অতি সঙ্গমের অপকারিতা

আজকালকার ছেলেমেয়েরা সঙ্গদোষে নানা প্রকার কুসংস্কারে পড়ে, অসময়ে বার্ধক্য টেনে আনে। বালেগ হবার আগেই তারা ই?

আজকালকার ছেলেমেয়েরা সঙ্গদোষে নানা প্রকার কুসংস্কারে পড়ে, অসময়ে বার্ধক্য টেনে আনে। বালেগ হবার আগেই তারা ইতর ও লম্পটের সর্দার সেজে বসে। তখন বিয়ে শাদী না হলেও দিনরাত কেবল কুচিন্তা করে মনটাকে উত্তেজিত করে রাখে। কৌশলে দেহের অমূল্য ধন অমূল্য রতন ধাতু নিংড়িয়ে নিংড়িয়ে ফেলতে থাকে। বিয়ে হলে তাে হাতে স্বর্গ পেল- আগপাছ আর ভাববার দরকার কি? মনে চায় চিরাদিন তাে এভাবেই সমান যাবে। গত নেই সময় অসময় নেই, কেবল লাগিয়েই রাখতে ভালবাসে, যে ধনে শত বছর বেশ সুখে চলতে পারা যায়, তারা পারলে তো একদিনেই শেষ করে ফেলে। সাবধান, ক্ষণিক আধ ঘন্টা সুখের জন্য অমূল্য ধন একেবারে নিঃশেষ করাে না। যৌবন বিরের ঠেলায় অস্থির হয়ে অনিয়মে অতিশয় ধাতু ক্ষয় করে নানা প্রকার বিশ্রি রােগের বােঝা মাথায় নিয়াে না। 

 

যারা যৌবনকালে সাবধান না হয়ে অতিশয় সঙ্গম করে, কিংবা কুপ্রক্রিয়ার দ্বারা অতিশয় ধাতু ক্ষয় করে, তার বিষময় ফল যৌবনকালে আথবা বুড়া কালেও তাদের সে ফল অবশ্যই ভােগ করতে হয়। 

 

প্রথম বয়সে যারা অতিশয় ইন্দ্রিয় সেবায় মত্ত হয়ে পড়ে, চল্লিশ বছর পার হতে না হতে তাদের শরীর ঘুণে ধরে। তারপর সহজেই শরীর ভেঙ্গে পড়ে। চোখের জ্যোতিঃ কমে যায়, বুকে, পিঠে ও কোমড়ে বেদনা জন্মে, অরুচি ও পেটের অসুখ হয়, একটুতেই অসুখ করে, শরীর দুর্বল ও হাত পা অবশ হয়, ধাতু ক্ষীণ, ধ্বজভঙ্গ, হাঁপানী, কাশি, বাতরােগ, কানে কম শুনা, ঘন-ঘন পেশাব, ধাতু ঝরা, গরমী, কুষ্ঠ, পাণ্ডু, অর্শ ইত্যাদি রােগ হয়। শুয়ে থাকতে ভাল লাগে না- বসে থাকতে কষ্ট বােধ হয়। মুখ মলিন, চেহারা শুকনা, চোখ বসা, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘুরায় ও দেহ হালকা হয়ে পড়ে। 

 

শুন ভাই আবারও বলছি সুযােগ পেলেই রাক্ষস হয়াে না, রয়ে সবুর করে ধাতু খরচ করাে। দেখবে তােমার মত সুখী জগতে আর নেই। 


Jwel Jwel

181 Blog indlæg

Kommentarer