নিমন্ত্রণ পাওয়া কুকুরের গল্প

এক ভদ্রলোক বাড়িতে এক বিরাট ভোজের আয়োজন করেছিলেন। তাঁর এক বন্ধুকেও নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুর সা??

এক ভদ্রলোক বাড়িতে এক বিরাট ভোজের আয়োজন করেছিলেন। তাঁর এক বন্ধুকেও নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুর সাথে সাথে বন্ধুর কুকুরটাও এসে হাজির হ’ল সেই ভোজে। সেই ভদ্রলোকের নিজের কুকুর তখন মালিকের বন্ধুর কুকুরকে দেখে এগিয়ে এল। “এসো দোস্ত” বলল সে, “আমাদের সাথেই আজ খেয়ে নাও।” নিমন্ত্রণ পেয়ে সে কুকুরের ত মহা আনন্দ হল। ভোজের আয়োজন দেখে সে মনে মনে বলল, “বিরাট ব্যাপার, কোন সন্দেহ নেই এতে, সত্যি বলতে কি খুবই সৌভাগ্য আমার। যা যা মন চায় খাব আজকে, ভাল করে খেয়ে নেওয়া দরকার আজ রাতে, কে জানে কাল আবার কতটুকু খাবার জুটবে।” নিজের মনে এইসব ভাবনা ভাবতে ভাবতে মহা খুশীতে সে তার লেজ নাড়াতে থাকল। এক ফাঁকে নিজের বন্ধুর দিকে তাকিয়ে চতুর একটা হাসিও দিয়ে দিল সে। কিন্তু তার এই লেজ নাড়ানো পাচক মশায়ের নজরে পড়ে গেল। অচেনা অজানা এক কুকুর দেখে সে সোজা সেটার ঠ্যাং ধরে জানালা দিয়ে নীচের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিল। মাটিতে পড়ার পর কঁকিয়ে উঠে সেই কুকুর রাস্তা ধরে হাঁটা দিল। তার আওয়াজ শুনে রাস্তা থেকে অন্যান্য কুকুররা ছুটে এল তার কাছে। তারা তাকে জিজ্ঞেস করল কেমন ভোজ খেল সে। “আমার মনে হয়,” বলল সে, একটা দুঃখের হাসি মুখে ঝুলিয়ে, “আসলে আমি ঠিক মত জানিই না, তরল পানীয়তে ডুবেছিলাম তো, কোথা দিয়ে কি ভাবে যে ও বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছি সেটা পর্যন্ত ধরতে পারিনি।”

 

প্রাচীন বচনঃ পিছনের দরজা দিয়ে যারা ঢোকে, জানালা দিয়ে তাদের ছুঁড়ে ফেলা হলে সেই নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ করা সাজে না।


Jwel Jwel

181 Blog postovi

Komentari

📲 Download our app for a better experience!