শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন শুধুমাত্র সরকারের বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নয়, এটি কমিউনিটিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। একটি সফল শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে হলে কমিউনিটির সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজন।
প্রথমত, কমিউনিটি শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের উন্নতিতে সহায়ক। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি মনোযোগী থাকলে, শিক্ষকরা আরও কার্যকরভাবে তাদের পাঠদান করতে পারেন। এছাড়া, কমিউনিটি সংস্থা এবং সংগঠনগুলি শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরণের সহায়তা প্রদান করতে পারে, যেমন শিক্ষাসামগ্রী সরবরাহ, টিউশন সেবা এবং স্কলারশিপ প্রোগ্রাম।
দ্বিতীয়ত, কমিউনিটি উদ্যোগ শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। স্থানীয় ব্যবসায়ী বা সংগঠনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সহযোগিতা করে এমন প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, স্থানীয় উদ্যোগে কর্মশালা বা ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম চালু করা যেতে পারে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জগতের অভিজ্ঞতা লাভ করবে।
কমিউনিটির সক্রিয় ভূমিকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সচেতনতা তৈরি করতে সহায়তা করে, যা পুরো সমাজের উন্নয়নে সহায়ক। একে অপরকে সমর্থন জানিয়ে এবং সহযোগিতা করে, কমিউনিটি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।