লজ্জা (১১) আজ বিজয় দিবস

আজ বিজয় দিবস। এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতা শব্দটি সুরঞ্জনকে বিষপিঁপড়ের মত কামড়ায়। সারাদ

আজ বিজয় দিবস। এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতা শব্দটি সুরঞ্জনকে বিষপিঁপড়ের মত কামড়ায়। সারাদেশ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান করছে, কুচকাওয়াজ করছে। বেশ আনন্দ হচ্ছে চারদিকে। সুরঞ্জনের মনে কোনও আনন্দ হচ্ছে না৷ এই দিনটিতে সুরঞ্জন বেরিয়ে পড়ত ভোরে, এদিক ওদিক নানা অনুষ্ঠান করে ফিরত। ট্রাকে ঘুরে গান গাইত। সুরঞ্জনের মনে হয় বাজে কাজেই সে এত বছর সময় নষ্ট করেছে। কিসের স্বাধীনতা সে পেয়েছে, কী লাভ হয়েছে তার বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে? ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূৰ্য উঠেছে’…’রক্ত লাল রক্ত লাল’, ‘বিশ্বকবির সোনার বাংলা নজরুলের বাংলাদেশ জীবনানন্দের রূপসী বাংলা রূপের যে তার নেইকো শেষ’, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলব না’, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, মোরা একটি মুখের হাসির জন্য যুদ্ধ করি’—এই গানগুলো বারবারই সুরঞ্জনের মুখে সুর হয়ে বাজতে চায়। সে দেয় না। সুরঞ্জনের ইচ্ছে করে না এসব শুনতে। সে প্রাণপণে মাড়িয়ে যায় বুকের বকুলগুলো।

 

সারাদিন শুয়ে থেকে সে একটি ইচ্ছের জন্ম দেয়। তার গোপন ইচ্ছেটিকে সে লালন করে। ইচ্ছেটিকে সে জিইয়ে রাখে, যেন না মরে, ইচ্ছেটি যেন ডালপালা মেলে বড় হতে থাকে। সারাদিন ইচ্ছের গোড়ায় সে জল ঢালে, ইচ্ছের চারায় ফুলও ফোটে, সে গন্ধও নেয়। সেই ফুলের। ইচ্ছেটিকে সন্ধে অবধি তা দিয়ে দিয়ে সে বেরোয় বাড়ি থেকে রাত আটটার দিকে। রিক্সাকে বলে যেদিকে খুশি যাও। রিক্সা তাকে তোপখানা, বিজয় নগর, কাকরাইল, মগবাজার ঘুরিয়ে


Rx Munna

446 Blog des postes

commentaires

📲 Download our app for a better experience!