ইন্টারনেটের বিস্তারের সঙ্গে হাস্যরসের একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে, যেখানে মিম এবং ভিডিও প্রধান মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এগুলো দ্রুত এবং সহজে বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা রাখে, যা আধুনিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
মিম হলো ইন্টারনেট-ভিত্তিক একটি সৃজনশীল মাধ্যম, যেখানে চিত্র, পাঠ্য এবং কখনো ভিডিও ব্যবহার করে ব্যঙ্গাত্মক বা হাস্যকর বার্তা প্রকাশ করা হয়। মিমের প্রধান শক্তি হলো এর সরলতা ও তাৎক্ষণিক সংযোগ। এটি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। জনপ্রিয় মিম, যেমন "ডিস্ট্রাকটেড বয়ফ্রেন্ড" বা "ড্রেক পোস্ট," মানুষের মনোভাব এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
ইউটিউব, টিকটক, এবং ইনস্টাগ্রাম রিলের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত এবং আকর্ষণীয় ভিডিও কন্টেন্ট এখন হাস্যরস প্রকাশের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ভিডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন চরিত্র, পরিস্থিতি, এবং সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার করে সহজেই মানুষকে বিনোদিত করা যায়। ভিডিও কন্টেন্ট ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যা বিশ্বব্যাপী হাস্যরস ছড়ানোর সুযোগ তৈরি করে।
মিম এবং ভিডিও কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলিতে মানুষকে সচেতন করে এবং একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
মিম এবং ভিডিও ইন্টারনেটের হাস্যরসকে আরও গণমুখী, সৃজনশীল এবং গতিশীল করে তুলেছে, যা আধুনিক যুগের কমেডির একটি অপরিহার্য অংশ।