হাদিসের বাণী : স্ত্রীকে মারপিট কর

ঘটনাটি ঘটে চট্রগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায়। মধ্য জানুয়ারীর দুপুর তখন বিকেলের দিকে সামান্য ঝুঁকেছে। আমি ওই এলাক??

ঘটনাটি ঘটে চট্রগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায়। মধ্য জানুয়ারীর দুপুর তখন বিকেলের দিকে সামান্য ঝুঁকেছে। আমি ওই এলাকায় নতুন, কোনও নতুন এলাকায় গেলে আমি শুয়ে বসে দিন কাটাতে পারি না যতক্ষন না ওই নতুন আমার কাছে পুরনো হয়। পুরনো মানে এই নয় যে আমার সকল আগ্রহ উবে গেল। ব্রহ্মপুত্র আমার জন্মের চেনা, এত চেনা যে মনে হয় ব্রহ্মপুত্রের সকল বাঁক আমি চিনি, সকল স্রোত আমি চিনি, তীরের বালুতে আঁকা সকল পদচ্ছাপ আমি চিনি। তবু যে নদী আমাকে এখনও সবচেয়ে বেশি টানে সে ব্রহ্মপুত্রই।

 

আগ্রাবাদ এলাকাটি তখনও ঘুরে ফিরে দেখা হয়নি। সাদামাটা যা দেখেছি তা ভাঙা রাস্তার দু’পাশে দোতলা, তিনতলা কিছু দালান। আমি যে সময়ের কথা বলছি, সে এমন কোনও বিকেলও নয়, কিছু গা ম্যাজম্যাজ করা সময় থাকে, কোথাও মন বসে না অথচ কিছু একটা করবার জন্য সকলে কিছু একটা খোঁজে, আমিও তেমন খুঁজছিলাম এমন সময় বিকট চিৎকারটি এল। প্রথমে ঠাহর করতে পারিনি জন্তু না মানুষ। কান পেতে থেকে টের পেলাম মানুষ। এবং মানুষ বোঝার আরও মিনিট দশেক পরে বোঝা গেল চিৎকারটি নারীকণ্ঠের কান্না থেকে উদ্ভূত। আমি কণ্ঠস্বরের দিকে এগোলাম।

 

শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বলতেই বসবার ঘরটিতে কাঠের সোফা, কার্পেট, টেলিভিশন, দেয়ালে দু’একটি বাঁধানো চিত্রকর্ম অথবা ফটোগ্রাফ, একপাশে বই, কাঁচের বাসন ও পুরষ্কারের সিল মনোগ্রাম সাজানো কাঁচবন্ধ কাঠের তাক। কিছু মুসলমানের আবার নতুন একটি অভ্যেস হয়েছে মখমল কাপড়ে আঁকা কাবাশরিফ বাঁধাইয়ে রাখে ঘরে। যে যত বড় কাবা ঝোলাতে পারে, সমাজে তার কদর তত বেশি। কণ্ঠস্বরটি একটি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা, অন্তত স্বর অনুসরণ করে আমি যে ঘরে এসে পৌঁছি সে ঘর আমাকে তাই বলে।

 

দরজা খোলা। তিন-চারজন মানুষ, আমি অনুমান করি তারা ঘরের কেও নয়, আমার মত খোঁজ নিতে এসেছে। চিৎকারের তুলনায় দর্শনার্থীর সংখ্যা আমার কাছে অপ্রতুল মনে হয়। যেন এমনই ঘটে, এমন ঘটা এখানে অস্বাভাবিক কিছু নয় এবং আমি ছাড়া যারা দেখতে এসেছে তারা প্রায়ই আসে এবং তাদের নির্লিপ্ত মুখ আমাকে বুঝতে সাহায্য করে যে, যে বিষয়টি নিয়ে চিৎকারের সূচনা সেটি কোনও মারাত্মক কিছু নয়।

 

দর্শনার্থীর মধ্যে ঘরের ঘটনাটির চেয়ে আমার কোথায় থাকা হয়, কোত্থেকে আসা হয়েছে, কি করা হয় ইত্যাদি জানবার আগ্রহই ছিল বেশি। আমার সম্পর্কে যাবতীয় অপ্রয়োজনীয় প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে দিতে আমি এই প্রলম্বিত কান্নার কারণ যেটুকু জানতে পারি তা আমার জানবার ইচ্ছাকে মোটেও তৃপ্ত করে না। আমি এই ভেবে ফিরে আসি যে আমি এই ক্রন্দনরতা নারীর সঙ্গে নিভৃতে একদিন কথা বলবই।

 

পরদিন বলেছি। মেয়েটির বয়স আঠারো বছরের বেশি হবে না। পাশের বাড়িতে বেড়াতে আসা অন্য শহরের একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে অন্তরঙ্গ হওয়া এই বয়সে বড় মানায়। ঘরে তখন মেয়েটি ছাড়া কেউ নেই, স্বামী সরকারি একটি অফিসে চাকরি করেন, প্রায়ই ফিরতে রাত হয়। শহর, বন্দর, বাড়িভাড়া, স্কুল-কলেজ, পড়াশোনা ইত্যাদি ব্যাপারে দীর্ঘক্ষণ কথা বলবার পর আমি গতকালের ঘটনায় ফিরি। মেয়েটি কোনও সঙ্কোচ করেনি, শরীরের নানা স্থানে আঘাতের সকল চিহ্ন একটু একটু করে উন্মুক্ত করে।

 

আমি ঘটনায় ঢুকতে চাই। আঠারো বছর এবং একটি নতুন মানুষ-এই দুটোর দ্বিধা এবং লজ্জা কাটিয়ে মেয়েটি আমাকে যা বলে তা হচ্ছে মেয়েটি স্কুল পার হয়ে কলেজ কলেজ করছে এমন সময় পরিবার থেকে পছন্দ করে বিয়ে। বিয়ের পর স্বামীটি চব্বিশ ঘণ্টায় পাঁচ-ছ’বার শারীরিক মিলন চায় কিন্তু মেয়েটিকে এই সংখ্যাধিক্য বড় অপ্রতিভ করে। প্রথম প্রথম স্বামীর মনোতুষ্টির জন্য সে শরীর মেলে দিত, দাঁতে ঠোঁট চেপে সহ্য করত বাড়তি অত্যাচার।

 

এখন মেয়েটির যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা


Rx Munna

446 Blog Postagens

Comentários