অতলে অন্তরীণ – ৪৬

উনিশ জুলাই, মঙ্গলবার

আমেরিকা রাগ করেছে। আমেরিকার দূতাবাস ঘেরাও অভিযানের খবর পেয়ে রাগ। আমেরিকার দূতাবাস ম?

উনিশ জুলাই, মঙ্গলবার

 

আমেরিকা রাগ করেছে। আমেরিকার দূতাবাস ঘেরাও অভিযানের খবর পেয়ে রাগ। আমেরিকার দূতাবাস মোল্লারা বলেছিল বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে, তাই রাগ। রেগে মেগে বলেছে, দেখ বাপু আমরা তোমাদের দাতাদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, সুতরাং বুঝে সুঝে চল। আমরা যে বটমলেস বাস্কেটকে সাহায্য দিয়ে যাবো প্রতিবছর, তার তো কিছু শর্ত আছে। শর্তগুলো আবারও বলছি, মন দিয়ে শোন। ১. সাহায্য গ্রহীতা দেশে মার্কিন বিরোধী প্রচারণা চলবে না। ২. সাহায্য গ্রহীতা দেশে মার্কিন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে হবে। ৩. বাংলাদেশের মানবাধিকার সংরক্ষণ, জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।

 

এসব যদি না মেনে চলে বাংলাদেশ, তবে, আমেরিকা বলেনি যে এ দেশকে পারমাণবিক বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে, বলেছে অসন্তুষ্ট হবে। পৃথিবীর একনম্বর পরাশক্তিকে নাখোশ করার ইচ্ছে হলেও সাহস অনেক দেশের নেই। না হোক, কিন্তু মৌলবাদীরা আজকাল কাউকে পরোয়া করছে না। তারা লং মার্চের সমর্থনে সভা সমাবেশের আয়োজন করেই চলেছে।

 

এবার বলছে, ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সব মতের অনুসারীদের রুখে দাঁড়াতে হবে। বলছে, ধর্মদ্রোহী বা নাস্তিকরা যা করছে, তা শুধু ইসলামের বিরুদ্ধেই নয়, ওরা বিভিন্ন ধর্মমতে বিশ্বাসী সকল মানুষের অন্তরেই আঘাত হানে। এসব ধর্মদ্রোহী ও নাস্তিক সকল ধর্মেরই শত্রু। সুতরাং এদের বিরুদ্ধে সকল ধর্মমতের অনুসারীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সকল ধর্মের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থেই ব্লাসফেমী আইন এবং ধর্মদ্রোহীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের ব্যবস্থা করতে হবে। ইসলাম ও রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা প্রতিরোধ মোর্চা আগামী ২৯ জুলাইয়ের লং মার্চ ও মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে লং মার্চ প্রচার সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময় সারাদেশে জনসভা, বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, গণসংযোগ দেয়াল লিখন পোস্টারিং ও হ্যাণ্ড বিল বিতরণের ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। ২৯ জুলাই সারা দেশ থেকে বাস ও লঞ্চে করে কাফেলা আনার জন্য এখন থেকেই জোরদার তৎপরতা চালানোর জন্য মোর্চার জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিরোধ মোর্চার পক্ষ থেকে আগামী ২২ জুলাই শুক্রবারকে দোয়া ও বিক্ষোভ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিন ঢাকাসহ সারাদেশের মসজিদে ২৯ জুলাইয়ের লং মার্চ ও মহাসমাবেশের সফলতা কামনা করে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মোর্চার পক্ষ থেকে দেশের সকল মসজিদের খতিব ও ইমামদের জুমার খুৎবার আগে এই মহান কর্মসূচী সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে বক্তব্য রাখার এবং বাদ জুমা মোনাজাত করার আহবান জানানো হয়। এছাড়া জুমার নামাজের পর প্রতিটি মসজিদে ও মহল্লা থেকে এর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এ দিন বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে।

 

সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের নেতারা সারা দেশে ছড়িয়ে গেছেন। অন্য ধর্মের মানুষদেরও সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করার ইচ্ছে ওদের। তা ঠিক, ধার্মিকে ধার্মিকে তো গোল বাঁধার কথা নয়, তাঁরা


Rx Munna

446 블로그 게시물

코멘트

📲 Download our app for a better experience!