষজন ভয়ে উঠেনা। দুজন প্রথম দিকে বেশ কষ্টেই দিনগুলো কাটাচ্ছিলো।

 

..

 

এমনও হয়েছিলো ঘাস, লতাপাতা খেতে হয়েছিলো তাদের। কোন একদিন প্রিয় মানুষটার কষ্ট দেখে কিশোরটি প্রশ্ন করে ,,,

 

..

 

--- এখানে কিছুই নেই, না আছে খাবারের ব্যবস্থাটুকুও। তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা?

 

..

 

প্রিয় মানুষটি হাসে আর কাঁধে মাথা রেখে বলে ,,,

 

--- তুমি যতক্ষণ পাশে আছো আমার সবকিছুই আছে!

 

..

 

টোনাটুনির সংসার চলতে লাগলো। লোকালয়ে যেতো স্বামী। খাবারের ব্যবস্থা করতো কাজ করে। কিন্তু নির্দিষ্ট একটা সময় স্বামী কোথায় যেতো ঠিক কি করতো স্ত্রী বুঝতে পারতো না। কোনদিন প্রশ্নও করেনি যদি রাগ করে।

 

..

 

পঞ্চাশ বছর পর।

 

..

 

একদিন বৃদ্ধ স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে ,,,

 

..

 

--- চলো এবার আমরা লোকালয়ে ফেরৎ যাই। এখন আর সমস্যা হবেনা।

 

--- কিন্তু আমিতো পঞ্চাশটা বছরে কোনদিন নিচে নামিনি। এতটাই উপরে চূড়াটা যে নিচের দিকে তাকালেই ভয় করে। কি করে নামবো আমি?

 

..

 

বৃদ্ধ স্ত্রীর হাতটা ধরে পাহাড়ের একপাশে নিয়ে গেলো। স্ত্রী দেখলো উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বিশাল সিড়ির ভাজ কাটা। যেখানে প্রায় ছয় হাজার সিড়ি হবে। স্ত্রী স্বামীর দিকে তাকায়।

 

..

 

স্বামী বলেন ,,,

 

..

 

--- সারাজীবন ভালোবাসা ছাড়া তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি। আমার জন্যইতো তুমি সব কিছু ছেড়ে এসেছো। তাই ভাবলাম বৃদ্ধ বয়সটাতে আমরা লোকালয়ে ফেরত যাবো সবার কাছে। কিন্তু তুমিতো পারবে না এই পাহাড় থেকে নিচে নামতে। তাই সিড়ি বেয়ে যাতে নিচে নামতে পারো পঞ্চাশটা বছর প্রতিদিন আস্তে আস্তে এই সিড়িগুলো কেটেছি!

 

..

 

স্ত্রী কিছু বলেনি স্বামীর দিকে তাকিয়ে রইলো ভালোবাসার দৃষ্টিতে!

 

..

 

গল্পটা কেবল গল্পই নয়, চীনের একটা প্রাচীন সত্য ঘটনা। ভালোবাসাগুলো সবসময়ই সারপ্রাইজিংয়ের মধ্যে সুন্দর থাকে। প্রিপারেশান নিয়ে ভালোবাসা যায়না।

 

..

 

এখন সারপ্রাইজিং ভালোবাসাগুলো নেই। নিয়মিত শপিং, ফুর্তি, দাম ফ্রি ফোন কিংবা অভিজাত হোটেলে ডিনার এসব পেলেই পেয়ে যায় ভালোবাসা। কিছু থাকেনা অবশিষ্ট যা দেখাবে, দেখবে, সন্তুষ্ট হবে ভালোবাসার মানুষটি!

 


Jwel Jwel

181 Blog Mensajes

Comentarios

📲 Download our app for a better experience!