অর্থনৈতিক বৈষম্যের পরিণতি

অর্থনৈতিক বৈষম্য একটি সমাজে আয়, সম্পদ এবং সুযোগের অসম বণ্টনকে বোঝায়।

 

অর্থনৈতিক বৈষম্য একটি সমাজে আয়, সম্পদ এবং সুযোগের অসম বণ্টনকে বোঝায়। এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে, যা অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে।

অর্থনৈতিক বৈষম্যের অন্যতম প্রধান পরিণতি হলো দারিদ্র্যের বৃদ্ধি। নিম্ন আয়ের মানুষ মৌলিক চাহিদা যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং বাসস্থান পূরণে ব্যর্থ হয়। এটি তাদের জীবনের মান কমিয়ে দেয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও দারিদ্র্যের চক্রে ফেলে দেয়।

বৈষম্যের আরেকটি বড় প্রভাব হলো সামাজিক অস্থিরতা। আয়ের বিশাল ব্যবধান মানুষকে হতাশাগ্রস্ত করে তোলে, যা বিক্ষোভ, সহিংসতা এবং অপরাধ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ইতিহাসে দেখা গেছে, আরব বসন্তের মতো আন্দোলনের পেছনে অর্থনৈতিক বৈষম্যের বড় ভূমিকা ছিল।

রাজনৈতিক পরিণতিও কম নয়। বৈষম্যপূর্ণ সমাজে জনগণ ক্ষমতাসীনদের উপর আস্থা হারায়। এর ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং রাজনৈতিক চরমপন্থার উত্থান ঘটে।

অর্থনৈতিক বৈষম্য অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিকেও বাধাগ্রস্ত করে। যখন সম্পদ একটি ছোট গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়, তখন ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পায়। এটি বিনিয়োগ এবং উৎপাদন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর জন্য সুষম নীতি, উচ্চমানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সমান সুযোগ, এবং ন্যায্য কর ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে এই সমস্যার সমাধান জরুরি।

 


Mahabub Rony

884 Blog mga post

Mga komento