লজ্জা (০৩) শীতটা তেমন জমিয়ে নামছে না

শীতটা কি তেমন জমিয়ে নামছে না? সুরঞ্জন গা থেকে লেপ সরিয়ে দেয়। সকাল হয়েছে অনেকক্ষণ। বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করে

শীতটা কি তেমন জমিয়ে নামছে না? সুরঞ্জন গা থেকে লেপ সরিয়ে দেয়। সকাল হয়েছে অনেকক্ষণ। বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করে না। কাল রাতে সে সারা শহর ঘুরেছে। কারও বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করেনি, কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করেনি। একা একা হেঁটেছে। বাড়িতে বাবা মা দুশ্চিন্তা করছেন এরকম ভাবনাও তার হয়েছে। কিন্তু ইচ্ছে করেনি ফিরতে .। ভয়ে সিঁটিয়ে থাকা কিরণময়ীর মুখ দেখতে তার নিজেরই ভয় হয়। সুধাময়ও কেমন ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে থাকেন। সুরঞ্জনের ইচ্ছে করে কোথাও বসে মদ খেতে। খেতে খেতে যেন সে ভুলতে পারে মায়ার মায়াবতী চোখ, সেই চোখে থোকা থোকা নীলাভ ভয় নিয়ে সে ‘দাদা দাদা’ বলে ডেকেছিল সুরঞ্জনকে। তাঁর তরী করে বড় হয়ে গেল মেয়েটি। সেদিনের মেয়েটি, দাদার আঙুল ধরে নদী দেখতে যেত। শ্যামলা সুন্দর মেয়ে, পুজো এলে আবদার করবেই, জামা কিনে দাও। সুরঞ্জন বলত পুজো-ফুজো বাদ দে তো। মাটির মূর্তি গড়ে অসভ্যগুলো নাচবে আর তুই নতুন জামা পরবি, ছিঃ! তোকে আর মানুষ করা গেল না।

 

মায়া আদুরে গলায় বলত—দাদা, পুজো দেখতে যাব, নেবে? সুরঞ্জন ধমক লাগাত। বলত-মানুষ হা। মানুষ হ। হিন্দু হোস নে।

 

মায়া খিলখিল করে হাসত। বলত-কেন হিন্দুরা কি মানুষ নয়!

 

মায়াকে ফরিদা বলে ডাকা হত একাত্তরে। বাহাত্তরেও হঠাৎ হঠাৎ মুখ ফসকে ‘ফরিদা’ নাম বেরিয়ে যেত সুরঞ্জনের। মায়া গাল ফুলিয়ে রাগ করত। ওর রাগ ভাঙাতে সুরঞ্জন মোড়ের দোকান থেকে চকলেট কিনে দিত। চকলেট পেয়ে ও কী যে


Rx Munna

446 blog posts

Reacties

📲 Download our app for a better experience!