আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব একটি রাষ্ট্র বা অঞ্চলকে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করতে পারে। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ, প্রাকৃতিক সম্পদ, জাতিগত বা ধর্মীয় বিভাজন এবং সীমান্তসংক্রান্ত বিরোধ এসব দ্বন্দ্বের মূল কারণ। এই ধরনের সংঘাত কেবল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলেই নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতিতেও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে।
উদাহরণস্বরূপ, মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলে সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক তেল সরবরাহ ব্যাহত হয়। এতে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পায়, যা শিল্পোন্নত দেশগুলোর উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেয়। একইভাবে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে ইউরোপে খাদ্যশস্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে, যার ফলে খাদ্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
আঞ্চলিক সংঘাতের ফলে স্থানীয় জনগণের জীবিকা এবং অবকাঠামো ধ্বংস হয়। উদাহরণস্বরূপ, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি তাদের আর্থিক কর্মকাণ্ডকেও স্তব্ধ করে দেয়। এতে কর্মসংস্থান হ্রাস পায় এবং দারিদ্র্য চক্র বৃদ্ধি পায়।
দ্বন্দ্ব-পীড়িত অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কারণ বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে চান। পাশাপাশি, যুদ্ধ পরিচালনার ব্যয় মেটাতে রাষ্ট্রকে প্রায়ই ঋণ নিতে হয়, যা তাদের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তোলে।
আঞ্চলিক দ্বন্দ্বের সমাধানের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো গেলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব। এজন্য কূটনৈতিক আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম।